শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন

শ্রম আইন সংশোধনে তিনদিনের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে: আইনমন্ত্রী

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৬.১৯ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক 

আজ দুপুরে শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে ছয় সদস্যের আইএলও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে টানা তিনদিনের বৈঠক শেষ হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘শ্রম আইন সংশোধনে আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে টানা তিনদিনের আলোচনা শেষ হয়েছে এবং আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক হয়।

আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আইএলও-এর বিশেষজ্ঞ টিমসহ বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তিন দিন ধরে আইএলও প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শুনেছি। তাদের প্রত্যেকটা ইস্যু নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছি। মতবিনিময় করেছি। আমার মনে হয়, এ রকম মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি সেটা শুধু স্টেক হোল্ডারদের জন্যই ভালো নয়, আমার মনে হয় এই আলোচনাটাই আন্তর্জাতিক মানের ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের উভয় পক্ষের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে এবং উভয় পক্ষই সেই অবস্থা বুঝতে পেরেছে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আইএলও কিছু সাজেশন দিতে চায়, যাতে আইনটি আরও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়। তিনি বলেন, ‘আইএলওর কমিটি অব এক্সপার্ট আমাদের আইনটা দেখেছেন, পড়েছেন , সেখানে তারা আন্তর্জাতিক মান নিয়ে কিছু সুপারিশ দিয়েছেন।’

মন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আইএলও-কে যে সহযোগিতা করার কথা, সেটা সরকার চালিয়ে যাচ্ছে । সেজন্যই মূলত তিনদিন ধরে শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে ‘এক্সারসাইজ’ করা হচ্ছে। এখানে কিছু কিছু ইস্যুতে তারা সংশোধনের কথা বলেছেন। যেসব ইস্যু গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে , সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, সেজন্যে এখনই এসব ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে না।

তিনি বলেন, ‘শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে কিছুকিছু বিষয় এসেছিল, যেগুলোর ক্ষেত্রে নীতি-নির্ধারক পর্যায়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। তাই নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাছাড়া কিছু কিছু বিষয় এসেছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে ত্রিপক্ষীয় কমিটির সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। ওইসব বিষয় আমাদের দেশের বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্য হবে কি-না তা সেখানে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা যে থ্রেসহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্মতির হার) ১৫ শতাংশে নিয়ে এসেছি, তারা এটির প্রশংসা করেছেন। আমরা ২০১৭ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, এটা আমরা ক্রমেক্রমে নামাবো। কমিটমেন্ট অনুযায়ী আমরা গ্রাজুয়েলি নামাচ্ছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024