পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
কর্মী মূল্যায়ন যেন বিরক্তিকর না হয়
স্মার্ট নেতাকে কর্মী মূল্যায়নের বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হয়। এবং কখনই একটি বিশেষ পদ্ধতিতে তাকে বসে থাকতে নেই। একটি বিশেষ পদ্ধতিতে বসে থাকলে কর্মী মূল্যায়ন এক ঘেয়েমি হয়ে যায়। আর তার ফলে তারা ওই মূল্যায়নে খুশি না হয়ে অনেক সময় নেতার ওপর বিরক্ত হয়।
তাছাড়া সময় ও কাজের সঙ্গে সঙ্গে কর্মী মূল্যায়ন পদ্ধতি না বদলালে কর্মীদের প্রকৃত মূল্যায়ন হয় না। প্রকৃত মূল্যায়ন না হলে মূলত উল্টো ফল হয়।
এর ফলে অনেক সময় কর্মীরা ভেঙ্গে পড়ে। বা তাদের মনোযোগ কমে যায়। এমনকি তারা আস্থা হারিয়ে ফেলে নেতার ওপর থেকে।
কোন অংশে ভুল মূল্যায়ন
কোম্পানি, টিম বা দলের কোন অংশে যদি ভুল মূল্যায়ন হয় তাহলে সেটা শুধু প্রতিষ্ঠানের নয় নেতার সুনামের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি তা নেতার দুর্বলতাও। এই দুর্বলতা যেন নেতার ভেতর জম্ম নিতে না পারে। আর সিস্টমে যেন নেতাকে দুর্বল না করে দেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়।
প্রযুক্তি নির্ভর মূল্যায়ন
যুগকে অস্বীকার করা যাবে না।প্রযুক্তির যুগে প্রযুক্তিকে অবশ্যই মানতে হবে এবং গ্রহন করতে হবে। তাই কর্মী মূল্যায়নে প্রযুক্তি ব্যবহার হবে ঠিকই তবে সেই মূল্যায়নকে অবশ্যই নেতার মস্তিষ্ক ও হৃদয় দিয়ে বিচার করতে হবে। তাহলেই সঠিক মূল্যায়ন হবে। আর স্মার্ট নেতাকে সেই মস্তিকের ও হৃদয়ের অধিকারী হতে হবে। একদিনে তা সম্ভব নয়। তবে ধীরে ধীরে তাকে সেখানে পৌঁছাতে হবে।
Leave a Reply