শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন

বেটিং কাণ্ডের তদন্তে উঠে এলো সাকিবের বোনের নাম, মালয়েশিয়ায় হাজার হাজার বাংলাদেশী অভিবাসী বেকার

  • Update Time : রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪, ৩.৩৫ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

 

পাকিস্তানের ডন পত্রিকার আজকের শিরোনাম ছিল ‘Zardari charms his way into presidency, again , আবারও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ’.

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  দ্বিতীয় মেয়াদে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) উপ প্রধান আসিফ আলী জারদারি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪১১ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। ভোটের তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পিকেএমএপি এর চেয়ারম্যান মেহমুদ খান আচাকজাই। তিনি মাত্র ১৮১ ভোট পেয়েছেন ।পাকিস্তানের আইনপ্রণেতারা শনিবার গোপন ব্যালটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট, নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ এবং পাঞ্জাব, সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখাওয়া ছাড়া সবকটি প্রাদেশিক পরিষদে পরাজিত হন আচাকজাই। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে এসআইসিতে যোগ দিয়ে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সেখানে সরকার গঠন করেছে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “ইলেক্টোরাল কলেজে মোট আসন সংখ্যা ছিল ১,১৮৫। তার মধ্যে ৯২ আসন খালি। বাকি ১,০৯৩ জনের ভোটাধিকার ছিল।”ভোট দিয়েছেন ১,০৪৪ জন। তবে নয়জনের ভোট বাতিল হয়ে গেছে বলেও জানায় ইসিপি।

আসিফ আলী জারদারি পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোর বাবা এবং পাকিস্তানের প্রয়াত নেত্রী বেনজির ভুট্টোর স্বামী। তিনি এর আগে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতৃত্বাধীন দেশটির নতুন আট দলীয় জোট সরকার এদিন জারদারিকে সমর্থন দিয়েছে। এদিকে পরাজিত হলেও তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য পিটিআইকে ধন্যবাদ জানান আচাকজাই। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ইসলামাবাদে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এবারের নির্বাচনের সবচেয়ে অস্বাভাবিক বিষয়টি ঘটেছে আজ। এই প্রথম কোনো ভোট কেনাবেচা হয়নি।”এর আগে তিনি সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ শেষ না হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার দাবি প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার শিরোনাম Who is Arun Goel, the election commissioner who resigned before Lok Sabha polls? .

খবরে জানা যায়, লোকসভা নির্বাচনের আর বেশিদিন বাকি নেই। গোটা দেশ তাকিয়ে লোকসভা ভোটের তফসিলের দিকে। এরই মধ্যে কার্যত আলোড়ন ফেলে পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ভারতের নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন অরুণ গোয়েল। এরই মধ্যে সেই পদত্যাগপত্র গৃহিত হয়েছে। এরপর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, আচমকা কেন এমন পথ বেছে নিলেন নির্বাচন কমিশনার? উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর ভারতের নির্বাচন কমিশনারের পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন গোয়েল। অরুণ গোয়েল এর আগে কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন তিনি। এদিকে যখন লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে তোড়জোড় করছে কমিশন, তখনই জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের এই পদত্যাগ নানা জল্পনা তৈরি করেছে।

এপ্রিল থেকে মে মাস নাগাদ হতে পারে ভারতের লোকসভা ভোট। আর ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে আপাতত বিভিন্ন রাজ্যে সফর করছে কমিশনের টিম।ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এবারের নির্বাচনে ৩৭০টি আসনে বিজেপি জিতবে বলে আগেই জানিয়েছেন দলটির নেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগেই সম্প্রতি ১৯৫ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল দলটি। এ তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এবারও বারাণসি থেকে লড়বেন। আগের দুই নির্বাচনেও বারাণসি থেকে নির্বাচন করেছেন এই নেতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবার লড়বেন গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে। বিজেপি ঘোষিত ১৯৫ জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন ৩৪ মন্ত্রী ও দুজন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া তালিকায় আছেন ২৮ নারী। ৫০ বছরের কমবয়সী ৪৭ নেতা আছেন তালিকায়। সামাজিক ও শিক্ষায় বঞ্চিত শ্রেণি (তফসিলি) থেকে টিকিট পেয়েছেন ৫৭ জন। দিল্লিতে পাঁচ ও উত্তরাখণ্ডে তিন আসনে প্রার্থী ঘোষণা করছে বিজেপি। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশের ৫১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে দলটি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব প্রার্থীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে এখনই ভোটারদের মধ্যে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে চায় বিজেপি।ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সব ঠিক থাকলে এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। সাত বা আট দফায় ভোটগ্রহণ হতে পারে।

 

বেটিং কাণ্ডের তদন্তে উঠে এলো সাকিবের বোনের নাম – মানবজমিনের শিরোনাম এটি।

খবরে বলা হয়  বেটিং সাইটের সঙ্গে জড়িয়ে বেশ কয়েক- বারই বিতর্কের মুখে পড়েন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এবার উঠে এলো তার বোন জান্নাতুল ফেরদৌস রিতুর নাম। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানায়, ভারতীয় অ্যাপ মহাদেব বেটিং অ্যাপকাণ্ডের তদন্তে সাকিবের বোনের নাম উঠে আসে। তদন্তকারীরা জানান, বাংলাদেশে ‘ইলেভেন উইকেট ডট কম’ নামে একটি অ্যাপে অংশীদার সাকিবের বোন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভারতীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জানায়, তারা গিরিশ তালরেজা এবং সুরাজ চোখানি নামে আরও দু’জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। বাংলাদেশে ‘ইলেভেন উইকেট ডট কম’ অ্যাপে বিনিয়োগ করেন চোখানি, যেখানে তার সঙ্গী ছিলেন সাকিবের বোন। ইডি আরও জানায়, চোখানি  তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে টিবরেওয়ালস শেয়ারে কয়েকশ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এর সঙ্গে কাঠমান্ডুতে ক্যাসিনোতেও বিনিয়োগ রয়েছে তার। দুবাইয়ে হাওয়ালা অপারেটর হরি শঙ্করের খুবই ঘনিষ্ঠ এই চোখানি।

ভারতের ছত্তীশগড় পুলিশের নথিভুক্ত এফআইআর’র ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি। এরপর এক পর্যায়ে বিশাখাপত্তম পুলিশ এবং অন্যান্য রাজ্যের দায়ের করা এফআইআরগুলিও তদন্তের আওতায় আনে তারা। ইডি দাবি করেছে, কালো টাকা পাচারে মহাদেব অ্যাপের হাত রয়েছে। বেআইনি বেটিং কারবারে এই অ্যাপ যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।  এছাড়া ইডি জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া গিরিশের লোটাস ৩৬৫ ব্যবসায় অংশীদারিত্ব ছিল মহাদেব অ্যাপের একটি সহায়ক সংস্থার। রতন লাল জৈন ওরফে আমন এবং সৌরভ চন্দ্রকর নামে দুই ব্যক্তি অংশীদার ছিলেন। পুনেতে ওই সংস্থার অফিস ছিল। প্রতি মাসে ওই শাখা থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা লেনদেন করা হতো। ওই শাখায় তল্লাশির সময় ১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়া হরিশঙ্কর টিবরেওয়াল বেটিং ওয়েবসাইট ‘স্কাইএক্সচেঞ্জ’-এর জন্য বেআইনি বেটিং অপারেশনে মহাদেব অনলাইন বুকার প্রচারকারীদের সঙ্গে অংশীদারিত্বও করেন। এসব সংস্থা থেকে ভারত এবং ভারতের বাইরে বেশ কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইডি।  এর আগে মামলার সঙ্গে জড়িত আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, মহাদেব অনলাইন বেটিং এবং গেমিং অ্যাপ মামলায় অর্থ পাচারের তদন্তে নীতিন তিব্রেওয়াল এবং অমিত আগরওয়াল নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ইডি।

 

 

দেশি তেলে ভরসা বিদেশি তেলে না – দেশ রুপান্তরের অন্যতম প্রধান শিরোনাম এটি।

বিস্তারিত বলা হচ্ছে আগামী বছরের মধ্যে সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের আমদানি ব্যয় ৪০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার; যা টাকার অঙ্কে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করা হবে। এ জন্য ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় স্বল্পমেয়াদি আধুনিক জাত অন্তর্ভুক্ত করে সরিষা, তিল, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, সয়াবিনসহ তেল ফসলের আবাদ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্র জানায়, দেশে প্রতি বছর প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল প্রয়োজন হয়। যার বেশিরভাগই সয়াবিন ও পাম অয়েল। ভোজ্য তেলের বিপুল চাহিদার বিপরীতে দুই-তিন বছর আগেও দেশে মাত্র ৩ লাখ মেট্রিক টন বা ১০ শতাংশের মতো অভ্যন্তরীণভাবে মেটানো হতো। যার ৯৮ ভাগই সরিষার তেল। যেহেতু দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ ভোজ্য তেলই আমদানিনির্ভর, তাই বরাবরই দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকে। ভোজ্য তেলের দাম হুটহাট বেড়ে যায়, বাজারে থাকে অস্থিরতা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ হেক্টর জমিতে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন হচ্ছে। যার বেশিরভাগই সরিষা। আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদার ৪০ শতাংশ পূরণ করতে হলে তিন গুণ, অর্থাৎ প্রায় ২৪ লাখ হেক্টর জমির প্রয়োজন। তেলজাতীয় ফসল আবাদের উপযোগী এ পরিমাণ জমি নেই। তবে বোরো ও আমন ধানের মৌসুমের মাঝখানে পতিত থাকে প্রায় ২০ লাখ হেক্টর জমি, এর বাইরে দেশের নদী এলাকা তথা চর এবং উপকূলীয় এলাকার জমিতে তেলজাতীয় ফসল আবাদের পরিধি বাড়ানো সম্ভব। এ ছাড়া কোন এলাকার জমি কখন খালি পড়ে থাকে, এর তালিকা করে তেলজাতীয় ফসল চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে ‘তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। ২২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০-২৫ মেয়াদে ২৫০টি উপজেলায় প্রকল্পটির কার্যক্রম চলমান। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রচলিত শস্য বিন্যাসে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষিত স্বল্পমেয়াদি আধুনিক জাত অন্তর্ভুক্ত করে সরিষা, তিল, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, সয়াবিনসহ তেল ফসলের উৎপাদন ও আবাদ ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্পের অধীনে এ বছর ১২ লাখ কৃষককে প্রণোদনাও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) ও বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত তেল ফসলের আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং মৌ-চাষ অন্তর্ভুক্ত করে তেলজাতীয় ফসলের হেক্টরপ্রতি ফলনও ১৫- ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে তেলজাতীয় ফসলের চাষ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ লাখ ১২ হাজার হেক্টর ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১০ লাখ ৯৬ হাজার হেক্টর জমিতে তেলজাতীয় ফসলের চাষ হয়েছে। ফলে এ বছর প্রায় ৫ লাখ টন তেল উৎপাদন হবে। তেলজাতীয় ফসলের মধ্যে সরিষাই মুখ্য। এর বাইরে চীনাবাদাম, তিসি, তিল, সয়াবিন ও সূর্যমুখী অন্যতম।

 

আকুর মাধ্যমে লেনদেন নিষ্পত্তির ৯১ শতাংশই বাংলাদেশ-ভারতের দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম এটি।

বলা হচ্ছে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সদস্য দেশ নয়টি হলেও লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থাটি টিকে আছে কেবল ভারত-বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে। আন্তঃআঞ্চলিক নিষ্পত্তি ব্যবস্থাটির মাধ্যমে লেনদেনের ৯১ শতাংশই হচ্ছে এ দুই দেশের মধ্যে। এক্ষেত্রে প্রধান পাওনাদার দেশ ভারত। আর শীর্ষ দেনাগ্রস্ত বাংলাদেশ।আকুর পক্ষ থেকে প্রতি মাসেই সদস্য দেশগুলোর লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করা হয়। সংস্থাটির সর্বশেষ সংখ্যার তথ্যমতে, গত জানুয়ারিতে আকুর মাধ্যমে মোট ৭৯ কোটি ৮৩ লাখ ডলার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩ কোটি ১২ লাখ ডলার পাওনা বা ক্রেডিট পজিশনে ছিল ভারত, যা মোট ক্রেডিটের ৯১ দশমিক ৬০ শতাংশ। জানুয়ারি শেষে ৭২ কোটি ১০ লাখ ডলার দেনাগ্রস্ত বা ডেবিট পজিশনে ছিল বাংলাদেশ, যা মোট ডেবিটের ৯০ দশমিক ৩২ শতাংশ। এর মধ্যে ৬৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলারই ভারতের পাওনা ছিল।

 

সাধারণত আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র (এলসি) খোলা বা নিষ্পত্তির সময় তাৎক্ষণিকভাবে দায় পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু আকুর মাধ্যমে হওয়া লেনদেন নিষ্পত্তি হয় প্রতি দুই মাস পরপর। তবে এ ক্ষেত্রেও লেনদেনের পুরো অর্থ পরিশোধ করতে হয় না। আমদানি দায়ের সঙ্গে রফতানি আয় সমন্বয় করে যে দায় অবশিষ্ট থাকে, কেবল সে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপ—এশিয়ার এ নয় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আকুর সদস্য। এর মধ্যে আর্থিক দেউলিয়াত্বের কারণে গত বছর শ্রীলংকার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। আর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের সঙ্গে আকুর মাধ্যমে লেনদেন বন্ধ রয়েছে। আকুর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেই। ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রতিবেশী এ দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪২৩ কোটি বা ১৪ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। তবে এ বাণিজ্যের মধ্যে ১২ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারের পণ্যই আমদানি করেছে বাংলাদেশ। আর একই সময়ে ভারতে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল মাত্র ২ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারের। এ বাণিজ্যের মধ্যে ১৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। দুই দেশের বাণিজ্যের বিপুল এ ঘাটতিই আকুর প্রয়োজনীয়তাকে টিকিয়ে রেখেছে। ভারতের সঙ্গে রুপিতে সরাসরি লেনদেন চালু হলেও সেটি কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে অনেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

Distressed in Malaysia – ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম এটি।

এই খবরে বলা হচ্ছে হাজারো বাংলাদেশি সেখানে চাকরিহীন, অনেকে বেতন পাচ্ছেন না, আবার কারো বেতন অনেক কম। চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়া আবার শ্রমবাজার খুলে দেয়। এরপর এ সময়ে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়া পাড়ি জমিয়েছে, কিন্তু তাদের মধ্যে এক লাখই এখন সেখানে বেকার বলে জানা যাচ্ছে। তাদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেয়ায় অনেকটা বন্দি অবস্থায় থাকতে হচ্ছে অনেককে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি শ্রম শোষণ এবং উচ্চ অভিবাসন ব্যয়ের অভিযোগের কারণে সেপ্টেম্বর ২০১৮  সালে বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ বন্ধ করে দেয়।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, শ্রমবাজার পুনরায় চালু হওয়ার পর থেকে ৪ লাখের বেশি বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় গেছেন। প্রকৃতপক্ষে, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করেছে – শুধুমাত্র ২০২৩ সালে ৩৫১,০০০  কর্মী।

 

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে শিরোনাম করেছে প্রথম আলো – টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় সিরিজ হার।

নুয়ান তুষারা—বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নামটি নিশ্চয়ই মনে রাখতে চাইবেন না। তাঁদের কাছে তুষারা মানেই স্লিঙ্গি অ্যাকশনের দুঃস্বপ্ন। তুষারা মানেই ফুল লেংথ ও লেট আউটসুইং। তুষারা মানেই ইয়র্কার। তুষারা মানেই ভাঙা স্টাম্পের নাচন। কাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে হয়তো এই দৃশ্যগুলোই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চোখে ভাসছে। অথচ লঙ্কানদের প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারানোর আশা নিয়ে কাল খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু লঙ্কানদের করা ৭ উইকেটে ১৭৪ রানে আটকানোর পর রান তাড়ায় যা হলো, তা এককথায় অবিশ্বাস্য।

আর অবিশ্বাস্য কীর্তির নায়ক একজনই—নুয়ান তুষারা। মাত্র ৭টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা এই লঙ্কান পেসার গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন মাতিশা পাতিরানার চোটে। সেই ‘বিকল্প’ পেসার তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই পেয়ে গেলেন হ্যাটট্রিক–মেডেন! ওই ওভারেই ভেঙে যায় বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড। ২৯ বছর বয়সী পেসার শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাঁর এমন অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের পরও বাংলাদেশ করতে পেরেছে ১৪৬ রান।

হারের ব্যবধানটা কমে ২৮ রানের হওয়ায় ধন্যবাদ পাবেন রিশাদ হোসেন। আটে নেমে তিনি খেললেন ৩০ বলে ৫৩ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস। বাংলাদেশকে ১০০-এর নিচে অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা করেছে তাঁর সেই ইনিংস। এ জয়ে লঙ্কানরা টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল ২-১ ব্যবধানে। এই স্কোরলাইন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের পোড়াবে। পুরো সিরিজে দুই দফা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সিরিজ হেরে গেলেন নাজমুলরা। প্রথম ম্যাচে ৩০ রানে ৩ উইকেট, কাল ৩২ রানে ৬ উইকেট—দুই ধসেই সিরিজ হাত ফসকে গেল বাংলাদেশের।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024