সারাক্ষণ ডেস্ক
২০২১ সাল থেকে চলে আসা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ক্ষমতাসীন জান্তাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লড়াই চলছে। এই কারণে দেশটির অনেক নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল।
ভারত তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে । প্রথম দফায় বেশ কয়েকজনকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং তিনি বলেছেন, ‘মিয়ানমারের যেসব নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু মিয়ানমারের পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভ দমনে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার শুরু করে ।
২০২২ সালের দিকে গণতন্ত্রপন্থীদের একাংশ জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দেওয়া শুরু করে।
মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে আক্রমণ শুরু করে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী তিন সশস্ত্র গোষ্ঠী।
তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)। এই তিন গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ সাফল্য লাভ করেছে।
Leave a Reply