আফান্দীর গল্প
সেন্ট্রাল এশিয়ার দেশগুলোতে তাকে নাসিরুদ্দিন হোজ্জা নামে জানে। ভারত উপমহাদেশে তিনি মোল্লা নাসিরুদ্দিন নামে পরিচিত। পৃথিবীর অন্যান্য ভাষায়ও তার এই ধরনের গল্পগুলো নানা নামে পাওয়া যায়। চায়নাতে তাকে পাওয়া যায় আফান্দী নামে। এই হোজ্জা বা মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প চায়নায় আফান্দী নামে প্রচলিত থাকলেও গল্পগুলোর ভেতরে একই আমেজ পাওয়া যায়। সারাক্ষণে আফান্দীর গল্পগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।
১১. আকান্দী শান্তভাবে বলল, “হুজুর, ভেবে দেখুন, যদি বড় হাঁড়ি একটি বাচ্চা দিতে পারে তাহলে সে মারাও যেতে পারে।” তখন জমিদার বুঝতে পারল আফান্দীর ছোটো হাঁড়ি দেবার আসল অর্থ।
১২. আফান্দীকে বড় হাঁড়িটি দেবার ইচ্ছা জমিদারের আদৌ ছিল না। তাই সে বলল, “ঠিক আছে, বড় হাঁড়ি যখন মারাই গেছে তখন তার দেহ আমাকে ফেরত দাও।”
১৩. আফান্দী বলল, “আফসোসের কথা, বড় হাঁড়ির দেহ আমি চুল্লীর মধ্যে দিয়ে এসেছি।”
Leave a Reply