সারাক্ষণ ডেস্ক
গাজীপুরের সবুজ প্রান্তরে দুটি সরালি হাঁসের সমন্বিত উড়ানের এই মোহনীয় ছবিটি তাদের শৈল্পিক সৌন্দর্য এবং আকর্ষণীয় রূপকে ধারণ করেছে, যা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের ওপর জোর দেয়।
সরালি হাঁস, এর বৈশিষ্ট্যময় বাদামী বর্ণ এবং সুচারু গতিবিধির সাথে, প্রকৃতির একটি বিস্ময়। এই মাঝারি আকারের হাঁসগুলি তাদের সমন্বিত উড়ানের ধরণের জন্য পরিচিত, প্রায়শই জোড়ায় বা ঘন গুচ্ছ আকারে উড়ে, যা তাদের শক্তিশালী সামাজিক বন্ধন এবং অসাধারণ চটপটে ভাব প্রতিফলিত করে।
বৈজ্ঞানিকভাবে ডেনড্রোসিগনা বাইকলর নামে পরিচিত সরালি হাঁস একটি আকর্ষণীয় পাখি যা তার সমৃদ্ধ, ফালভাস (বাদামী) রঙ দ্বারা চিহ্নিত। এর পিঠ কালো, বুক বাদামী এবং নিচের অংশ ফ্যাকাশে। ডানাগুলি কালো যার মধ্যে হালকা চিহ্ন রয়েছে।
সরালি হাঁস প্রায়শই পানির কাছাকাছি বাসা বাঁধে, ঘন উদ্ভিদে তাদের বাসা নির্মাণ করে শিকারীদের থেকে লুকানোর জন্য। তারা সাধারণত প্রতি ডিমপাড়ায় ৮-১২টি ডিম পাড়ে। প্রধানত জলজ উদ্ভিদ, বীজ এবং অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের উপর নির্ভর করে তাদের খাদ্যাভ্যাস, তাদের বাসস্থানে খাদ্যের প্রাপ্যতা অনুসারে পরিবর্তিত হয়। তাদের নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, এই হাঁসগুলি এক ধরনের সিসকার আওয়াজ তৈরি করে, যা প্রায়শই তাদের উড়ন্ত অবস্থায় বা একে অপরের সাথে যোগাযোগের সময় শোনা যায়।
বাসস্থানের ধ্বংস এবং জল ব্যবস্থাপনার পরিবর্তনগুলি স্থানীয় জনসংখ্যার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই হাঁসগুলি তাদের শক্তিশালী জোড়া বন্ধনের জন্য পরিচিত এবং প্রায়শই ঘন, সমন্বিত গুচ্ছ আকারে উড়তে দেখা যায়। শিস দেয়া আওয়াজটি কেবল যোগাযোগের জন্যই নয় বরং উড়ানের সময় গুচ্ছ সংহতি বজায় রাখার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
Leave a Reply