পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
নেতাকে অবশ্যই আবিস্কারক হতে হবে
নেতাকে তার লক্ষ্য নিয়ে এগুতে হলে প্রথম প্রয়োজন তাকে আবিস্কার করার ক্ষমতা অর্জন। তাকে বেশ কিছু বিষয় প্রথমেই আবিস্কার করতে হয়-
১. তাকে অনেকগুলো পথ আবিস্কার করতে হবে। যে পথগুলো আগে এই লক্ষ্যে
পৌঁছানোর জন্যে ছিলো না।
২. এর পরে তাকে আবিস্কার করতে হবে পথগুলোর রসায়ন, কী কী রসায়ন দিয়ে তৈরি পথ গুলো।
৩. তাহলে সে ওই সব রসায়নে আরো নতুন নতুন ধাতু যোগ করতে পারবে।
৪. নেতার কাজ যেহেতু সমাজ, রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠান ঘিরে তাই এখানে ধাতু বা রসায়ন সবই সজীব হবে।
৫.সজীব ধাতু ও রসায়ন কিন্তু জড় ধাতু বা রসায়নের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ, অন্যগুলো নিজে নিজে যে হারে পরিবর্তিত হয় তার থেকে সজীব অর্থাত্ জীব অনেক দ্রুত নিজেকে পরিবর্তন করে।
নেতার কাজ যেহেতু এই সজীব ধাতু বা রসায়ন নিয়ে তাই তাকে দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে মেলানোর ক্ষমতা অর্জন করতে হয়।র
দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে মেলানোর ক্ষমতা
দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে মেলানোর জন্যে যে বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে হয়
১. তার সামনে বা তাকে কেন্দ্র করে সর্বোপরি তার কাজকে কেন্দ্র করে যে কিছু পরির্বন ঘটছে সেটাকে দ্রুত বুঝতে পারা।
২. পরিবর্তন ঘটছে বুঝতে পারলে কী পরিবর্তন হচ্ছে তার একটি মোটামুটি নমুনা বোঝা
৩. ওই নমুনা ধরে তার চরিত্রগুলো খোঁজা।
৪. যত বেশী সংখ্যক চরিত্র খুজে পাওয়া সম্ভব তত বেশি খুঁজতে হবে।
৫. পরিবর্তনের যত বেশি চরিত্র নেতা আবিস্কার করতে পারবে ততই তার জন্য সে গুলোর সমাধানের পথ তৈরি করা বা আবিস্কার করা সম্ভব হবে।
Leave a Reply