সারাক্ষণ ডেস্ক
বাজেটের ব্যয় মেটাতে সরকারের ঋণনির্ভরতা আরও বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের মতো আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের জন্যও সরকার বিপুল পরিমাণ ঋণ করতে যাচ্ছে। আগামী বাজেট হতে পারে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার। এর এক-তৃতীয়াংশ অর্থই আসবে দেশি-বিদেশি ঋণ হিসেবে। ঋণের পরিমাণ হতে পারে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার মতো।
বাজেট তৈরির সময় সরকার ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা প্রায় প্রতি অর্থবছরেই মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশের কিছুটা বেশি রাখে। এবারই এ লক্ষ্যমাত্রা ৫ শতাংশের নিচে রাখা হচ্ছে। তারপরও ঘাটতির পরিমাণ বাড়ছে, যা মেটাতেই বিপুল ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করছে সরকার। ঋণের বেশির ভাগ অর্থই আসবে আবার দেশের ব্যাংকব্যবস্থা থেকে। বাজেট প্রণয়নের মূল দায়িত্বে থাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজেট–ঘাটতি মেটাতে চলতি অর্থবছরে মোট ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিট বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি এবং দেশি বা অভ্যন্তরীণ ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। বিদেশি ঋণের উৎস হচ্ছে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ। অভ্যন্তরীণ ঋণের বড় অংশই ব্যাংকঋণ, চলতি অর্থবছরে যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। বাকি ঋণ সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য উৎস থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
আগামী অর্থবছরে মোট ঋণের মধ্যে নিট বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার মতো। বাকি ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা হতে পারে দেশি ঋণ। দেশি ঋণের মধ্যে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে। বাকি ২০ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও অন্যান্য উৎস থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশি ঋণের স্থিতি প্রকাশ করেছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ঋণের স্থিতি ছিল ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা। আর ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশি ঋণের স্থিতি ৭ হাজার ৯৭৯ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলারকে ১১৭ টাকা ধরে হিসাব করলে তা ৯ লাখ ৩২ হাজার ৪০৮ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।
অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো জানায়, দেশি-বিদেশি ঋণের স্থিতি এত বড় হওয়ার কারণেই সুদ পরিশোধ বাবদ বড় অঙ্কের বরাদ্দ রাখতে হচ্ছে আগামী বাজেটে। আগামী অর্থবছরে ঋণের সুদ বাবদ বরাদ্দ রাখতে হবে ১ লাখ টাকা কোটি টাকার বেশি, যার বড় অংশই ব্যয় হবে দেশি ঋণের সুদ পরিশোধে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ঋণ-জিডিপি অনুপাত ৪০ শতাংশের মধ্যে থাকাকে ঝুঁকিমুক্ত বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ হার বর্তমানে ৩৭ শতাংশেরও বেশি। এ হার এখনো ঝুঁকিমুক্ত থাকলেও রাজস্ব আয় সংগ্রহে ভালো গতি না থাকায়, ১০ মাসের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি তেমন ভালো না হওয়ায় (প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ), প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্স) আশানুরূপ চিত্র দেখা না যাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা কিছুটা চিন্তিত। ডলারের দাম এখনো সন্তোষজনক মাত্রায় স্থিতিশীল না হওয়ার বিষয়টি তাঁদের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে।
ব্যাংকঋণ দুই কারণে খারাপ
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দুই কারণে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের বেশি ঋণ নেওয়া খারাপ। বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা কমে যায়। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে, যে চাপ শেষ পর্যন্ত বহন করতে হয় ভোক্তা অর্থাৎ জনগণকে। ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণের উল্লেখযোগ্য অংশ সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে মিটিয়ে থাকে। অর্থনীতির সূত্র অনুযায়ী টাকা ছাপালে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে যায়, যার পরিণতিতেই ঘটে মূল্যস্ফীতি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার গত এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে। ফলে টানা ১৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, মূল্যস্ফীতি যত বেশিই থাকুক না কেন, সরকারের হাতে আপাতত ব্যাংকঋণের কোনো বিকল্প নেই।
তবে অর্থ বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের আরেকজন কর্মকর্তা জানান, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকার পুরো ঋণ নেয় না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ ঋণের ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদনেও এ কথার সত্যতা পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান অর্থবছরে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, তার মধ্যে আট মাসে সরকার ঋণ নিয়েছে ২৪ হাজার ৯৬৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
সাবেক অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ দুটি বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঋণ সরকারের লাগবেই। রাজস্ব সংগ্রহ ভালো থাকলে হয়তো সরকারকে এত পরিমাণ ঋণ নিতে হতো না। তবে বিনিয়োগের অবস্থা যেহেতু ভালো না, এ অবস্থায় ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার পরিবর্তে সঞ্চয়পত্রকে বেছে নেওয়া যায়।
মাহবুব আহমেদ আরও বলেন, দুই বছর ধরেই সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি নেতিবাচক। ব্যাংকের সুদের হার এবং ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার এখন সঞ্চয়পত্র থেকেও বেশি। মোট কেনার সীমা ৫০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ বা ১ কোটি টাকা করা এবং মুনাফার হার আরেকটু বাড়িয়ে সঞ্চয়পত্রের প্রতি জনগণকে আকৃষ্ট করতে পারে সরকার।
সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ শূন্য
জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি—এই আট মাসে ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ১১ হাজার ২০৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে অভ্যন্তরীণ ঋণের মোট লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকার মধ্যে সরকার এই সময়ে ঋণ নিয়েছে মোট ৩৬ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ পুরো বছরের জন্য সরকারের যা পরিকল্পনা আছে, তার ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থ আট মাসে ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। তবে অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো জানায়, প্রতিবারই অর্থবছরের শেষ দিকে সরকার ব্যাংকঋণ বেশি নেয়। বেশি নেয় মে-জুন মাসে, আর সবচেয়ে বেশি নেয় জুন মাসে। এবারও তা–ই হবে।
এদিকে চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি নেতিবাচক। অথচ চলতি অর্থবছরে সরকার পরিকল্পনা করেছিল এ খাত থেকে নিট ১৮ হাজার কোটি টাকা আসবে। সঞ্চয়পত্র বিক্রির নেতিবাচক চিত্রের কারণে জুন শেষে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় উন্নয়ন বাজেটের পুরোটাই ঋণ নিয়ে পূরণ করতে হচ্ছে। এমনকি আদায় করা রাজস্বের একটা অংশও ব্যয় হয়ে যায় ঋণ শোধে। প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ১৪ শতাংশের মতো সুদ দিতে হলে আগামী অর্থবছরে সুদ ব্যয় অনেক বাড়বে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ বেশি নিলে বেসরকারি খাতকে ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা কমে যায়, আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নেওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন টাকা ছাপানো থেকে কিছুটা সরে এলেও ঋণের টাকার যথাযথ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার হচ্ছে কি না এবং বেসরকারি খাত প্রণোদিত হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে আগামী অর্থবছরে সতর্ক থাকতে হবে। তা না হলে কর্মসংস্থান কমবে ও মূল্যস্ফীতি বাড়বে, যা জনগণের জন্য হবে নেতিবাচক।’
একটি দেশের পুঁজিবাজারের আকার কত বড় তা পরিমাপ করা হয় মূলত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সঙ্গে বাজার মূলধনের অনুপাতের মাধ্যমে। উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোয় এ অনুপাত ১০০ থেকে ২০০ শতাংশের মধ্যে থাকে। উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর পুঁজিবাজারের আকার জিডিপির ৫০ শতাংশ থেকে প্রায় সমান হয়। যদিও উল্টো চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে বাংলাদেশে। পুঁজিবাজারের ক্রমাগত নিম্নমুখিতার কারণে বর্তমানে দেশের জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধনের পরিমাণ নেমে এসেছে ১৩ শতাংশে। গত দেড় বছরে এ অনুপাত কমেছে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেন শেষে সব ইকুইটি শেয়ারের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ২৬৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর বাজার মূলধন ছিল ৩ হাজার ২৬০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর ডেট সিকিউরিটিজের (ট্রেজারি বন্ড) বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৩ কোটি ৩১ লাখ টাকায়। সে হিসাবে গতকাল জিডিপির অনুপাতে এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন ছিল ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। যদিও ডেট সিকিউরিটিজগুলো প্রত্যক্ষভাবে পুঁজিবাজারের পণ্য না হওয়ায় কাবৈশ্বিকভাবে বাজার মূলধন হিসাবের সময় এগুলোর মূলধনকে বাদ দেয়া হয়। সে হিসাবে বর্তমানে জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৮২ শতাংশে।
জিডিপির অনুপাতে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাজার মূলধন ছিল ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। সেখান থেকে এটি কমে গত বছরের জুলাইয়ে ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশে নেমে আসে। সর্বশেষ গত এপ্রিল শেষে দেশের জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধন নামে ১৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে। সাম্প্রতিক সময়ের টানা দরপতনের কারণে বর্তমানে এ অনুপাত আরো কমে ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
গত বছরের মতোই চলতি বছরের প্রথম কার্যদিবসে দরপতনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল দেশের পুঁজিবাজারের। যদিও ২০২২ সালের শুরুতে বেশ আশা জাগিয়েছিল দেশের পুঁজিবাজারের পারফরম্যান্স। তবে সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকেই উত্তপ্ত বৈশ্বিক পরিস্থিতির আঁচ লাগে দেশের পুঁজিবাজারেও। পুরো ২০২৩ সালজুড়েও ছিল হতাশাজনক পারফরম্যান্স। এ সময় পুঁজিবাজারে সূচকের ওঠানামা সীমাবদ্ধ ছিল ২০০ পয়েন্টে এবং আগের বছরের তুলনায় দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারদরের নিম্নসীমা) আরোপ হলে বাজারে থাকা শেয়ারের বড় একটি অংশই লেনদেন হয়নি এবং এতে তারল্য প্রবাহ কমে যায়। এ সময় ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন ছিল মোট বাজার মূলধনের (ডেট সিকিউরিটিজ বাদে) প্রায় ৬০ শতাংশ।
এ বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের পর দেশের পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে এমন প্রত্যাশা ছিল সবার। সে প্রত্যাশার ওপর ভর করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেয়। এতে বড় দরপতনের শঙ্কা থাকলেও শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল। যদিও সেটি খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকেই নিম্নমুখী হতে শুরু করে পুঁজিবাজার, যার প্রভাব এখনো বিদ্যমান। পুঁজিবাজারের এ নিম্নমুখিতার কারণে ক্রমান্বয়ে কমছে জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধনের অনুপাতও।
জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বাজার মূলধন সিকিউরিটিজের মূল্য ও লেনদেনের ওপর নির্ভর করে। বেশকিছু সময় ধরে পুঁজিবাজারে শেয়ারের দাম ও লেনদেন কমছে। ফলে বাজার মূলধনও কমে গেছে। ফ্লোর প্রাইসের কারণেও বাজার মূলধন কমেছে। তবে এখন যেহেতু ফ্লোর প্রাইস আর নেই তাই ধীরে ধীরে বাজার মূলধন বাড়বে বলে আশা করছি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তার এ যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকব। এসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে এলে বাজার মূলধন অনেক বেড়ে যাবে।’
মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখিতায় লাগাম টানতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত আট মাসে সুদহার বাড়ানোর পর সম্প্রতি তা বাজারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। এতে ব্যাংক ঋণের সুদহার ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আমানতের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষে দুই অংকের সুদও মিলছে। তাছাড়া সরকারের ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় পুঁজিবাজারের প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নিশ্চিত মুনাফার কারণে আমানত ও সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডের দিকে ঝুঁকছে। বিশ্বের সব দেশেই সুদহার বাড়লে পুঁজিবাজারে থেকে তহবিল মুদ্রাবাজারের দিকে ঝুঁকতে থাকে সবাই। তার ওপর ডলারের দরে অস্থিরতাও বড় প্রভাব ফেলেছে দেশের পুঁজিবাজারে। গত দুই বছরে টাকার ৩৬ শতাংশের বেশি অবমূল্যায়ন হয়েছে। এ সময়ে ফ্লোর প্রাইসের কারণে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার বিক্রি করতে পারেননি। টাকার অবমূল্যায়নের কারণে শেয়ার বিক্রির বিপরীতে প্রাপ্ত টাকাকে ডলারে রূপান্তর করার সময় আগের তুলনায় মুনাফা কমে গেছে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের। এ কারণে দেশে টাকার আরো অবমূল্যায়নের শঙ্কায় বিদেশীদের শেয়ার বিক্রির প্রবণতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। টানা দুই অর্থবছর ধরে পোর্টফোলি বিনিয়োগ স্থিতি ঋণাত্মক অবস্থানে রয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়েও নিট পোর্টফোলিও বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ছায়েদুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই দেশের পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল ও নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। ব্যাংকের সুদহার বৃদ্ধি, ডলারের বিনিময় হারে অস্থিরতার মতো বিষয়গুলো পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যার কারণে বাজার মূলধন কমে গেছে। আমরা দেশের ভালো ও বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে পারিনি, যা বাজার মূলধন বাড়াতে সহায়ক হতো। এসব কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির সমন্বিত বাস্তবায়ন জরুরি। একই সঙ্গে তাদের প্রণোদনা দেয়ার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে আসার জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমেই পরিস্থিতির উত্তরণ সম্ভব।’
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমানে জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধনের অনুপাত ১৮৮ দশমিক ৬ শতাংশ। যুক্তরাজ্যে তা ১১০ দশমিক ৪৬, সিংগাপুরে ১৫১ দশমিক ৬৩, হংকংয়ে ১ হাজার ১৩৮ দশমিক ৩৫, ভারতে ৯৮ দশমিক ৩৭ ও পাকিস্তানে ১৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের ধারাবাহিক অবনতির কারণেও প্রভাব পড়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এ সময়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আয় ও মুনাফা কমে গেলেও ফ্লোর প্রাইস থাকার কারণে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে পারেননি। এ কারণে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর তারা শেয়ার বিক্রি শুরু করেছেন। তাছাড়া অনেক বিনিয়োগকারীই মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার ব্যবসা করেন। এ কারণে শেয়ারের দাম কিছুটা কমে গেলেই তারা আতঙ্কে থাকেন। তাছাড়া মার্জিন ঋণের ক্ষেত্রে শেয়ারদর একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে গেলেই ব্রোকাররা আইনানুসারে ফোর্সড সেল করে দেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের ফোর্সড সেল বেশ দেখা গেছে, যা পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করেছে। অতিসম্প্রতি আগামী অর্থবছরের বাজেটে মূলধনি মুনাফার ও্পর করারোপের প্রস্তাব করা হবে এমব খবরের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক আরো বেড়েছে। একে তো দুই বছর ধরে ফ্লোর প্রাইসের কারণে তারা আটকে ছিলেন, তেমন কোনো রিটার্ন পাননি। এ অবস্থায় মূলধনি মুনাফায় করারোপ করা হলে তাদের লোকসানে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে বেশকিছু ভালো ও মৌলভিত্তির শেয়ারের দর কম ও আকর্ষণীয় অবস্থানে থাকলেও সেটি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারছে না। এর কারণ হচ্ছে এসব কোম্পানি ভালো করলেও এগুলোর শেয়ার কমতে থাকে। অন্যদিকে অস্তিত্বহীন ও নামসর্বস্ব কোম্পানির শেয়ার কয়েক গুণ বেড়ে যায় কোনো কারণ ছাড়াই। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঠিক হবে কিনা। তার ওপর রিজার্ভের ক্ষয়সহ দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও তাদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে এগুলোর প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে।
শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘একদিকে প্রতি বছর দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিন্তু সেভাবে নতুন কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসছে না। তার ওপর বিভিন্ন কারণে পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। এতে জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধন কমে গেছে। ফ্লোর প্রাইস, সুদহার বৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন, ফোর্সড সেল, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আয় কমে যাওয়া ও বিদেশীদের শেয়ার বিক্রির মতো বিষয়গুলো পুঁজিবাজারে দরপতনের পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। অতিসম্প্রতি মূলধনি মুনাফার ওপর করারোপের প্রভাবে বিনিয়োগকারীরা আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করে মূলধনি মুনাফার ওপর করারোপের বিষয়টি বাস্তবায়ন করা উচিত। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় বিনিয়োগ করে মুনাফা করলে তুলনামূলক কম কর ও স্বল্প সময়ের মুনাফার বিপরীতে বেশি করারোপের বিধান করা উচিত। তাহলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের অভ্যাস গড়ে উঠবে এবং হঠাৎ করে করারোপের দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না।’
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বুধবার (২২ মে) ভোর ৪টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আজ দুপুরের মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি’র মৃত্যুর পর দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে। তাই রাইসি’র মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের চতুর্দশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে দেশটি। আগামী ২৮শে জুন এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার দেশটির বিচার বিভাগ, আইনসভা এবং নির্বাহী কর্তৃপক্ষ এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা’র বরাতে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের নিবন্ধ শুরু হবে চলতি মাসের ৩০শে মে এবং প্রচারণা চলবে আগামী ১২ থেকে ২৭শে জুন পর্যন্ত। রোববার একটি জলাধার উদ্বোধন শেষে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরে যাওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বেল-২১২ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়। এরপরই সংবিধান অনুযায়ী দেশটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনি।
১৫ বছর বয়সে যে মাশহাদ ছেড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সেই মাটিতেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি। তার আগে বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে রাষ্ট্রীয় আয়োজনে তাকে চিরবিদায় জানাবে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান। তেহরানের দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্রে মানবজমিন এই তথ্য পেয়েছে। বর্তমানে রাইসি’র মরদেহ তাবরিজ শহরে রয়েছে। আজ তাবরিজে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পশ্চিমা মিত্রদের কাতারে যোগ না দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।
আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
গতকাল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান।
এই উদ্যোগের পর ফ্রান্স নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় তাদের সমর্থনের কথা জানায়।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ইসরায়েল প্রসঙ্গে আমাদের বক্তব্য হল, আন্তর্জাতিক আদালতের বিচার-পূর্ববর্তী চেম্বার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তারা অভিযোগের স্বপক্ষে প্রধান কৌঁসুলির উপস্থাপন করা তথ্যপ্রমাণ নিরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্ত নেবে।’
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ফ্রান্স আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, আদালতের নিরপেক্ষতা ও সব পরিস্থিতিতে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামকে সমর্থন জানায়।’
প্যারিস আরও জানায়, তারা ‘বেশ কয়েক মাস ধরে’ কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হুশিয়ারি দিয়ে এসেছে।
গাজা উপত্যকায় অগ্রহণযোগ্য মাত্রায় বেসামরিক মানুষের হত্যাকাণ্ড ও মানবিক ত্রাণ প্রবেশে বাধার বিষয়টি আলাদা করে উল্লেখ করে ফ্রান্স।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আইসিসির সিদ্ধান্তকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলে অভিযোগ করেন।
আইসিসির সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রথমবারের মতো হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে নীতিগত পার্থক্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলো। ফ্রান্স হাতে গোনা কয়েকটি পশ্চিমা দেশের অন্যতম, যারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে ইচ্ছুক। এর আগে ফ্রান্স জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ার প্রতি নিন্দা জানায় এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চালুর আহ্বান জানায়।
Leave a Reply