পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
ধৈর্য্য লিডারের সব থেকে বড় পরীক্ষা
স্মার্ট নেতাকে প্রতি মুহূর্তে একটার পর একটা পরীক্ষায় পাস করতে হয়। তার এই অজস্র পরীক্ষার প্রতিটি পরীক্ষার সঙ্গে অনিবার্যভাবে জড়িত থাকে ধৈর্য্য। এই ধৈর্যের বিষয়টি কখনও প্রকাশিত কখনো অপ্রকাশিত।
তাই নেতার জন্যে খুবই কঠিন বিষয় তার কোন পর্যায়ে, কোন স্তরে গিয়ে ধৈর্য্য ধরা প্রয়োজন। স্মার্ট নেতাকে অনেকটা মুক্তা শিকারীর মতো ঝিনুকের বুকে কোনটা মুক্তা আর ভিন্ন শেল সেটা চিনতে হয়।
আর এজন্য প্রয়োজন নেতার নিজ চরিত্রকে ধীর স্থির করা। নিজের চরিত্রের এ পরিবর্তন নেতাকে প্রতি মুহূর্তে করতে হয়। কারণ, ধীর স্থিরেরও একটা পরিবর্তনশীর রূপ থাকে।
এক এক ক্ষেত্রে ধীর স্থির এর চরিত্র একেক রকম।
আবার মনে রাখতে হয় ধীর স্থির আর ধীর গতি কিন্তু এক নয়।
ধীর গতি অবশ্যই একটি বদঅভ্যাস বা ক্ষতিকারক বিষয়।
সময় অনেক কিছু পরিবর্তন করে দেয় অর্থ কি
সাধারণত ধরে নেয়া হয় সময় অনেক কিছু পরিবর্তন করে দেয়। এর অর্থ কখনও এটা নয় যে সময় নিজেই পরিবর্তন করে দেবে। সময় অনেক কিছু পরিবির্তন করে দেয় এর অর্থ, কোন কোন কাজে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। তবে কাজটি যে ওই দীর্ঘ সময় নিয়ে হলেও হবে তার জন্যে অবশ্যই কাজের ক্ষেত্র প্রস্তুত নেতাকেই করতে হবে।
নেতাকে বুঝতে হবে কোন কোন কারণে তার এই কাজটি দীর্ঘ সময় নিচ্ছে। এবং এর জন্যে তার কী কী প্রতিকূল পরিবশে তৈরি হয়েছে।
সেখানে তাকে প্রতিকূল পরিবশেগুলোর চরিত্র বের করতে হবে।
প্রতিকূল পরিবশে গুলোর চরিত্র অনুযায়ী তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন প্রতিকূল পরিবেশটি তিনি আগে নিজের অনুকূলে আনার চেষ্টা করবেন।
তাছাড়া সবগুলো প্রতিকূল পরিবশে নিয়ে তাকে একটি নির্দিষ্ট মাস্টারপ্লান তৈরি করতে হবে।
সেই মাস্টারপ্লানে তিনি প্রতিটি প্রতিকূল পরিস্থিতিকে একটি তালিকায় আনবেন। সেখানে গুরুত্ব ও সুবিধা অনুযায়ী সেগুলোকে নাম্বারিং করবেন।
তারপরে সিরিয়াল অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিকূল পরিবশেকে কাটানোর জন্যে তিনি তার নিজস্ব কর্মসূচী নিবেন।
এবং ওই ছকের পাশে কর্মসূচীগুলো অবশ্যই সাংকেতিক ভাষায় লিখে তাকে মনে রাখতে হবে, তার ওই একটি কাজ বা দুটি কাজের জন্যে প্রতিকূল পরিবশে সৃষ্টি হয়েছে। সবগুলোর জন্যে নয়।
তাই বাকি কাজ তিনি স্বাভাবিক গতিতে করবেন।
Leave a Reply