শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন

জাতিসংঘ আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান ইসরাইলের

  • Update Time : শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪, ১০.২৭ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলর একটি শিরোনাম “সাগরে এখন গভীর নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে আজ”

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর বা বিকেলের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর সেটি ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হতে পারে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে এটি আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গতকাল সকালে নিম্নচাপ সৃষ্টির কথা জানানো হয়। এ জন্য দেশের তিন সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়। মাছ ধরার যানগুলোকে গভীর সমুদ্রে না যেতে বলা হয়েছে। এই নিম্নচাপ যদি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়, তবে এর নাম হবে ‘রেমাল’। নামটি ওমানের দেওয়া, এর অর্থ ‘বালু’।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গভীর নিম্নচাপটি আজ দুপুর বা বিকেলের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।  সেটি কাল রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আর এ সময় উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

বজলুর রশিদ আরও বলেন, ‘রেমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।  খুলনা থেকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মাঝামাঝি স্থানে এটি আঘাত হানতে পারে। অপেক্ষাকৃত বেশি এলাকা ধরে ঘূর্ণিঝড়টির বিস্তৃতি থাকতে পারে। সমুদ্র উপকূলের সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।’

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে ‘ঘূর্ণিঝড়’ বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। গতিবেগ যদি ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হলে তখন সেটিকে ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা এর বেশি হলে তা হয় ‘সুপার সাইক্লোন’।

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “কোনো দলের নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানোর এজেন্ডা নেই সরকারের”

কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানোর এজেন্ডা নেই সরকারের, এ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আরো বলেন, যারা অপরাধে জড়িত তাদের পরিচয় দুর্বৃত্ত।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “ভারতে লোকসভার ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ চলছে”

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার ভোট চলছে আজ শনিবার (২৫ মে)। স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। ছয়টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ৫৮টি আসনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভোটগ্রহণ।

নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে বিহারের আটটি আসন, হরিয়ানার সব (১০টি) আসন, জম্মু ও কাশ্মীরের এক আসন, ঝাড়খণ্ডের চারটি আসন, দিল্লির সব আসন (৭টি), ওড়িশায় ছয়টি, উত্তর প্রদেশে ১৪টি এবং পশ্চিমবঙ্গে আটটি আসনে ভোট চলছে আজ। এই আসনগুলোতে মোট ৮৮৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ষষ্ঠ দফায় ওড়িশার ৪২টি বিধানসভা কেন্দ্রেও ভোট হচ্ছে। রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এই পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী, বাঁসুরি স্বরাজ, সোমনাথ ভারতী, মনোজ তিওয়ারি, কানহাইয়া কুমার, দীনেশ লাল যাদব ওরফে ‘নিরহুয়া’, ধর্মেন্দ্র যাদব, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, নবীন জিন্দাল, রাজ বব্বর, দীপেন্দ্র সিং হুডা, কুমারী সেলজা এবং অপরাজিতা সারঙ্গিয়া প্রমুখ।

এই পর্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসনের মধ্যে রয়েছে নয়া দিল্লি, উত্তর-পূর্ব দিল্লি, উত্তর-পশ্চিম দিল্লি এবং কেন্দ্রীয় রাজধানীর চাঁদনি চক এবং উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর এবং আজমগড়। এছাড়া রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রাজৌরি, পশ্চিমবঙ্গের তমলুক, মেদিনীপুর, হরিয়ানার কারনাল, কুরুক্ষেত্র, গুরগাঁও, রোহতক এবং ওডিশার ভুবনেশ্বর, পুরী এবং সম্বলপুর।

আগামী ১ জুন সপ্তম ধাপের ভোটের মাধ্যমে শেষ হবে চলমান লোকসভা নির্বাচন। ৪ জুন ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের ফলাফল।

 

 

The Daily Star বাংলার একটি শিরোনাম “এমপি আনার হত্যা: ‘প্রভাবশালী শত্রু’ তৈরি করেছিলেন আনার”

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ভূমিকা থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার পর ঝিনাইদহে স্বর্ণ চোরাচালানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া শুরু করেছিলেন আনার।

গত কয়েক বছর ধরে, ঝিনাইদহের প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং যশোরের এক রাজনৈতিক নেতা, যারা স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত, তারা অবৈধ স্বর্ণ ব্যবসার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করায় আনারের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক তদন্ত কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তারা হয়তো হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’

গতকাল ঢাকার একটি আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, সোনা চোরাচালানে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনারের অংশীদার আকতারুজ্জামান হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী।

আক্তারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের নাম জানা যাবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।  নিজ শহর ঝিনাইদহে শাহীন মিয়া নামে পরিচিত আক্তারুজ্জামান এমপি আজিমকে কলকাতায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন এবং সেখানেই তাকে হত্যার ব্যবস্থা করেন।

তদন্ত কর্মকর্তাদের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আক্তারুজ্জামান গত ৩০ এপ্রিল কলকাতায় যান এবং নিউ টাউন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করেন।

আক্তারুজ্জামান ওই সময় কলকাতায় অবস্থানরত তার সহযোগী আমানউল্লাহকে যেকোনো মূল্যে আনারকে হত্যার পরিকল্পনা কার্যকর করতে বলেন।

এদিকে আসামি আমানউল্লাহ, সেলেস্তি রহমান ও তানভীর ভূঁইয়াকে গতকাল আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

যোগাযোগ করা হলে ডিবির (ওয়ারী বিভাগ) উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্য আসামিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হবে। আমাদের কাছে কিছু ক্লু আছে, যেগুলো তাদের বক্তব্যের সঙ্গে যাচাই করে দেখব।’

গত ১২ মে কলকাতায় গিয়ে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ছিলেন এমপি আনার। চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে বলে পরদিন সেখান থেকে চলে চান তিনি।

পরে গোপাল আনারের মোবাইল ফোন থেকে বেশ কয়েকটি টেক্সট মেসেজ পান যেখানে তাকে ফোন করার দরকার নেই বলা হয়। বুধবার ভারত ও বাংলাদেশ পুলিশ জানায়, কলকাতার নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে খুন হন এমপি আনার।

গোয়েন্দা ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আক্তারুজ্জামান এবং এমপি আনার একসঙ্গে স্বর্ণ চোরাচালান চক্র চালাতেন। গত বছরের শেষের দিকে টাকাপয়সা নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব হয়, সেসময় আজিম ১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের স্বর্ণ নিজের কাজে রেখে দেন।

গোয়েন্দারা জানান, আনারের কাছ থেকে চোরাচালান করা সোনা কিনতেন পশ্চিমবঙ্গের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল।

গতকাল গোপালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি কখনো স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। আনার ও আক্তারুজ্জামান জুটি সম্পর্কেও তিনি জানতেন না।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাতিশালা বর্জ্য খালের ওপর একটি সেতুর কাছে আজিমের দেহাবশেষ ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পুলিশের বেশ কয়েকটি দল সেটি খুঁজছে।

পশ্চিমবঙ্গের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বৃহস্পতিবার জিহাদ হাওলাদার নামে ২৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে।  জিহাদ মুম্বাইতে অবৈধভাবে বসবাস করতেন এবং কসাই হিসাবে কাজ করতেন।

সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, জিহাদ আরও চার বাংলাদেশির সঙ্গে সংসদ সদস্যকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। কীভাবে তিনি ও অন্যরা লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলেন তাও কর্মকর্তাদের জানান তিনি।

আক্তারুজ্জামান দুই মাস আগে জিহাদকে কলকাতায় নিয়ে আসেন, বলেন সিআইডি কর্মকর্তা।

গতকাল বারাসতের আদালত তাকে ১২ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন।

জিহাদই সম্ভবত অন্য সন্দেহভাজনদের জন্য একটি গাড়ি এবং নিউ টাউনের ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করেছিলেন বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

ঢাকার তদন্তকারীদের মতে, সন্দেহভাজনদের একজন সেলেস্তি আক্তারুজ্জামানের বন্ধু। তিনি ৩০ এপ্রিল আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে কলকাতায় যান এবং ১৫ মে আমানুল্লাহর সঙ্গে ফিরে আসেন।

সেলেস্তি রাজধানীর উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইলে।

 

 

মানবজমিন এর একটি শিরোনাম “জাতিসংঘ আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান ইসরাইলের”

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে যে রায় দিয়েছে জাতিসংঘভিত্তিক আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, গাজায় ক্ষমতাসীন সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস করা এবং গোষ্ঠীটির কব্জায় থাকা জিম্মিদের উদ্ধারে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরাইলি বাহিনীর যুদ্ধ বাঁধার প্রায় দু’মাস পর গত ডিসেম্বরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আদালতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মামলার কার্যক্রমের মধ্যেই রাফায় অভিযান স্থগিতের আর্জি জানিয়ে আবেদন করেছিল বাদিপক্ষ। সেই আবেদনের জবাবে শুক্রবার রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়ে রায় দেন আদালত।

এই রায়ের পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে  রায়কে ‘ভুয়া, ভয়ানক এবং ন্যায়বিচার পরিপন্থী’ উল্লেখ করে বলা হয়, প্রত্যেক দেশেরই আন্তর্জাতিক আইন ও মূল্যবোধ অনুসরণের ভিত্তিতে নিজেদের নাগরিক ও সীমানা রক্ষার অধিকার রয়েছে এবং ইসরাইল ঠিক তা ই করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাফার বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে সেখানে অভিযান চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য সেখানকার শত্রু ঘাঁটিগুলোতে অভিযান চালানো। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ক্ষতিসাধন নয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024