ফয়সাল আহমেদ
কবিতা লেখা শুরু স্কুলজীবন থেকেই। তিনি কবিতা লিখেছে কখনো স্কুলের খাতা কিংবা ড্রইংবুকে, আর কাউকে না দেখিয়ে জমিয়ে রেখেছে শুধু নিজের জন্য। বলছি এম এফ হোসেনের কথা। তিনি ২৪ মে, গতকাল তার নিজস্ব কবিতা ও বেস গিটারের যুগলবন্দী, দ্য পোয়েট অনুষ্ঠিত করেন বনানীর যাত্রা বিরতিতে। সন্ধ্যা ৭ টায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল ব্যতিক্রমধর্মী এবং ভিন্ন ধরনের একটি অনুষ্ঠান। তার কবিতাগুলো অন্য সব কবিদের কবিতার মতোও নয়। কবিতার ধরন এবং আবৃত্তি সম্পূর্ণ আলাদা। কবিতাগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন মেসেজ। কবির মতে, যা আগামির পৃথিবীকে বদলে দিবে। কবি তার নিজস্ব ভাষায় নিজস্ব ভঙ্গিমায় তা প্রকাশ করেছেন।
ঢাকায় দ্য পোয়েটের উদ্বোধনী শো হয় ২০২৩ এর জানুয়ারিতে। তারপর দেশে আর কলকাতা সহ দেশের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু সফল শো এবং বহু স্বীকৃতির পর আবার ঢাকায় দ্য পোয়েট। এবারের বিশেষ সংযোজন পারফরমিং আর্ট।
কবি এম এফ হোসেনের লেখা লেখির শুরুটা সেই শৈশব থেকেই, শৈশবে তার নিজের কিছু কথা ছিল, তিনি তাই লিখে রাখতেন। ঐসব লেখা থেকেই হয়েছে কবিতা। সময়ের সংঙ্গে সঙ্গে সে পেইন্টিংকে বেছে নিয়েছিল প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে, তবু তাকে কবিতা লিখতে হয়েছে, আর কখনো আবৃত্তিও করতে হয়েছে। তার সৃজনশীলতা সবসময়েই এক ইনস্টলেশন শিল্পের আকারে প্রকাশ পেয়েছে এবং এক পর্যায়ে এসে শৈশবের আরো এক ভালোবাসা মিউজিককে তিনি বেছে নিলেন প্রধান উপজীব্য হিসাবে। বাংলাদেশের অনেক ব্যান্ডের সংগে তিনি বাজিয়েছেন।
এম এফ ঢাকা শহরের বেস গিটার শিল্পী। বাংলাদেশের অনেক রক ব্যান্ড-এর সংগে বাজিয়েছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে ভারতের মার্গ সংগীত ও সাইকেডেলিক মিউজিকের সংগে কাজের মাধ্যমে এক জ্যাজ টোন সৃষ্টি হয় তাঁর বাজনায়।
কবিতার শব্দগুলি উচ্চারিত হয় তার কন্ঠে ও হাতের আঙুলে। এবারের ঢাকা শো-তে দ্য পোয়েটের নতুন চেহারা, পারফর্মিং আর্ট যুক্ত হয়ে আরও জোরালো উচ্চারণ। কবি ও মিউজিশিয়ান সত্তার সঙ্গে এবারে মিলছে শিল্পী এম এফ-এর দৃশ্য-নান্দনিকতা।
Leave a Reply