শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৬৬)

  • Update Time : সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪, ৬.৫৬ পিএম

পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।

সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।

 

নেতা ও জনসংযোগ

বিজয়ী নেতা সব সময় একাকি পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ নেতা হিমালয়। তবে মনে রাখা দরকার, হিমালয় কিস্তু পবর্তমালা। আর সেই পর্বতমালার সঙ্গে আছে অসংখ্য প্রানী ও বনজ ও জল সম্পদ।

তাই এখান থেকেই শিক্ষা নিতে হবে, নেতা হিমালয়ের সর্বোচ্চ এভারেস্ট শৃঙ্গ হলেও, এভারেস্ট পর্বতমালায় আরো অনেক পাহাড় রয়েছে তার কাছাকাছি উঁচু। আবার ওই উঁচু পাহাড় গুলোতে পৌঁছানোর আগে অনেক বার ভূমির গঠন পরিবর্তনও দেখা যায়।

 ভূমি ধীরে ধীরে উঁচু হতে থাকে।

এখন এই ভূমির গঠন যদি নেতার পথ চলাকে ধরা হয়।

হিমালয়পবর্তমালাকে যদি নেতার চারপাশের দল বা টিমের নেতাদের ধরা হয়।

তারপরেও বাকি থাকে,  অসংখ্য প্রাণী, বনজ সম্পদ আর জল সম্পদ।

এ্ই তিন কি?

এই তিন মূলত নেতার পারিপাশ্বি‍‍র্কতা। বাস্তবে এই পারিপাশ্বির্কতা  ছাড়া কিন্তু হিমালয় সম্পূর্ণ নয়।

এই পারিপাশ্বি‍র্কতা অর্থাত্‌ চারপাশ যেমন হিমালয়ের জগত

তেমনি দল, টিম বা কোম্পানির সঙ্গে যারা সংযুক্ত আছে বাইরে তারাও নেতার জগত বা পারিপাশ্বিকর্তা।

আর এ জগত প্রথমে নেতা যে দেশে তার মূল কাজটি করেন ওই দেশ।

তারপরে বর্তমানের গ্লোবালাইজেশানের এই সময়ে শুধু যে দেশে বসে নেতা কাজ করেন ওই দেশ নয়, তার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে জড়িয়ে পড়ে অনেক দেশ।

এবং পৃথিবীর শুরু থেকে সকল নেতৃত্বের এই সংযোগ ছিলো। এখন নতুন রূপ পেয়েছে মাত্র।

এখন নেতাকে সেখানে তার কানেকশান বা সংযোগ তৈরি করতে হবে।

একজন নেতার যত বেশি জনসংযোগ থাকে তিনি তত বেশি নতুন নতুন ক্ষেত্র, আইডিয়া ও আইডিয়া বাস্তবায়নের পথ পান।

আর এই জন সংযোগ বাস্তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই মেধা ব্যয়ের একটি কাজ।

জন সংযোগ যেমন একটি আর্ট-

তেমনি একটি জীবন্ত বিষয়।

এখানে প্রতি মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

সিদ্ধান্ত নিতে হয় কীভাবে কতটুকু সংযুক্ত থাকবে।

তারপরে তাকে বুঝতে হয়, কার কাছ থেকে সে কতটুকু বা কোন বিষয়ে গ্রহন করতে পারবে।

জনসংযোগে সব সময়্ই ইনডাইরেক্ট গ্রহনকারী হতে হয়।

এবং নিজেকে যত বিনয়ী রাখা যায় ততই সংযোগ এগিয়ে চলে।

দুর্বিনীত পথ কখনও জনসংযোগের পথ নয়।

আর জনসংযোগের জন্য সব থেকে বড় দিক হলো নিজের চরিত্রকে প্রস্ফুটিত করা।

যাতে স্বাভাবকিই অনেকেই আকর্ষিত হয়।

যেমন একবার কারো সঙ্গে কথা বললে, সে যেন পরবর্তীতে কথা বলতে নিজেই আগ্রহী হয় সেই চরিত্র নিজেকে তৈরি করতে হয়।

তাহলে জনসংযোগ তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলে।

 

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৬৫)

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৬৫)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024