শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪, ১.৪৩ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “বিদেশে বাংলাদেশি বিনিয়োগের দুই-তৃতীয়াংশই গেছে ভারতে”

বাংলাদেশ থেকে গত বছর বিদেশে প্রায় ৩৩০ কোটি টাকা নিট বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ গেছে ভারতে। বিদেশে বিনিয়োগ হওয়া মোট অর্থের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি গেছে প্রতিবেশী দেশটিতে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ২০২৩ সালের বহির্মুখী সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে নিট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার বা প্রায় ৩৩০ কোটি টাকা (ডলার বিনিময় মূল্য ১১০ টাকা হিসাবে)।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, গত বছর বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ভারত। দেশটিতে এ সময় ২ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ২৩১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন বাংলাদেশিরা। সে হিসাবে এক বছরে বিদেশে বিনিয়োগের প্রায় ৭০ দশমিক ৪৫ শতাংশ অর্থই গেছে ভারতে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী”

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণের জন্য পটুয়াখালীর কলাপাড়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস এ তথ্য জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে দুর্গত এলাকার উদ্দেশে রওনা হন।

দুর্যোগকবলিত মঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটা এলাকা পরিদর্শন শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে কলাপাড়ার খেপুপাড়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে কলাপাড়া পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে দুই হাজার দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবেন।

দুপুর দেড়টায় কলাপাড়ার শেখ কামাল ব্রিজ পরিদর্শন করবেন শেখ হাসিনা। এরপর পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মেলনকক্ষে বরিশাল বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

বিকাল ৫টায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের হেলিপ্যাড থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “রোহিঙ্গাদের অনিরাপদ স্থানে ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধে জাতিসংঘের অবস্থান দৃঢ়”

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনিরাপদ স্থানে ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধে জাতিসংঘের অবস্থান দৃঢ় বলে জানিয়েছেন সংস্থার মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক। তিনি বলেন, শরণার্থীদের জোর করে ‘নিরাপদ নয়’ এমন জায়গায় ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধে আমরা দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছি।

রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দায়ের করা আইনি প্রতিষ্ঠান গার্নিকা থার্টিসেভেনের অভিযোগ প্রসঙ্গে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ মে) প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে যে, তারা আর কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিবে না। কর্তৃপক্ষ কি নতুন করে শরণার্থী নিতে সম্মত হয়েছে? ভারত জোরপূর্বক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে প্রবেশে বাধ্য করছে বলে সম্প্রতি গার্নিকা থার্টিসেভেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যে অভিযোগ দায়ের করেছে, সে বিষয়ে জাতিসংঘের মন্তব্য কী?

প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডোজারিক আরও বলেন, এটুকু বলতে পারি, শরণার্থীদের জোর করে ‘নিরাপদ নয়’ এমন জায়গায় ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধে আমরা দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছি। শরণার্থীদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে স্বেচ্ছায় ঘরে ফেরার সুযোগ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্পষ্টতই একটি বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত উদার আশ্রয়দাতা হয়ে উঠছে। আমি মনে করি বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায় অত্যন্ত উদার। আমরা আশা করি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেখানে আমাদের মানবিক কার্যক্রমে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

 

 

The Daily Star বাংলার একটি শিরোনাম “আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত সিলেটের ৪ উপজেলা, ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি”

সিলেটের জৈন্তাপুর ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা সাজিদুর রহমান সাজন গতরাতে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘লাশ উদ্ধার অইমু হয়তো, জীবিত উদ্ধার অইতে পারতাম না, হয়তো এইটা শেষ পোস্ট।’

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল বৃষ্টিতে ভারত সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর উপজেলায় সারি নদী আগেই বিপৎসীমার ওপরে ছিল। সেই সঙ্গে রাতে মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নামা ঢলে দ্রুতই তলিয়ে যেতে থাকে উপজেলা।

তবে দ্রুতই উদ্ধার অভিযান শুরু করে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা। ভোররাতে উদ্ধার হন সাজিদুর রহমান সাজনের মতো আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়া হাজারো মানুষ।

পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যার একইচিত্র সিলেটের গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলাতেও। সব মিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন এই চার উপজেলায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সারি নদী একদিনে ২০২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়াও, সুরমা নদী কানাইঘাট উপজেলা পয়েন্টে ১৯৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৬৬ সেন্টিমিটার ওপর, কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলসীদ পয়েন্টে ২২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২০২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে ৬৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার ফলে সিলেটের নদ-নদীর পানি দ্রুত বেড়েছে।

জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, উপজেলার টিলা এলাকা ছাড়া বাকিসব এলাকাই প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও মানুষের বাড়ির ছাউনি পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘রাতে অন্ধকার ও প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধার অভিযানে সমস্যা হচ্ছিল। ভোর থেকে ব্যাপকভাবে উদ্ধার অভিযান চলছে। মানুষ উদ্ধার করা গেলেও গৃহপালিত পশুপাখির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

লিয়াকত আলী বলেন, ‘চাল বরাদ্দ থাকলেও রান্না করে খাওয়ার মতো শুকনো জায়গা নেই। আমরা বন্যা-কবলিত মানুষের জন্য আপাতত শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করছি।’

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বন্যায় উপজেলার ৭৫ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। জাফলং-বিছনাকান্দিসহ সব পর্যটন এলাকার পর্যটকবাহী নৌকা নিয়ে উদ্ধার অভিযান চলছে।’

তিনি বলেন, ‘বন্যার পূর্বাভাস থাকায় আমরা আগেই ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। কাল রাতেই ১৬৭টি পরিবার আশ্রয় নেয়, সকাল থেকে যা ২৫০ ছাড়িয়েছে। অনেক মানুষ নিজের বাড়িঘর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী উঁচু বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।’

ইউএনও আরও জানান, বন্যা-কবলিত মানুষের জন্য আগের বরাদ্দ ৪৮ টন চালের সঙ্গে নতুন ১৫ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও, ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বন্যা কবলিতদের ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসাইন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি খারাপ। স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রয়োজনে তারাও উদ্ধার অভিযানে যোগ দেবে।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক হয়েছে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল-রুম খোলা হয়েছে। বন্যা-কবলিত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024