শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন

দেশের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে

  • Update Time : বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪, ১০.৩৪ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলর একটি শিরোনাম “মোদিকে হয়তো আর সাত-আট দিন প্রধানমন্ত্রী বলতে পারব: মমতা”

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। তাঁকে হয়তো সাত-আট দিন প্রধানমন্ত্রী বলা যাবে। মঙ্গলবার রাজ্যের বেহালায় এক নির্বাচনী সভায় এ মন্তব্য করেন মমতা।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম বা শেষ দফার ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১ জুন। পশ্চিমবঙ্গেও ওই দিন শেষ দফায় ৯টি আসনে ভোট হবে। এর আগে মঙ্গলবার দুটি রোড শো ও একটি নির্বাচনী সভা করেন মমতা। উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি থেকে ওই রোড শো শুরু হয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে শেষ হয়। দ্বিতীয় রোড শোটি হয় কলকাতার এন্টালি থেকে বালিগঞ্জ পর্যন্ত।

রোড শো শেষে বেহালায় নির্বাচনী সভায় মমতা বলেন, ‘মোদি এবার আর ক্ষমতায় ফিরবেন না। বিদায় নেবেন। মোদিকে আর হয়তো সাত- আট দিন প্রধানমন্ত্রী বলতে পারব। কারণ, এবার আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না তিনি। ক্ষমতায় আসবে ইন্ডিয়া জোট।’

এদিকে শেষ দফার নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার কলকাতায় প্রথমবারের মতো রোড শো করেছেন নরেন্দ্র মোদিও। এদিন সন্ধ্যার পর উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারের পাঁচ মাথার মোড় থেকে এই রোড শো শুরু করেন তিনি। এই রোড শোতে মোদিকে দেখার জন্য রাস্তার দুধারে বিজেপির নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নামে।

এই রোড শোতে মোদির সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধায়ক ও রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী, উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় এবং দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত।

এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারইপুরে নির্বাচনী জনসভা করেন মোদি। বারইপুরের জনসভায় তিনি ঘোষণা দেন, বাংলায় এবার সবচেয়ে বেশি আসনে বিজেপি জিতবে। ৪ জুন (নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন) নতুন ইতিহাস লেখা হবে। বিজেপি ৪০০ আসন পার করবে।

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “দেশের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে”

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেশের ৮৭টি উপজেলায় তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এ ধাপে ১০৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ২২টির ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এর আগে আরও দুটি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। ফলে এ ধাপে মোট ৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসি।

ইসির তথ্যমতে, তৃতীয় ধাপের ভোটে ৮৭টি উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান, চার জন ভাইস চেয়ারম্যান ও সাত জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন মিলিয়ে মোট এক হাজার ১৯৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৬টি পৌরসভা ও ৮৪১টি ইউনিয়নের ২ কোটি ৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৪ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭ হাজার ৪৫০টি। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট বিজিবি মোতায়েন থাকবে ২৯৯ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ২৯ হাজার ৯৫৮ জন, মোবাইল টিমে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ৭ হাজার ৭৯৪ জন, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ৩ হাজার ৩৬৪ জন। সর্বমোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ৫৯ হাজার ২১৯ জন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র‌্যাবের মোট ২৩০টি টিম মোতায়েন থাকবে। ভোটকেন্দ্র এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৬৯ জন।

নির্বাচনে স্বাভাবিক এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ, চৌকিদার, দফাদারসহ মোট ১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বিশেষ এলাকার (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০-২১ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটগ্রহণের তিন দিন আগ পর্যন্ত আচরণবিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রতিরোধে প্রতি উপজেলার জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রতিরোধে প্রতি ৩টি ইউনিয়নের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৩০টি উপজেলায় অতিরিক্ত ২৯ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ১৮টি  টিম, ১৯২ জন আনসার ও ৬৩ জন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।

নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত ১২টা থেকে বুধবার (২৯ মে) রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোট (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ব্যতীত) ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসি। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় ভোটগ্রহণের দুদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পরদিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২২ জন। ২১ মে এই ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। প্রথম ধাপের রেকর্ডসংখ্যক কম ভোটের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। এর পেছনে কৃষকদের ধান কাটা ও বৃষ্টিসহ পাঁচটি কারণকে দায়ী করে পরের ধাপে ভোটার উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশাবাদী ছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরের ধাপেও কাঙ্ক্ষিত ভোটার উপস্থিতি না হওয়ায় সরকারবিরোধী বিএনপির বর্জনকেই মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “গাজায় বাস্তুচ্যুতদের ক্যাম্পে ফের হামলা, নারীসহ নিহত অন্তত ২১”

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বাস্তুচ্যুতদের ক্যাম্পে ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২ জন নারী। হামলায় আহত হয়েছেন আরো অর্ধশতাধিক মানুষ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাফার আল-মাওয়াসিতে এ হামলা চালানো হয়।  খবর আল জাজিরা।

ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মকর্তারা ও ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা জানায়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের কাছে আল-মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর একটি তাবু ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, হামলায় ৬৪ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ওই এলাকাটিতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে।

তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফার আল-মাওয়াসিতে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। আগ্রাসন পরিচালনাকারী এ সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গত কয়েক ঘণ্টার প্রতিবেদনের বিপরীতে (আমরা বলতে চাই), আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) আল-মাওয়াসির ওই মানবিক এলাকায় হামলা করেনি।’

ইসরায়েল এর আগে পশ্চিম রাফাতে আল-মাওয়াসিকে মানবিক এলাকা হিসাবে ঘোষণা করেছিল এবং সেসময় ফিলিস্তিনিদের তাদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে সরে যাওয়া উচিত বলে জানিয়েছিল।

আল জাজিরার প্রতিবেদক খুউদারি গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে জানিয়েছেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী আরেকটি অস্থায়ী তাঁবু ক্যাম্পকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালিয়েছে, যেখানে বেশিরভাগ মানুষই ছিলেন নারী ও শিশু।’ তিনি আরো বলেন, ‘গাজা উপত্যকা জুড়ে নিরাপদ কোনো এলাকা নেই। রাফাতে কোনো হাসপাতাল নেই। আহত ও নিহতদের সবাইকে ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কর্পস ফিল্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই।’

 

 

The Daily Star বাংলার একটি শিরোনাম “পদের সঙ্গে পদক ও সম্পদ বেড়েছে বেনজীরের”

সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ একদিকে যখন ‘অর্জন’ করে যাচ্ছিলেন মর্যাদাপূর্ণ পুলিশ পুরস্কার, অপরদিকে তখন তিনি ও তার পরিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে কিনে যাচ্ছিলেন একরের পর একর জমি এবং অন্যান্য সম্পত্তি।

প্রায় ৩৫ বছরের চাকরি জীবনে তিনি পাঁচবার বাহিনীর সর্বোচ্চ পদক ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল’ (বিপিএম) লাভ করেন।

র‌্যাবের সাবেক এই মহাপরিচালক সেরা করদাতা পুরস্কার এবং শুদ্ধাচার পুরস্কারও পেয়েছেন।

তিনি ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ছিলেন।

অবসর গ্রহণের দুই বছরেরও বেশি সময় পর চলতি মাসে ঢাকার একটি আদালত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেওয়ার পর আবারও খবরের শিরোনামে এসেছেন তিনি।

দুদকের নথিতে দেখা যায়, বেনজীর ও তার পরিবার ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে অন্তত ২০৪ দশমিক ৫ একর জমি কিনেছেন।

এর মধ্যে ১১২ একর কিনেছেন তিনি পুলিশ ও র‌্যাব প্রধান থাকাকালে।

এ পর্যন্ত তদন্তকারীরা ঢাকা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও কক্সবাজারে তার এবং তার স্ত্রী ও তিন মেয়ের মালিকানাধীন জমির সন্ধান পেয়েছেন।

এর মধ্যে প্রায় ১১২ একর জমি তার নিজ জেলা গোপালগঞ্জে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১১, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে বাহিনীতে সাহসী ভূমিকা, জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযান, রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবদানের জন্য বিপিএম পুরষ্কার পান বেনজীর।

পুলিশ সূত্র জানায়, প্রতিবার বিপিএম পুরস্কার অর্জনে তিনি একটি পদক, এক লাখ টাকা এবং একটি সনদ পেয়েছেন। এ ছাড়া, অতিরিক্ত হিসেবে প্রতিবার পুরস্কার প্রাপ্তির পর তার মূল বেতনের সঙ্গে ১ হাজার ৫০০ টাকা ভাতা যোগ হয়েছে।

২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বেনজীর। এর মধ্যে ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযান এবং রাজনৈতিক সহিংসতা দমন, পেট্রোল বোমা হামলা দমন ও হোলি আর্টিসানে জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে বেনজীরকে বিপিএম পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষার্থী বেনজীর ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ তাকে ২০২০-২১ সালে তাকে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেয়। অথচ, দুদকের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবার ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রায় ৮৭ দশমিক ৯ একর জমি কিনেছিলেন।

শুদ্ধাচার পুরস্কারে একটি সনদপত্র, একটি ক্রেস্ট এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়। ২০২২ সালের জুনে পুরস্কার পাওয়ার পর বেনজীর ঘোষণা দেন যে তিনি তার পুরস্কারের অর্থ সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের সহায়তার জন্য দান করবেন।

ন্যাশনাল ইন্টিগ্রিটি স্ট্র্যাটেজি অনুসারে, শুদ্ধাচার বলতে সাধারণভাবে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ বোঝায়। এর মাধ্যমে একটি সমাজের মানদণ্ড, নীতি ও প্রথার প্রতি আনুগত্যও বোঝানো হয়। ব্যক্তিপর্যায়ে এর অর্থ বোঝানো হয়—কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও নৈতিকতার সঙ্গে কর্ম সম্পাদন ও যাপিতজীবন।

২০২১ সালে বেনজীরকে সেরা করদাতা নির্বাচিত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

যে সময়ে তাকে সেরা করদাতা হিসেবে মনোনীত করা হয়, ওই সময়ে তিনি ও তার পরিবার ১৩৮ একরেরও বেশি জমির মালিক ছিলেন।

এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে গত দুদিনে বেনজীরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়। আমরা খতিয়ে দেখব, তিনি কীভাবে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।’

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘অবাধ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেনজীর আহমেদ বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। এটা ওপেন সিক্রেট ছিল। কিন্তু তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনসহ কেউই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস করেনি। সাবেক পুলিশ প্রধান যা করেছেন তা কল্পনার বাইরে।’

তিনি বলেন, ‘যখন ক্ষমতা ছিল, তখন যা খুশি তাই করতে পারতেন এবং তারপরও পার পেয়ে গেছেন। তিনি ভেবেছিলেন যে সব সময় তার একই অবস্থা থাকবে। তিনি এখন সরকারের আনুকূল্য না থাকায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

‘শুদ্ধাচার পুরস্কারের মতো মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি দেওয়ার আগে কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা,’ যোগ করেন তিনি।

সুজন সম্পাদক বলেন, ‘আমি তো ভেবে অবাক হই, র‌্যাব ও পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব পালনের সময় বেনজীর আহমেদ যখন দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন, তখন কর্তৃপক্ষ কী গভীর ঘুমে ছিল!’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024