পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
১. নেতা কখনও নিজরে চরিত্রে স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রশ্রয় দেবে না। স্বেচ্ছারিতা শুধু নিজের সিদ্ধান্তকে ভুল পথে নিয়ে যায় না, নেতার টিম, দল বা কোম্পানির জন্যে ক্ষতি কর হয়।
যেমন যুদ্ধক্ষেত্রে একজন বড় জেনারেলের স্বেচ্ছাচারিতা দুর্বল বিপক্ষ শক্তির বিপরীতে পরাজয়ের কারণ হয়।
৬০ এর দশকে আরব- ইসরাইল যুদ্ধে সমগ্র আরববিশ্ব ও তার পেছনে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মত শক্তি ছিলো। আরববিশ্বকে তখন নাসেরের মত মিশরীয় নেতা নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তারপরেও ওই যুদ্ধে আরববিশ্বের পরাজয়ের মূল কারণ ছিলো যুদ্ধের মাঠের নেতৃত্বে থাকা মিশরীয় জেনারেলের স্বেচ্ছাচারিতা।
কোন দল, টিম বা কোম্পানির ধ্বংসের কারণও হয় এক পর্যায়ে নেতার স্বেচ্ছাচারিতা।
২. নেতা কখনও ভীরু স্বভাবের হবে না।
নেতা ভীরু স্বভাবের হলে সে প্রতিক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধান্বিত থাকে। অনেক বড় সিদ্ধান্ত সে নিতে পারে না। বড় কোন কিছু, নতুন কিছু বা আগত ভবিষ্যতের কোন কিছু গ্রহন করতে সে ভয় পায়।
আর বড় কিছুকে গ্রহন করতে না পারলে-
আগত ভবিষ্যতের টেকনোলজি থেকে শুরু করে নতুন যে কোন চিন্তাকে গ্রহন করতে দ্বিধান্বিত হলে- ওই নেতার দল বা টিম বা কোম্পানি বা অন্য কিছু অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
৩. নেতা কখনও রুক্ষ মেজাজের হবে না
নেতার মেজাজ কখনও রুক্ষ হতে নেই। নেতার মেজাজ রুক্ষ হলে তার কাজের ভেতর দিয়ে যে কোন সময় যে কেউ ইনসাল্টেড হবার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে দলের লোক বা টিমের লোক ক্রমেই তার থেকে মানসিকভাবে দূরে সরে যায়। এবং কেউ তাকে ভালো কোন সিদ্ধান্ত দিতে এগিয়ে আসে না্। সবার মনে অপমানিত হবার ভয় থাকে।
৪. নেতা নিজের সম্মান কমাবেন না
নেতা কখনও এমন কোন কাজ করবে না যাতে তার সামাজিক সম্মান কমে যায়। কারণ, সামাজিক সম্মান কমে গেলে সে কোন কাজে প্রকৃত অর্থে এগুতে পারে না। নেতার দল, টিম এমনকি কোম্পানির গুরুত্বও নির্ভর করে তার সামাজিক সম্মানের ওপর।
যেমন ভারতে অনেক বড় বড় নতুন কোম্পানি নেতা হয়েছে। তারা এখন মাঝে মাঝেই বিশ্বের ধনীদের এক নম্বর বা দুই নম্বর র্যাঙ্কে চলে যায়। তবে তারা কেউই গ্রাহকের কাছে টাটা বা বিডলার মতো সম্মান অর্জন করতে পারেনি। যে কারণে তাদের টিকে থাকার জন্যে কোন না কোন রাজনৈতিক দলের কিছুটা দুর্নামের সঙ্গে সমর্থন লাগে।
৫. নেতা তার লোকের জন্যে বেশি কেয়ারিং হলে
বেশি একাগ্রতা বা বেশি কেয়ারিং মূলত নেতাকে সব সময় স্বন্তস্ত্র করে রাখে। যা তার নিজের, দলের ও কোম্পানি বা তার অন্য কোন কিছুর জন্যে খারাপ।
যেমন কোন বাবা – মা যদি সন্তানের প্রতি মাত্রা অতিরিক্ত কেয়ার নেয়া শুরু করে তাহলে শুধু যে ওই সন্তানের ক্ষতি হয় তা নয়। দেখা যায় পিতা মাতাও এক ধরনের মানসিক সমস্যায় পড়ে।
নেতার মানসিক স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Leave a Reply