পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
নেতৃত্বে রিয়েল লাইফ
বাস্তবে নেতৃত্ব কোন তাত্ত্বিক বিষয় নয়। এটা বাস্তব জীবন। নেতৃত্ব এগিয়ে চলে বাস্তব সময়ের প্রতি মুহূর্তের ওপর ভর করে।
তাই নেতৃত্বের অন্যতম বিষয় হলো প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন বিষয়কে গ্রহন ও বর্জন করার ক্ষমতা রাখা। এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা।
সেক্ষেত্রে কতকগুলো বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন-
১. নেতাকে যে কোন সময়ে একটা ভিন্ন ধরনের বিষয় মেনে নিতে হতে হবে। কারণ, অতীতে ও বর্তমানে স্বাভাবিকভাবে যা ঘটছে তাই যে সব সময় ঘটবে এমন একটা ধারণায় কখনও স্থির হয়ে বসে থাকা উচিত নয়।
২. নেতাকে সব সময়ই চিন্তা করতে হবে ভিণ্ণ ধরনের কিছু একট করার। সেখানে তাকে অবশ্যই তার দল, টিম বা কোম্পানিতে চিহ্নিত করতে হবে, কে কে তার দলের জন্য বা কোম্পানির জন্য ভিন্ন ধরনের কিছু করতে পারবে। তাদেরকে সেভাবেই নেতাকে চিহ্নিত করতে হবে। এবং কাজে লাগাতে হবে।
৩. নেতাকে অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে, যখন কোন নতুন কিছু করার চেষ্টা হবে তখন কি কি বাধা আসবে। এবং এই বাধা তাকে রিয়েল লাইফে দাঁড়িয়ে চিহ্নিত করতে হবে।কারণ এ বাধা কখনও আগের থেকে জানিয়ে আসবে না। আর এখানেই নেতার রিয়েল লাইফের সব থেকে বড় কাজ অর্থাত্ নতুন কাজে যে বাধা আসবে সেগুলোকে প্রশমিত করা বা দূর করার জন্যে কী কী কাজ করা যেতে পারে। এর জন্যে কোন কপি বুক নেই। নেতাকে তাত্ক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর সিদ্ধান্ত নেবার জন্যে তার দরকার বাস্তবতা বোঝা ও বিষয় সম্পর্কে পড়াশোনা। তাহলে সে অবশ্যই ওই বাধা দূর করার জন্য কী কী করতে হবে তা নির্ধারণ করতে পারবে।
৪. নেতাকে অবশ্যই রিয়েল লাইফে দাঁড়িয়ে বুঝতে হবে, অতীতের অবস্থার থেকে বর্তমান অবস্থার পার্থক্য কতটা। এই পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারলে বর্তমান প্রেক্ষিতের করণীয় সে বুঝতে পারবে এবং তখন বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া তার জন্যে সুবিধার হবে।
Leave a Reply