পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
নেতা কখনও নিজেকে চালাক লোকে পরিনত করবে না
স্মার্ট নেতা, তাই সে কোন দলের, টিমের বা কোম্পানি যেখানের হোক না কেন সে কখনও সাধারণ মানুষের মতো চালাক কোন ব্যক্তি হবে না।
তাকে সব সময়ই মনে রাখতে হবে তার পরিচিতি যেন কখনই শেয়াল হিসেবে না হয়। তার পরিচিতিকে তাকে সিংহের ভেতরই রাখতে হবে।
কারণ, যারা চালাক তারা কৌশলী নয়-
আর যে যুদ্ধের বা কাজের স্ট্রাটেজি তৈরি হয় কৌশলি মেধার মাধ্যমে।
তাই কৌশলী সিংহর মেধার চলন ও চরিত্র থাকে বুদ্ধিমত্তায়, চতুরতায় নয়।
সিংহ জঙ্গলের উঁচু পাহাড়ে উঠে সমগ্র জঙ্গলকে পরিমাপ করে বা জরিপ করে।
যে কারনে জরিপের অপর প্রতিশব্দ সিংহাবোলকন। বা সিংহের মত দেখা।
অর্থাত্ সিংহ স্ট্রাটেজি তৈরি করার আগে সমগ্র বিষয়টি জরিপ করে নেয়। সেখানে সে কোন চতুরতার আশ্রয় নেয় না। জরিপের অর্থ বাস্তবতার আশ্রয় নেয়া।
বাস্তবতার আশ্রয় নিলে অনেক দিক থেকে কাজ সুচারু হয় কারণ, সেখানে সে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারনা রাখতে পারে।
সর্বোপরি বিষয়টির প্রতি জরিপের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের ফলে তাকে কখনই কোন ক্ষেত্রে চালাকির পথ নিতে হয় না।
আর চালাকের যে ঘাটতি থাকে তা হলো সম্মানের।
সিংহের কোন সম্মানের ঘাটতি নেই।
সম্মান শুধু একটি ডেকোরম নয়।
সম্মান মূলত সব থেকে বড় সম্পদ।
নেতা চালাক হলে- দল, কোম্পানি বা সমাজ কোন জায়গা থেকে সে সম্মান অর্জন করতে পারবে না।
আর সম্মানের মতো মূল সম্পদের অধিকারী না হয়ে কোন মতেই শেষ লক্ষ্যে এগুনো যায় না।
যেমন বাঘেরও একটা সম্মান আছে।
কিন্তু বাঘের দাঁত চলে যাবার পরে অনেক সময় সে জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে এসে মানুষ খেতে শুরু করে।
যারা পরিনতি হয় তার অনেক করুণ।
অথচ সে যদি জঙ্গলের সম্মানিত জীবন মেনে নিতো –
তাতে তার খাদ্য কষ্ট হলেও সে কখনই করুণ মৃত্যুর শিকার হতো না।
Leave a Reply