পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
বিতর্কিত ইস্যু
যে কোন কাজে অবশ্যইবিতর্কিত ইস্যু আসবেই। বিতর্কিত ইস্যু সৃষ্টি হওয়া অর্থ এ নয় যে এটা তার জন্যে খারাপ। সব সময়ই মনে রাখা প্রয়োজন পজিটিভ, নেগেটিভ ও বির্তকিত সব ইস্যুই মূলত ইস্যু।
আর যত বেশি ইস্যু’র সৃষ্টি হবে ততই নেতা বা তার কাজে লাইভ বা চলমান সেটাই বোঝায়।
এখন নেতাকে প্রথমে জানতে হবে কেন বিতর্কিত ইস্যু তৈরি হয়।
নেতা বা পৃথিবীর সকলেই জানে-
বিতর্কিত ই্স্যু তৈরি করে মূলত চারপাশের কনফিলিক্টগুলো।
নেতার বা কোন কাজের চার পাশে কনফিলিক্ট থাকবেই বা সৃষ্টি হবেই।
এখন নেতাকে বিশ্লেষণ করতে হয় কেন এই কলফিলিক্টগুলো সৃষ্টি হচ্ছে এবং কতগুলো কনফিলিক্ট। আর এ্রর উৎসগুলো কোথায়।
অনেক সময় নেতা নিজে সব উৎস খুঁজে বের করার যোগ্য হবে না।
কারণ এক এক ধরনের উৎসের এক একেক রকম চরিত্র।
তাই এগুলো খুঁজে বের করার জন্যে তাকে অবশ্যই একটা টিম তৈরি করতে হবে বা হায়ার করতে হবে।
এখানেই নেতার নেতৃত্বর পরিচয় দেবার একটি জায়গা।
অর্থাত সে কেমন টিম তৈরি করতে পারে
এবং কাকে হায়ার করবে।
কারণ, এই টিমের লোকের যোগ্যতা, চরিত্র ও বিশ্লেষনের ওপরই মূলত কনফিলিক্টগুলো মেটানো বা কমানো সম্ভব।
আবার তাদের ভুল সিদ্ধান্ত, ভুল বিশ্লেষণ এই কলফিলিক্ট আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
আর যখনই কলফিলিক্ট আরো বেড়ে যায় তখন আরো নতুন নতুন বিতর্কিত ইস্যুর সৃষ্টি হয়।
কনফিলিক্ট কমানো বা কম্প্রোমা্ইজের আর্ট
কনফিলিক্ট কমানেরা সব থেকে বড় উপায় কম্প্রোমাইজ। কম্প্রোমাইজকে অনেকে মনে করতে পারে এক ধরনের পরাজয়।
কিন্তু নেতাকে দেখতে হয় কম্প্রোমাইজ অর্থ বিজয়ের জন্যে একটি ভিত্তি রচনা করা।
পৃথিবীর বেশিভাগ বড় বড় বিজয়ের ভিত্তি সৃষ্টি হয়েছে কম্প্রোমাইজের মাধ্যমে।
নেতাকে জানতে হবে কখন সে কতটুকু কম্প্রোমাইজ করবে এবং কখন সে কতটুকু এডভান্স করবে।
Leave a Reply