শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট চলছে

  • Update Time : শনিবার, ১ জুন, ২০২৪, ১০.২০ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

যুগান্তরের একটি শিরোনাম “ভারতে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট চলছে”

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ চলছে। আজ শনিবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ভোট নেওয়া হচ্ছে দেশটির ৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ৫৭টি লোকসভা আসনে।

এর মধ্য দিয়েই ভারতের ৫৪৩টি লোকসভা আসনে ভোট শেষ হবে। এ দফায় দেশজুড়ে ৯০৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এর মধ্যে অন্যতম বিজেপির শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শেষ দফায় ভোট হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের ১৩, পাঞ্জাবের ১৩, পশ্চিমবঙ্গের ৯, বিহারের ৮, ওড়িশার ৬, হিমাচল প্রদেশের ৪, ঝাড়খন্ডের ৩, আর চণ্ডিগড়ের ১টি আসনে।  এ দফায় মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৬ লাখ।

দুটি কারণে শেষ পর্বের ভোটের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই। প্রথমত, উত্তর প্রদেশের বারানসি আসনে বিজেপির প্রার্থী তিনি।  দ্বিতীয় কারণ, দক্ষিণ ভারতের শেষ ভূখণ্ড কন্যাকুমারীতে সমুদ্রের মধ্যে অবস্থিত ‘বিবেকানন্দ রক’-এ গিয়ে তার ধ্যান করার সিদ্ধান্ত। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে সেখানে শুরু হয়েছে তার ধ্যানপর্ব ও আরাধনা। আজ শনিবার ভোট শেষে তিনি ধ্যান ভঙ্গ করবেন।

গত ১৬ মার্চ ভারতের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের নিম্নসভা লোকসভা ভোটের সূচি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। সেই থেকে আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে চলে নির্বাচন প্রক্রিয়া।

 

 

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ভয় দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের জমি কিনে নেন বেনজীর আহমেদ”

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে প্রায় ৬০০ বিঘা জমি কেনা হয়েছে। এসব জমির প্রায় সবই ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের। তাঁরা বলছেন, জমি বিক্রি ছাড়া তাঁদের কোনো উপায় ছিল না। ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে তাঁদের কাছ থেকে জমিগুলো কেনা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে গিয়ে জমি বিক্রি করা হিন্দু পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের জমি কিনতে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়োজিত রেখেছিলেন বেনজীর আহমেদ। বেনজীর পরিবারের রিসোর্টের নির্মাণকাজের তদারক করতেন পুলিশ ও র‍্যাবের কিছু সদস্য। তাঁদের দিয়ে তরমুজ চাষসহ কৃষিকাজও করানো হয়েছে। মাঠপর্যায়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি প্রথম আলোর কাছে স্বীকারও করেছেন। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্দেশ দিলে কিছু করার থাকে না।

বেনজীর আহমেদ এসব জমি কেনা ও রিসোর্ট গড়ার কাজটি করেছেন আইজিপি (২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর) ও র‍্যাবের মহাপরিচালক থাকার সময়ে (২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল)।

জমি বিক্রেতাদের একজন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বড়খোলা গ্রামের সরস্বতী রায়ের (৬২) কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কেন জমি বিক্রি করেছেন? প্রশ্ন শুনেই বিলাপ শুরু করেন সরস্বতী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কত কষ্ট হইরা, সুদে টাহা নিয়া জমিটুক (৩১ শতাংশ) কিনছিলাম। হেই জমিটুক দিয়া আসা নাগছে।’ জমি কে নিয়েছে? সরস্বতী বলেন, ‘বেনজীর নিছে।’ বেনজীর কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বড় পুলিশ’ বলে শুনেছেন।

‘রাজি না হলে জমি যাবে, টাকাও পাবেন না’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের নামে এখন পর্যন্ত ৬২১ বিঘা জমির খোঁজ পাওয়া গেছে, যার ৫৯৮ বিঘা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ও মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। উপজেলা দুটি পাশাপাশি। আর বেনজীর পরিবারের জমিও দুই উপজেলার সীমান্তঘেঁষা এলাকায়। ওই এলাকার গ্রামগুলো হিন্দু অধ্যুষিত।

বেনজীর আহমেদ সেখানে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক নামে একটি রিসোর্ট করেছেন। এই রিসোর্টে মানুষকে থাকার জন্য কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়। ১০০ টাকা দিয়ে প্রবেশ করে ঘুরেও দেখা যায়। রিসোর্টটির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভেতরে খামার, নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা, শিশুদের খেলার জায়গা ও হেলিপ্যাডসহ নানা স্থাপনা রয়েছে।

রিসোর্টটি পড়েছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম বৈরাগীরটোলায়। ওই গ্রাম ও পাশের ডোমরাশুর গ্রামে গত মঙ্গলবার গিয়ে জমি বিক্রেতা পরিবারগুলোর ২৭ সদস্যের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের মধ্যে ২৫ জনই বলেছেন, তাঁরা জমি বিক্রি করতে চাননি, বাধ্য করা হয়েছে। তাঁদের ভয় দেখিয়েছেন পুলিশের পরিদর্শক তৈমুর ইসলাম।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈরাগীরটোলা গ্রামের এক জমি বিক্রেতা বলেন, তাঁর তিন বিঘা পৈতৃক সম্পত্তি জমি কিনে নিয়েছে বেনজীরের পরিবার। তিনি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা তৈমুর ইসলাম বেনজীরের পক্ষে জমির মালিকদের কাছে যেতেন। গিয়ে বলতেন, ‘আমি ভালো অফিসার (কর্মকর্তা), তাই আপনাদের কিছু টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। যদি বিক্রি করতে রাজি না থাকেন, তবে জমিও যাবে, টাকাও পাবেন না।’

সাভানা ইকো রিসোর্টের কাছে একটি চায়ের দোকানে পাওয়া যায় বৈরাগীরটোলা গ্রামের তরুণ সঞ্জয় বলকে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর পরিবারের ৩০ বিঘার বেশি জমি জোর করে কিনে নিয়েছেন বেনজীর। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে যখন এই জমি বেচাকেনা হয়, তখন বেনজীর র‍্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন।

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বিপুল বিনিয়োগের পর রেলওয়ে এখন সেবা সংকোচনের পথে হাঁটছে”

এক দশক ধরে বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিনিয়োগ হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি। সারা দেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসতে নতুন নতুন রেলপথ নির্মাণ, ট্র্যাক সংস্কারসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু সেবা বৃদ্ধির পরিবর্তে এখন সংকোচনের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সর্বশেষ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে একটি চলমান সেবা বন্ধের পাশাপাশি আরো বেশকিছু ট্রেন বন্ধের চিন্তাভাবনা করছে রেলওয়ে।

নতুন রেললাইন নির্মাণ, সংস্কার ও সেবা বাড়ানোর পরিকল্পনার পরও রেলের পিছিয়ে পড়ার চিত্র উঠে আসে বেশকিছু পদক্ষেপে। ২০১১ সালে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও এক দশকের বেশি সময় ধরে ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথের অন্যতম প্রতিবন্ধক ‘কালুরঘাট’ রেল সেতু পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ যথাসময়ে নেয়নি রেলওয়ে। পূর্বাঞ্চলের সাতটি সেতুতে ভারী ইঞ্জিন চলাচলের সুযোগ না থাকলেও সেতু সংস্কার বা নির্মাণ না করে আমদানি করায় ইঞ্জিনের ব্যবহার সীমিত হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প বিবেচনায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট তড়িঘড়ি করে ৫০ কোটি টাকায় সংস্কার করা হয়। তবে ভৈরব পুরাতন, কুশিয়ারা, ঘোড়াশাল (আপ), শম্ভুগঞ্জ, ঘুমঘাট ও ছাতক-সিলেট রুটের ২৮ নম্বর সেতু দিয়ে ভারী ইঞ্জিন চলাচল করতে পারে না। মেরামত সম্পন্ন করতে না পারায় প্রতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতি দিয়ে এসব ভারী ইঞ্জিন চালানো হয়।

প্রতি বছর নতুন রেলপথ নির্মাণের উদ্বোধন ও ট্রেন সেবা শুরু করলেও চাহিদা অনুযায়ী ইঞ্জিন আমদানি করেনি। সংকটের মধ্যেও যথাসময়ে জনবল নিয়োগ না দেয়া, সাধারণ ও অত্যাবশ্যকীয় কর্মীদের পদোন্নতি টানা কয়েক বছর ধরে বন্ধ রাখায় দফায় দফায় ট্রেন সেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে রেলওয়ে। উদ্বোধনের পর দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রেলপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রতিদিন ২০-২২ জোড়া ট্রেনের পরিকল্পনা থাকলেও মাত্র দুটি ট্রেন চলছে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার। ২৯ মে পর্যন্ত চলাচল করা কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনকে শিডিউল বর্ধিত করে স্থায়ীকরণের প্রস্তাব দেয়া হলেও সেটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া চট্টলা ও হাওর এক্সপ্রেসের অবমুক্ত রেক দিয়ে (পিএইচটি টাইপ কোচ) ১৭/৩৪ কম্পোজিশনে ৮১০টি আসন সংবলিত একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালানোর প্রস্তাব করা হলেও সেটি বাস্তবায়ন করেনি রেলওয়ে।

রেলের পরিবহন বিভাগ ও ওয়ার্কিং টাইম টেবিলের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে কভিড-১৯ কালীন বন্ধের পর অন্তত ১০৫টি মেইল, এক্সপ্রেস, কমিউটার জাতীয় দ্বিতীয় শ্রেণীর ট্রেন বন্ধ (উভয় অঞ্চল) করে দেয় রেলওয়ে। শুধু পূর্বাঞ্চলে ৫৬টি ট্রেন আজও চালু করেনি। এরপর সাময়িকভাবে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৩০টি ইঞ্জিন আমদানি হলেও কয়েক বছরের মধ্যে এসব ইঞ্জিনের অধিকাংশই এখন অকেজো হয়ে বসে আছে। এছাড়া আটটি নতুন আমদানি করা ৩০০০ সিরিজের আটটি ইঞ্জিন দীর্ঘদিন ধরে চারটির পরিবর্তে দুটি মোটরে চলাচল করছে। যার কারণে এসব ইঞ্জিনের গতি কমে নেমে এসেছে প্রতি ঘণ্টায় ২০-৩০ কিলোমিটারের মধ্যে। ফলে নতুন আমদানি ইঞ্জিনগুলো ব্যবহার না হওয়ায় যাত্রীবাহী ট্রেনের খর্বিত শিডিউল চালু রাখতে হিমশিম খাচ্ছে রেলের পরিবহন বিভাগ।

বিপুল বিনিয়োগের পরও রেল সেবা সংকোচনের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘রেলের ইঞ্জিনগুলো দীর্ঘদিনের পুরনো। ৩০-৪০টি ছাড়া সব ইঞ্জিনই মেয়াদোত্তীর্ণ। সময়মতো ও যথাসময়ে নতুন করে ইঞ্জিন আমদানি হয়নি। সর্বশেষ আমদানি হওয়া ২০-৩০টি ইঞ্জিনসহ অধিকাংশ পুরনো ইঞ্জিনের ওপর নির্ভর করে সেবা পরিচালনা করতে হচ্ছে আমাদের।’

রেলের সেবা কমানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কভিড-১৯ সময়ে কিছু অপ্রচলিত ও অজনপ্রিয় ট্রেনের সেবা কমানো হলেও এখন কোনো ট্রেনের সেবা কমানোর পরিকল্পনা নেই। কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি রেলের রেগুলার শিডিউলে অন্তর্ভুক্ত নয়। ঈদের আগে যাত্রীচাপের সময় বাড়তি সুবিধা ও সেবা দিতে হলে পুরনো ইঞ্জিন ও কোচগুলো ওভারহোলিং, মেরামতসহ নানা কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এজন্য কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী ঈদুল ফিতরের সময়ে স্পেশাল ট্রেন হিসেবে এটি আবার যাত্রী পরিবহন করবে।’

রেলের তথ্যমতে, পূর্বাঞ্চল রেলে প্রতিদিন ইঞ্জিনের চাহিদা ১১৬টি। প্রকৌশল বিভাগ প্রতিদিন ১০০ (কম বেশি) ইঞ্জিন সরবরাহ করেছে বা করতে পারবে বলে জানালেও প্রকৃতপক্ষে ইঞ্জিন পাওয়া যায় ৮৫টি। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন রেলপথে বুড়িমারী এক্সপ্রেস, ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন সেবা চালুর পর অন্তত পাঁচটি ইঞ্জিন প্রতিদিন এ তিন ট্রেনের জন্য বরাদ্দ দিতে হয়। তাছাড়া কয়েক মাস আগের দুর্ঘটনায় চারটি ইঞ্জিন কার্যত অকেজো হয়ে গেছে। দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ইঞ্জিনের মধ্যে ৩০০০ সিরিজের দুটি ইঞ্জিন আগামী এক বছরের মধ্যে মেরামতের আশা থাকলেও বাকি দুটি ইঞ্জিন (২৯০০ ও ২৬০০ সিরিজের ইঞ্জিন) মেরামতের অযোগ্য বলে জানিয়েছে যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগ। সব মিলিয়ে নতুন ট্রেনের জন্য পাঁচটি ইঞ্জিন ও দুর্ঘটনায় চারটি ইঞ্জিনের এ ঘাটতি রেলওয়ের স্বাভাবিক ট্রেন অপারেশন কার্যক্রম চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। এজন্য আরো কয়েকটি ট্রেন বন্ধ করা যাবে কিনা সে বিষয়ে শিগগিরই বৈঠকে বসবে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওপিএস) মো. শহিদুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা চরম ইঞ্জিন সংকটে ভুগছি। প্রায় এক দশক আগে ৭০টি ইঞ্জিন ক্রয়ের একটি প্রকল্প দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর বাতিল হয়ে যাওয়ায় রেলওয়ের স্বাভাবিক শিডিউল চালু রাখতে সমস্যা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, নতুন ট্রেন চালানোর মতো কোনো অবস্থা রেলের নেই। এর পরও নতুন রেলপথ উদ্বোধনের পর প্রকল্প ব্যয়কে জাস্টিফাই করার জন্য অন্তত একটি বা দুটি ট্রেন সেবা চালানো হচ্ছে। মূলত পণ্যবাহী ট্রেনের জন্য বরাদ্দ ইঞ্জিন সরিয়ে (চাহিদা ১৬টি হলেও পণ্যবাহী ট্রেনে দেয়া হয় ১০-১২টি) নতুন ট্রেন চালানো হচ্ছে। যার কারণে বর্তমানে পণ্য পরিবহনে ইঞ্জিনের সংখ্যা নেমে এসেছে ছয়-সাতটিতে। আন্তঃনগর ট্রেনের মতো সেবাও মারাত্মক শিডিউল বিপর্যয়ের কবলে পড়ছে প্রতিদিন।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের নতুন প্রস্তাব কী আছে”

গাজা যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলি প্রস্তাব মেনে নিতে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার সময় এসেছে। খবর বিবিসির।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন পর্যায়ের এই প্রস্তাব ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শুরু হবে- যেখানে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজার জনবসতি এলাকা থেকে তাদের বাহিনীকে সরিয়ে নেবে।

গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেছেন, প্রথম ধাপের প্রস্তাবের পরিকল্পনায় পুরোপুরি এবং সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির সুযোগ আছে। হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের মুক্তি এবং জনবহুল এলাকা থেকে আইডিএফ সরিয়ে আসবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এটা সত্যিকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। হামাস বলেছে যে তারা যুদ্ধবিরতি চায়, এখন হামাসের সামনে প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে যে, তারা আসলেই এটা চায় কিনা। এই যুদ্ধবিরতি হলে গাজায় আরও মানবিক ত্রাণ ঢুকবে বলে জানান বাইডেন।

বিবিসি বলছে, হামাস যুদ্ধবিরতির সময় ‘নির্দিষ্ট সংখ্যক’ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। যার মধ্যে নারী, বয়স্ক ব্যক্তি এবং আহত জিম্মিরা থাকবেন।

অন্যদিকে এর বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দি থাকা কয়েক শ মানুষকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া হামাসের হাতে জিম্মি অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপে হামাস বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে যার মধ্যে পুরুষ সেনা আছে। এরপর এই যুদ্ধবিরতিকে ‘স্থায়ীভাবে শত্রুতা বন্ধে’  উন্নীত করা হবে।

তৃতীয় পর্যায়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জিম্মি ফেরানোর প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ করা হবে। গাজার জন্য বড় ধরণের একটি ‘পুনর্গঠন পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। এর আওতায় মার্কিন ও আন্তর্জাতিক সহায়তায় গাজা উপত্যকায় বাড়ি, বিদ্যালয় ও হাসপাতাল পুনর্নির্মাণ করা হবে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় এক লাখ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024