পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
যে ভয়গুলো নেতার জন্যে ভয় নয়
১. অনেক সময় দেখা যায়, প্রকৃত উতস থেকে না এসে ভিন্ন ভিন্ন উতস থেকে অনেক ভীতিকর বা বাধার বিষয় নেতার সামনে এসে উপস্থিত হচ্ছে।
সে ক্ষেত্রে নেতা কখনই ভয় পাবে না বা সেগুলোকে বাধা মনে করবে না। কারণ সে জানে এগুলোর কোনটাই প্রকৃত উত্স থেকে উতপত্তি নয়। তাই এগুলোর স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটবে।
যেমন নেতা জানে তার জনবল বা মালামাল আসবে স্থলপথে। সে সময়ে যদি তার ওপর নৌ পথের স্যাংশন নামে তাতে তার ভয় পাবার কোন কারণ নেই।
কোন রাষ্ট্র নায়ক যদি জানে ওই দেশটি নিরাপত্তার বিষয়ে তার সঙ্গে একমত। সেখানে পররাষ্ট্র বা বানিজ্য বিষয়ে যদি কিছু দ্বিমত আসে,
জনগনের অধিকার নিয়ে যদি কিছু দ্বিমত আসে- তাতে নেতার ভয় পাবার কোন কারণ নেই যে ওই দেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক খারাপ হবে।
ঠিক এমনি দেখা যাচ্ছে এ মুহূর্তে একটি পণ্য নিয়ে কাজ করা সহজ হচ্ছে না। তবে নেতার কোম্পানির জন্যে ওইপণ্য থেকে সুইস ওভার করার পথ আছে। সে পন্য নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবে একইভাবে। তাই সেখানে তার ভয় পাবার কোন কারণ নেই।
২. জনবল বা টিমের সদস্যদের নিয়ে সমস্যা হতে পারে অনেক সময়। নেতা যদি জানে সে জনবলের পরিবর্তে মেশিন ব্যবহার করে অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারবে তাহলে সেখানে সে নিশ্চয়ই ভীত হবে না।
আবার টিমের সদস্যদের যদি সে বিকল্প আগের থেকে তৈরি করে রাখে বা করার সক্ষমতা থাকে তাহলে সে কখনও ভীত হবে না।
৩. নেতার সঙ্গে কারো একজনের ঘনিষ্ট সম্পর্ক গিভ এন্ড টেকের । সেখানে যদি কখনও দেখা যায় যে সম্পর্ক একটু শীতল যাচ্ছে তাতে নেতা কখনও ভীত হবে না। নেতা শুধু অপেক্ষা করবে কখন সে তাকে বড় একটা কিছু দিতে পারবে। যখনই সে বড় একটা কিছু দিতে পারবে তখনই ওই সম্পর্ক আবার গাঢ় হবে।
Leave a Reply