নিজস্ব প্রতিবেদক
মুখরোচক ও বাহারি ইফতারের কথা মনে হলে প্রথমই মনে আসে চকবাজারের ইফতারির নাম। ভোজনবিলাসীরা রমজান শুরু হলেই নানা স্বাদের ইফতারির স্বাদ নিতে, দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন রাজধানীর চকবাজারে। ঐতিহ্যবাহী ইফতারি শুধু রাজধানীতেই নয়, এর সুনাম সারাদেশেই রয়েছে।
রোজার প্রথম দিনই জমে উঠেছে পুরান ঢাকার চকবাজারের ইফতারি বাজার। দুপুর থেকেই চকবাজারের শাহি মসজিদের সামনে দোকানিরা ভিড় করছে। হরেক রকমের কাবাব, কোফতা, রোস্ট, পরোটা, তন্দুরি, ফুলুরি, পেঁয়াজু, বেগুনি, হালুয়া, শরবতের মতো শতেক পদের উপাদেয় খাবারের সম্ভার। দইবড়া, জিলাপিসহ বেশ কিছু আইটেম।
সবাই চায় মজার ইফতারি করতে। যুগ যুগ ধরে মানুষ পেস্তা শরবতের জন্য পাগল। এটি চকবাজারের খুব জনপ্রিয় আইটেম ।
ডালায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে মুখরোচক ইফতারি। চকবাজারে বেশিরভাগ দোকানেই ইফতার কিনতে হয় লাইনে দাঁড়িয়ে। ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙ্গা ভইরা লইয়া যায় একটি বিশেষ ইফতারের নাম।
‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙ্গা ভইরা লইয়া যায় একটি বিশেষ ইফতারের নাম। ১৯৪৫ সালে শাহী জামে মসজিদ চত্বরে বাণিজ্যকভাবে এ খাবার বিক্রি শুরু করেন একজন বিক্রেতা। এখন বংশ পরম্পরায় তার ছেলে এখন বিক্রি করছেন ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙ্গা ভইরা লইয়া যায়।
‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’তৈরিতে ডিম, মগজ, আলু, ঘি, কাঁচা ও শুকনো মরিচ, মাংস, সুতি কাবাব, মাংসের কিমা, ডাবলি, বুটের ডালসহ নানা পদের খাবার আইটেম ও হরেক ধরনের মসলা প্রয়োজন।
একটি বড় গামলায় বিভিন্ন ধরনের আইটেম দুই হাতে ভালোভাবে মাখিয়ে তারপর ঠোঙায় করে বিক্রি করা হয়।
চকবাজারের এ ইফতারের কদর শুধু ঐতিহ্যগত কারণেই নয়, গুণগতমান ও স্বাদও বড় একটি কারণ।
Leave a Reply