সারাক্ষণ ডেস্ক
বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের আহবানে আজ বিকাল ৩ টায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশ পরবর্তী জাতীয় বাজেটে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং, বাজেটের ১০% বরাদ্দ সহ ৮ দফা দাবিতে সংসদ অভিমুখে পদযাত্রা এবং স্পিকার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
পদযাত্রা পূর্ব শ্রমিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন-ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি- এড.মহবুবুর রহমান ইসমাইল, সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন-শ্রমিক নেতা- সালাউদ্দিন স্বপন, শহিদুল ইসলাম সবুজ, লাভলী ইয়াসমিন, শবনম হাফিজ, সুলতানা আক্তার, কে.এম মিন্টু, রাজু আহমেদ, এফ.এম আবু সাঈদ, হারুন সরকার, আব্দুল করিম শেখ, ঢাকা রাইড শেয়ারিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি-সজিব হোসেন, সাধারন সম্পাদক-হালিম তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা- কামরুল ইসলাম সহ প্রমূখ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সভাপতি এড.মাহবুবুর রহমান ইসমাইল তার বক্তব্যে বলেন, জাতীয় বাজেটে, শিল্প বাজেট, কৃষি বাজেট, স্বাস্থ্য বাজেট, শিক্ষা বাজেট, প্রতিরক্ষা বাজেট প্রবৃতি বাজেট থাকলেও আলাদাভাবে শ্রমিকদের জন্য কোন বাজেট বরাদ্দের খাত নেই। জিডিপিতে প্রায় ৬ কোটি শ্রমিকের অবদানই সবচেয়ে বেশি অথচ এই শ্রমিকদের জন্য নেই রেশনিং, স্বাস্থ্য সুরক্ষার চিকিৎসা এবং সন্তানের লেখাপড়া, বাস্তবে শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ বলতে কিছু নেই ।
৫২ বছরে জাতীয় বাজেটের আকার ৭শত ৮৬ কোটি টাকা থেকে ৯ শত ৬৭ গুন বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের উন্নয়ন ও জিডিপি বৃদ্ধির ঘোষণা শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের কোন উন্নতি হয়নি। দেশে বর্তমানে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ১৪ কোটি মানুষের নিজস্ব কোন আবাসন নাই। বাস্তবে সরকার শ্রমিকদের শুধু মাত্র ভোটার হিসাবে দরকার মনে করলে কিš‘ শ্রমিকদের মানুষ ও নাগরিক বলে মনে করে না।
যদি সরকার শ্রমিকদের নাগরিক হিসাবে মনে করত তা হলে বাজেটের হিস্যায় শ্রমিকেরা ৩ ভাগের ১ ভাগ প্রাপ্য হতো। অত্যান্ত দুঃখজনক বাজেটে শ্রমিক নামে কোন আলাদাভাবে খাত নেই। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নিম্ম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নত হয়েছে। সে কারনেই শ্রমিকদের জীবনমান দরিদ্র সীমার নিচে অবস্থান করতে পারে না।
সামাবেশে নেতৃবৃন্দগণ বলেন, উন্নয়নের নামে বাজেট প্রচার করা হলেও কোন সরকারই সুষম বাজেট করতে পারে নাই। যার করণে শ্রমিকরা আজ বাজেটের প্রাপ্য থেকে সম্পূর্ন বঞ্চিত হয়েছে। টাকার অংকে শ্রমিকদের মজুরি বাড়লেও দ্রব্য মূল্যের বৃদ্ধির কারনে শ্রমিকরা আজ অভাব অনটণে দিন যাবপ করছে।
রেশনিং ব্যবস্থা চালু থাকলে সিন্ডিকেট কালো বাজারি ব্যবসায়িরা দ্রব্য মূল্য বাড়িয়ে দিয়ে বছরে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা শ্রমিকদের পকেট থেকে লুটে নিতে পারতো না। নেতৃবৃন্দ এবারের বাজেটে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং, আবাসন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সন্তানের শিক্ষার জন্য ১০% বাজেট বরাদ্দ জনায়। সামবেশ শেষে সংসদ অভিমুখে একটি বিরাট মিছিল পদযাত্রা এবং স্পিকার বরাবরে ৮ দফা দাবিতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
Leave a Reply