সারাক্ষণ ডেস্ক
‘নায়িকা’ বললেই যেমন ফর্সা বর্ণের ছিপছিপে গড়নের কারো চেহারা কল্পনায় আসে, তিনি সেরকম কিছু নন। গালে ব্রণের দাগ স্পষ্ট। খুব একটা মেকআপও নেই মুখে। জোর করে আবেদনময়ী সাজার কোনো চেষ্টাও নেই তার মধ্যে।
পোশাক পরিচ্ছদে নেই আভিজাত্য কিংবা লা ঝকঝকে ভাব। সবসময় একেবারে সাদামাটা পোশাকেই দেখা মেলে তার। চেহারাটাও যে খুব নায়িকাসুলভ, তা-ও নয়। কিছুটা লাজুক, তবে মুখে হাসি লেগেই থাকে। ব্যস, এইটুকুই!কিন্তু সত্যি বলতে কি, তার এই সাবলীলতা, সরলতা আর অকৃত্রিম একটা জীবনাচরণ, সবাইকে চুম্বকের মতো কাছে টানে। আর এ জন্যেই তিনি হয়ে উঠেছেন সত্যিকারের একজন অপরূপা। বলছিলাম, সাই পল্লবীর কথা। ভারতের এই দক্ষিণী শিল্পী, চিত্রনায়িকার প্রচলিত সংজ্ঞাটাই পাল্টে দিয়েছেন!
সাই পল্লবীর মধ্যে সবচেয়ে নজরকাড়া ব্যাপার হলো, তিনি নিজে যেমন, সেভাবেই নিজেকে গ্রহণ করে নিয়েছেন। তার ন্যাচারাল লুক, অভিনয়, সবকিছু মিলিয়ে এমন দাঁড়িয়েছে যে, নায়িকারা যেন আলাদা কিছু নয়। গ্ল্যামারাস পর্দাটাকে তিনি, তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন।
বাস্তব জীবনে তিনি যেমন, সিনেমাতেও তাই। সিনেমাতে তিনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেকআপও নেন না। জোর করে গালের ব্রণ লুকানোরও চেষ্টা করেন না। বিউটি প্রোডাক্টের পক্ষেও নন তিনি। তার কথা হলো- যে যেমন সে সেভাবেই সুন্দর। যার ত্বকের রঙ যা হোক, সেটাতেই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।
সাই পল্লবী পেশায় একজন চিকিৎসক। নায়িকা হবার পর তারকাখ্যাতি পেয়েও নিজের পেশার প্রতি দায়বদ্ধতার কথা ভুলে যাননি বিন্দুমাত্র। এখনও রোগী দেখেন সময় করে।
সাই পল্লবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দিকটি হচ্ছে, তার আত্মবিশ্বাস। সেই আত্মবিশ্বাসের দেখা মেলে তার পারফরম্যান্সেও। ‘প্রেমাম’ থেকে ‘কালি’ হয়ে শ্যাম সিংহ রায়’- তার ব্যক্তিত্ব আর অভিনয়ের দ্যুতিতে কোটি সিনেমাপ্রেমীকে ‘ফিদা’ করেছেন বারবার।
Leave a Reply