সারাক্ষণ ডেস্ক
সোশ্যাল মিডিয়াতে “ওটজেম্পিক” শব্দটি প্রায় মাসখানেক ধরেই বেশ ঘুরছে । শব্দটি মুটিয়ে যাওয়া মানুষের সাথে বেশী সম্পৃক্ত। তবে এটি কোন ড্রাগ নয়। এটি একটি চুনের পানি আর ওটমিলের মিশ্রণ।
“ওটজেম্পিক” আসলে কি
“ওটজেম্পিক” তৈরী করতে গেলে আপনাকে নিতে হবে আধা কাপ ওটস, এক কাপ পানি এবং আধাকাপ চুনের পানি। ব্যস, তৈরী হয়ে গেল মিশ্রণ। রহস্য থাকা সত্ত্বেও, টিকটোকারদের একটি গ্রুপ মিশ্রণটাকে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে ইতোমধ্যে ঝড় তুলেছে।
এই ওটজেম্পিক জুস নিয়ে প্রায় ৪০,০০০ বার ভিডিও প্রচার হয়েছে যাতে একহাজারেরও বেশী মন্তব্য প্রচার হয়ে ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে।
ওটজেম্পিক এ যে ভাল ফলাফল পাওয়া যায় তা নিয়ে একটি চ্যালেজ্ঞ গ্রুপও এখন প্লাটফরমে আছে। আরেকটা কথা, ওটজেম্পিককে দ্রুত বলতে গিয়ে ওজেম্পিক বললেও ক্ষতি নেই।
‘ওটজেম্পিক‘ পানে কি ওজন কমতে পারে?
ওটজেম্পিকের ওজন-হ্রাসের শক্তির পিছনের তত্ত্বটি অবশ্য ওটসের সাথে সম্পর্কিত। ওটসে এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার বিটা- গ্লুকান বেশি থাকে, ফলে পেট ভরে এবং ক্ষুধা কমায়।
কিন্তু আমরা দেখতে পাই অনেক ডায়েটারও উপবাস করছেন। আমরা কি খাবার বাদ দিয়ে ক্যালোরি সঞ্চয় করেছি ? ওটস কি একটি ক্রিম পনিরের কাজ করেছে? সম্ভবত এটি-
১) কম খাওয়ার ফলে কিছু লোকের ক্যালোরি গ্রহণকে হ্রাস করে
২) ওটসের কারণে বেশিক্ষণ পেট পূর্ণ থাকা মনে হওয়া কিংবা
৩) পূর্ববর্তী উচ্চ ক্যালোরি প্রাতঃরাশকে প্রতিস্থাপন করছে।
‘ওটজেম্পিক‘ এ কি কোন উপকার পায় মানুষ ?
এটা স্পষ্ট যে ওটসে স্বাস্থ্য উপকারিতা অবশ্যই আছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে ওটস হৃদরোগ, টাইপ II ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাতে একটা ভূমিকা পালন করে।
অবশ্যই এগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ, কোলেস্টেরল-হ্রাসকারী ফাইটোস্টেরল এবং ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে।
সকলের উচিৎ স্বাস্থ্যকর, সুষম, সুস্বাদু খাবার গ্রহণ করা। যদি ওটস মিশ্রণ এবং চুনের পানীয় আপনাকে মানিয়ে নেয় তাহলে চালিয়ে যেতে পারেন। নিজের ডায়েট পরিচালনা করার ক্ষেত্রে যা মনে রাখতে হবে সকলের-তা হলো প্রত্যেকের
১. খাওয়ার ধরণগুলি পৃথক করা করতে হবে।
২. কোনো একপ্রকার খাবারেই সব ডায়েট নেই।
৩. আপনার ওজন আর আপনার স্বাস্থ্যের পার্থক্য আছে এটা মানতে হবে।
৪. ডায়েট দীর্ঘমেয়াদী টেকসই হতে হবে।
৫. আপনার খেতে ভাল লাগে এমন বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি-সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
Leave a Reply