পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
নেতা কখন অবকাশে যাবেন?
নেতাকে কখন অবকাশে যাবেন এ একটা বড় প্রশ্ন। তবে খুবই সহজ এর উত্তর। নেতার জীবনাচারনের মধ্যে যা আছে তিনি সেভাবেই তা করবেন।
যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটলির নেতৃত্বে ব্রিটেন যখন জার্মানীর কাছে নতজানু সে সময়ে তাদের পার্লামেন্টে নেতা পরিবর্তনের প্রশ্ন এলে এক পর্যায়ে চার্চিলের নাম আসে। এবং চার্চিল যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী হন।
সে সময়ে একদিন রানীর তার সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ একান্ত আলোচনা করার প্রয়োজন পড়ে। এ জন্য তার আগের দিনের একটি মিটিং-এ রাণী তার কাছে জানতে চান তাঁর দৈনন্দিন রুটিন কি? সেখানে রানী জানতে পারেন তিনি একটু ন্যাপ নেন।
রানীর তার সঙ্গে লাঞ্চ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু চার্চিল যেহেতু ন্যাপ নেন। তাই তিনি চার্চিল যাতে ন্যাপ নিতে পারেন সেটা ঠিক রেখে তাঁর সঙ্গে বিকেলে জরুরী মিটিং দেন।
ঠিক তেমনি আরেকজন রাষ্ট্র নায়ক তার দেশে সামরিক অভ্যূত্থানের প্রস্তুতির সব খবর জানার পরেও তিনি তার লাঞ্চের পরে তার যে ন্যাপ নেবার অভ্যাস সেটা তিনি ঠিকই নেন। তার পরে তিনি শান্ত মাথায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেন। এবং সামরিক অভ্যূত্থানকে ঠেকাতে সমর্থ হন।
তাই নেতার অবকাশ সব সময়ই হবে নেতার চরিত্র ও জীবন ধারনের স্বাভবিক নিয়ম অনুযায়ী নেবে নেতা। এটা নেতা নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনিই তার কাজের ও চরিত্ররে নিয়মানুযায়ী বুঝতে পারবেন কোন সময় তাকে কী ধরনের অবকাশ নিতে হয়।
কেন অবকাশ?
পৃথিবীতে অনেক বড় বা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ভেতর দেখা গেছে অনেক সমর নায়ক অবকাশে চলে যান। আসলে ওই অবকাশ তাকে নতুন করে যুদ্ধের নানান পরিকল্পনা মাথায় আসতে সাহায্য করে ।
আবার দেখা যায় কোন দেশে কোন নেতা বার বার তার রাজনৈতিক দলকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি এগুতে পারছেন না। তখন কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তাকে অনেক সময় অবকাশের পরামর্শ দেন। আর ওই অবকাশ তাকে সাফল্যর অনেক সূত্র জোগাতে সাহায্য করে।
এমনকি অনেক লেখক দীর্ঘদিন লিখতে পারছেন না। দেখা যায় একটি ভিন্ন ধরনের অবকাশ তাকে নতুন করে লেখার পথ করে দেয়।
অনেক শিল্পপতি তার কোম্পানি নিয়ে যখন হাবুডুবু খেতে থাকেন সে সময়ে দেখা গেছে তিনি কোন দ্বীপে বা কোথাও নিজেকে নিয়ে গিয়ে নতুন করে নিজের মনোজগত পরিবর্তন ও শক্তিশালী করে আসতে পারেন।
Leave a Reply