শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন

‘৪ কোটি কিডনি রোগী ডাক্তার ৩৬০’, মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার শুরু, তরুণ নেতৃত্বের সমন্বয়ে পাকিস্তানের নতুন মন্ত্রিসভা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪, ৮.০৬ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

 

মালেভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিহারু নিউজের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার আজকের শিরোনাম India begins removing military personnel from Maldives: Report.

 

রিপোর্টে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলে ছিলেন ভারতীয় সেনারা।  দ্বীপদেশ মালদ্বীপ থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত। এরই মধ্যে দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ২৫ জনকে। যদিও এদের পরিবর্তে মালদ্বীপে বেসামরিক ব্যক্তিদের পাঠানোও শুরু করেছে ভারত সরকার। মিহারু বলছে, মালদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলের ওই এলাকায় তিনটি ভারতীয় আকাশযান রয়েছে। এর মধ্যে দুটো হেলিকপ্টার। এসব এখন বেসামরিক কয়েকজন ভারতীয় পরিচালনা করবেন। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছুই জানায়নি ভারত কিংবা মালদ্বীপ। তবে মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরাতে আগেই সংবাদ প্রকাশ করেছে মিহারু। মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে নিতে বারবার তাগিদ দিয়ে আসছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু। এমনকি সময়ও বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি ভারত সরকার জানায়, গত রোববার মালদ্বীপ থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করবে তারা। ঠিক কবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি। ক্রমেই চীনের দিকে ঘেঁষছে মালদ্বীপ। আর দেশটিতে থাকা ৮৮ ভারতীয় সেনাকে সরিয়ে নিতে তাগিদ দিয়ে আসছেন প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু। আগামী মে মাসের মধ্যে সব সেনা যাতে সরিয়ে নেওয়া হয় সে ব্যাপারে আলাপও হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। এদিকে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেই প্রতিরক্ষা সহায়তা পেতে চীনের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছে মালদ্বীপ। গত সপ্তাহে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এ চুক্তির তথ্য প্রকাশের পর আবারও ভারতীয় সেনাদের দেশ ছাড়ার জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমা তা স্মরণ করিয়ে দেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই মোহামেদ মুইজ্জু প্রতিশ্রুতি দেন তিনি দ্রুত ভারতীয় সেনাদের দেশ থেকে বের করার প্রক্রিয়া শুরু করবেন। এ জন্য তিনি পরে সময়সীমাও বেঁধে দেন। সেই সময়সীমা আসার আগেই এবার প্রতিরক্ষা চুক্তি হলো চীন ও মালদ্বীপের মধ্যে।  মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহামেদ ঘাসান মাউমুন চীনের আন্তর্জাতিক সামরিক সহায়তা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেজর জেনারেল ঝাং বাউকুনের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় সামরিক সহায়তা নিয়ে আলাপ হয় দুজনের মধ্যে। তখনই সহায়তা চুক্তিতে সই করেন তাঁরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক টুইটের মাধ্যমে এই তথ্য শেয়ার করেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহামেদ ঘাসান মাউমুন। তবে চুক্তিতে কী রয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। এর মধ্যেই মালদ্বীপকে ১২টি পরিবেশবান্ধব অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছে চীন। রোববার এই উপহারের সঙ্গে একটি চিঠিও পাঠানো হয়। মালদ্বীপে চীনের এসব কার্যক্রম নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ভারত। তবে মালদ্বীপের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই নিরাপত্তা বাড়াতে লাক্ষাদ্বীপে নতুন নৌঘাঁটি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে ভারতের নৌবাহিনী জানায়, মালদ্বীপে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। নতুন ঘাঁটিটি এই অঞ্চলে দিল্লির নজরদারি বাড়াতে সহায়তা করবে।

 

পাকিস্তানের ডন পত্রিকার আজকের শিরোনাম ছিল ‘New blood joins old guard in federal cabinet’.

 

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তরুণ নেতৃত্বের সমন্বয়ে পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এবার ১৯ জন জায়গা পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন পূর্ণমন্ত্রী, ১ জন প্রতিমন্ত্রী। রাজধানী ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্ট হাউসে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ১৯ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর শপথ পড়ান। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করা হয়। এর আগে গতকাল দিনের শুরুতে নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রেসিডেন্ট জারদারিকে একটি নোট পাঠান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। ডনের হাতে আসা ওই নোটে বলা হয়, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে ১২ জন জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ), ৩ জন সিনেটর। এ ছাড়া টেকনোক্র্যাট হিসেবে মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব, মহসিন নাকভি ও আহাদ চিমা মন্ত্রিসভায় আছেন। শাহবাজ শরিফ সরকারে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে শাহজা ফাতিমা খাজাকে। নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি একমাত্র নারী। নতুন মন্ত্রিসভায় খাজা মুহাম্মদ আসিফকে প্রতিরক্ষা, প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও উড়োজাহাজ চলাচল, মোহাম্মদ ইসহাক দারকে পররাষ্ট্র, মুহাম্মদ আওরঙ্গজেবকে অর্থ ও রাজস্ব, মহসিন নাকভিকে স্বরাষ্ট্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

পোর্টফোলিও বরাদ্দের ক্ষেত্রে কয়েকটি চমক রয়েছে।।  কারণ চারবারের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে ব্যাংকার এবং প্রাক্তন এইচবিএল প্রধান মুহাম্মদ আওরঙ্গজেবকে সরকারের অর্থ ও রাজস্বের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাছাই করা হয়েছে।

 

শপথ অনুষ্ঠানের পরপরই, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সভাপতিত্বে ফেডারেল মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক হয়েছিল, যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে সরকার সাধারণ মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার জন্য কাজ করবে। ঘটনাচক্রে, মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মিঃ আওরঙ্গজেবের পাকিস্তানি নাগরিকত্বের আবেদন মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়। প্রাক্তন ব্যাঙ্কার আওরঙ্গজেব আগে নেদারল্যান্ডের নাগরিক ছিলেন।

 

 

নিউ এইজ এর প্রধান একটি শিরোনাম, ‘HC orders probe into Labaid patient’s death’ অর্থাৎ ‘ল্যাব এইডে রোগীর মৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের। 

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি রাহিব রেজা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তদন্তের জন্য স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে একজন চিকিৎসকের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করতে বলেছে হাইকোর্ট। আদালত স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে কমপক্ষে পাঁচজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং একজন আইনজীবী নিয়ে কমিটি গঠন করে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।

 

ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় রাহিব রেজা মারা যান বলে ভুক্তভোগীর বাবা-মা ও স্ত্রীর দায়ের করা রিট আবেদনে বলা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে মৃত ব্যক্তির আয় বিবেচনা করে ল্যাবএইড হাসপাতালের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন আবেদনকারীরা।

 

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না কিছুতেই’।

 

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিলেও তাতে কাজ হচ্ছে না। মুদ্রানীতি দিয়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে প্রতি মাসেই সুদহার বাড়ছে। এতে বেড়ে যাচ্ছে ব্যবসার খরচ। বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কর্মসংস্থানে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সুদহার বৃদ্ধি  অর্থনীতিতে বাড়তি চাপ তৈরি করছে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।

 

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে। গত ডিসেম্বরে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। চলতি রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বাজারে জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বেড়েছে। ফলে মার্চে মূল্যস্ফীতি আগের চেয়ে বাড়বে বলে ধারণা করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। এর সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা, সরবরাহ চেইনসহ অন্যান্য অনেক বিষয় জড়িত। সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থনীতির প্রচলিত নিয়মে চাহিদা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমানো যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও গত জুলাই থেকে মুদ্রানীতি সংকোচনের মাধ্যমে বাজারে তারল্য কমাচ্ছে। সরকারকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ সরবরাহ না করে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিতে বলা হয়েছে। আবার ডলার বিক্রির বিপরীতে বাজার থেকে টাকা উঠে এসেছে। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই সুদহার দ্রুত বাড়ছে। ঋণের পাশাপাশি আমানতের সুদ বাড়লে মানুষ ভোগ কমিয়ে সঞ্চয়ে আগ্রহী হয়। আবার ঋণ নিয়ে নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ কম দেখায়। এতে উৎপাদনও কম হয়। একই সঙ্গে ভোগের জন্য ঋণ নেওয়ার আগ্রহ কমে। তবে আমাদের এখানে অনেক ক্ষেত্রে অর্থনীতির সাধারণ এ নিয়ম অনেক সময় কাজে আসে না। আমদানিনির্ভরতার কারণে ‘কস্ট পুশ’ তথা ডলারের দরজনিত একটি মূল্যস্ফীতি হয়। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রে যে কোনো একটি অজুহাত সামনে এনে কারণ ছাড়াই দর বাড়িয়ে দেয়। অবশ্য একটি ভালো খবর হলো, ডলারের দর অনেক দিন ধরে তেমন বাড়ছে না। আমদানিতে ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় স্থিতিশীল হয়ে আছে।

 

ব্যাংকিং খাত নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘সুদ-আসল দুটোই হারানোর শঙ্কা’।

 

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে আমানত সংগ্রহে চলছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। কোনো কোনো দুর্বল ব্যাংক সর্বোচ্চ ১৩-১৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ অফার করছে। এ ধরনের উচ্চ সুদে আমানত নিলে সে প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী কমপক্ষে ১৬-১৭ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে হবে। এছাড়া কয়েকটি দুর্বল নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমানত পেতে সর্বোচ্চ ১৭-১৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ প্রস্তাব করছে। সেক্ষেত্রে ঋণ দিতে হবে ২০-২১ শতাংশ সুদে। এই অসম প্রতিযোগিতার কারণে ঋণের সুদও বেড়ে যাচ্ছে। এতে বিপাকে পড়ছেন ঋণগ্রহীতারা। এছাড়া উচ্চ সুদের এ টাকা ফেরত আসবে কি না-সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই-এমন শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে-ইতোপূর্বে যত অনিয়ম হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে লোভনীয় অফারে আমানত নিয়ে পরে সুদ-আসল দুটোই খোয়া গেছে। অর্থাৎ এভাবে অস্বাভাবিক সুদে আমানত নিলে সেখানে সুদ তো দূরে থাক, মূল টাকাও ফেরত পাওয়ার আশা নেই।

 

বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চতুর্থ প্রজন্মের একটি দুর্বল ব্যাংক ১০ বছর মেয়াদি আমানতে সুদ অফার করেছে ১৩ শতাংশ। এছাড়া একটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক বছর মেয়াদি আমানত নিচ্ছে ১২ শতাংশে। আমানতের অঙ্ক কোটি টাকার ওপরে হলে সুদহার হবে ১৩ শতাংশ। এভাবেই টাকার অঙ্ক ও মেয়াদ বাড়লে সুদের হার ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছে। এটা আনুষ্ঠানিক কোনো অফার নয়। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিকে এসব অফার অত্যন্ত গোপনীয়তার মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। কখনো কখনো ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমেও এসব লোভনীয় অফার দেওয়া হয়।

 

 

বিমান চলাচলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, ‘A close call for US-Bangla’ অর্থাৎ ‘ইউএস-বাংলার জন্য সতর্ক বার্তা’

 

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে,  এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ চট্টগ্রামের রানওয়েতে উঠে পড়ে, যেখানে আরও একটি উড়োজাহাজ এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে সেখানে অবতরণ করতে যাচ্ছিল। মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে দুটি উড়োজাহাজ অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও এই ঘটনার কোনো তদন্ত হয়নি। বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) ও পাইলটদের মধ্যে কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং অনুসারে, গত ১৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার একটু আগে ঢাকা থেকে আসা আরিরাং এভিয়েশন লিমিটেডের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। রেকর্ডিংয়ের একটি কপি দ্য ডেইলি স্টারের হাতে এসেছে। এর ছয় সেকেন্ড পর ঢাকাগামী ইউএস বাংলার একটি উড়োজাহাজ একই রানওয়েতে ওঠার অনুমতি চায়। এটিসি ইউএস বাংলার উড়োজাহাজটিকে রানওয়েতে ওঠার কথা বললেও হোল্ডিং পয়েন্টে থামতে বলে। রানওয়ের ঠিক আগে একটি লাইন টেনে হোল্ডিং পয়েন্ট চিহ্নিত করা থাকে। সুস্পষ্ট অনুমতি ছাড়া উড়োজাহাজগুলো সাধারণত রানওয়েতে উঠতে পারে না। ইউএস বাংলার উড়োজাহাজটিকে হোল্ডিং পয়েন্টে এসে অপেক্ষা করার অনুমতি দেওয়ার ১৭ সেকেন্ড পর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে ‘বাংলা স্টার হোল্ড পজিশন’ বলে চিৎকার করতে শোনা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঠিক যে সময় আরিরাং এর চার্টার্ড ফ্লাইটটি অবতরণ করতে যাচ্ছিল, ঠিক সে সময় তারা দেখতে পান ইউএস বাংলার উড়োজাহাজটি হোল্ডিং পয়েন্ট অতিক্রম করে রানওয়েতে উঠতে শুরু করেছে। এয়ার-ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে আরও ১৯ সেকেন্ড ধরে বেশ কয়েকবার ‘হোল্ড পজিশন’ বলে চিৎকার করতে শোনা যায়। অবশেষে নিরুপায় হয়ে এটিসি আরিরাংয়ের ফ্লাইটের অবতরণ অনুমতি বাতিল করে এবং ঘুরে এসে কিছুক্ষণ পর আবার অবতরণের চেষ্টা করতে বলে।আর এসবই ঘটে মাত্র ৪৮ সেকেন্ডের মধ্যে।

 

 

কিডনি রোগীর চিকিৎসা নিয়ে দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘৪ কোটি কিডনি রোগী ডাক্তার ৩৬০’।

 

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে প্রতি বছর বাড়ছে কিডনি রোগের প্রকোপ। কমছে পর্যাপ্ত চিকিৎসার সুযোগ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ কোনো না কোনো কিডনির জটিলতায় ভুগছেন। এর বিপরীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেফ্রোলজিস্ট আছেন মাত্র ৩৬০ জন। আর ডায়ালাইসিস সেন্টারের সংখ্যা ২৫০ থেকে ২৬০টি। অপ্রতুলতা চিকিৎসাব্যবস্থা ও চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ায় মোট কিডনি রোগীর ৯০ শতাংশই থাকছেন চিকিৎসাসেবার বাইরে। দেশে এ বিপুলসংখ্যক মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হলেও কিডনি চিকিৎসার নাজেহাল অবস্থা।যদিও দেশে কত মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত, তার নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান নেই। দেড় দশক আগে কিডনি ফাউন্ডেশন সাভারের বিরুলিয়া গ্রামে ও কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস) টাঙ্গাইলে দুটি পৃথক জরিপ চালায়, উভয় জরিপ থেকেই জানানো হয়েছিল দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা দুই কোটি। এরপর দেশে আর কোনো জরিপ হয়নি। প্রতি বছর কিডনি রোগীর সংখ্যা একই বলে জানানো হচ্ছিল। তবে বছর দুই আগের একটি গবেষণা প্রবন্ধের তথ্য উদ্ধৃত করে সরকারের অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন সম্প্রতি ক্যাম্পসের একটি অনুষ্ঠানে বলেন, কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে ভুগছেন, দেশে এমন মানুষের সংখ্যা ৩ কোটি ৮০ লাখ। এর মধ্যে বছরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের কিডনি বিকল হয়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়, দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীর হার শতকরা ১৬-১৮ ভাগ। এ চিকিৎসা এতটাই ব্যয়বহুল যে, শতকরা ১০ জন রোগী তা বহন করতে পারে না। ফলে প্রায় ৯০ ভাগ রোগী বিনা চিকিৎসায় অথবা আংশিক চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বে ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি কিডনি বিকল রোগী সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করবে। বর্তমানে ৮৫ কোটির অধিক মানুষ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ আকস্মিক কিডনি বিকল রোগে আক্রান্ত হয়, যার ৮৫ ভাগই উন্নয়নশীল দেশে। কিডনি চিকিৎসক ও কিডনি চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সূত্রমতে, ৩ কোটি ৮০ লাখ রোগীর বিপরীতে নেফ্রোলজিস্ট মাত্র ৩৬০ জন, বিশেষজ্ঞ নার্স ২০০ ও ডায়ালাইসিস সেন্টারের সংখ্যা ২৫০-২৬০টি। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৫০ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একজন নেফ্রোলজিস্ট থাকা দরকার। এই হিসাবে ১৭ কোটি মানুষের দেশে নেফ্রোলজিস্ট প্রয়োজন ৩ হাজার ৪০০। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা পেলে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠতেন। দেশে ২৫০টির বেশি ডায়ালাইসিসের সেন্টারের মধ্যে সরকারি ডায়ালাইসিস সেন্টারের সংখ্যা ৪৫টি। বিশিষ্ট কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ও কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক হারুন আর রশিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, যাদের কিডনি বিকল হয় তাদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হয়, অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। দেশে যে ডায়ালাইসিস সেন্টার আছে তা দিয়ে ১০-২০ ভাগ রোগীকে ডায়ালাইসিস দেওয়া যায়। এ ডায়ালাইসিস আবার এতটাই ব্যয়বহুল যে, ৯০ ভাগ রোগীই ছয় মাসের মধ্যে চিকিৎসার খরচ বহন করতে না পেরে চিকিৎসা বন্ধ করে দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024