নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুর সদর উপজেলাধীন ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি পরিচালিত ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কচি-কাঁচা একাডেমি এবং নয়নপুর এন এস আদর্শ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে উদযাপন করা হয় ফল উৎসব ১৪৩১।
নানান প্রজাতির দেশি ফলের সাথে পরিচয় ও ফলের বিভিন্ন উপকারিতা শিক্ষার্থীদের জানানোর উদ্দেশ্যে পঞ্চমবারের মতো উদযাপিত হলো এই ফল উৎসব। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে যখন জনজীবন অতিষ্ঠ, ঠিক তখনই প্রশান্তি ও সুখের পরশ নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির হয় মধুমাস জ্যৈষ্ঠ।
এ সময় বাহারি রং-বেরঙের মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল পাওয়া যায়। দেশি নানান প্রজাতির ফলে সুশোভিত হয় চারিদিক। সব ফলের মধ্যেই পানির পরিমাণ বেশি থাকে।সেই কারণে গরমের সময় শরীরের পানিশূন্যতা পূরণে ফল দারুণভাবে সহায়তা করে। ফলের মধ্যে প্রচুর খাদ্যশক্তি থাকে, যা শরীরের ভেতর থেকে ক্ষতিকর চর্বি বের করে দেয়, তাই ফল সবার জন্য ভীষণ উপকারী। পুষ্টি ও খাদ্যমানের দিক থেকেও সব ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং খনিজ পদার্থ থাকে।
সকালে উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি জনাব আব্দুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইকবাল সিদ্দিকিী কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মো. মনোয়ার হোসেন, ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক জনাব সিরজুল হক,প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব এস এম মিজানুর রহমান ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।
ফল উৎসবে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, কলা, জামরুল, ডেউয়া, ডেফল, করমচা, তেঁতুল, লটকন, আনারস, পেঁপে, আঁখ, তাল, বেল, লেবু, খেজুর, বাঙ্গি, জাম্বুরা, অরবরই, আঙুর, ডাব, ডালিম, কামরাঙা, সফেদা, কমলা, মালটা, আপেল, দাতই, বিলম্ব, আঁতা, চালতা, গাব, চেরি, কাঠ বাদাম, ফেলা ফল, চাম্বল কাঁঠাল, কদবেল, আতা, আমড়া, আমলকি, জলপাই, হরতকি, তরমুজ, বরই ও ড্রাগন ফলসহ ৪৯ প্রজাতির ফল প্রদর্শনীর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ফল কেটে খাওয়ানো হয়।
বর্ণিল এই আয়োজনে অনুষ্ঠান সভাপতি জনাব আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিদেশি ফল খাওয়ার উপর আগ্রহ কমিয়ে, দেশিয় ফল খাওয়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে কারণ দেশিয় ফলে রয়েছে ভীষণ উপকারী পুষ্টিগুণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই শিক্ষার্থীদের বাড়িতে প্রতিদিন একাধিক ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।” ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি প্রতিবছর মৌসুমি ফল উৎসবের আয়োজন করে আসছে।
Leave a Reply