শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন

আইনের শাসন প্রতিষ্টায় সকলকে সহযোগিতা মুলক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে-আইনমন্ত্রী

  • Update Time : শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪, ৬.৫৫ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান অতিথি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতামূলক মনোভাব এবং ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। শনিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন জুডিসিয়ারি অ্যাক্রোস দ্য বর্ডার্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকর বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ সম্স্ত কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী আরো বলেন , প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সবসময় বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং বিচারকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা ও বিচারকর্মে স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তরিক ।

আইনমন্ত্রী আরো বলেন ,দেশের জাতীয় অগ্রগতি ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন নীতির ভিত্তিতে সুপ্রতিষ্ঠিত। এসব নীতির প্রতি বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রণীত সংবিধানের আলোকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ফলে বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত পেয়েছে। বিচারকরা স্বাধীনভাবে ও সততার সাথে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছে।
বিচার বিভাগের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে সরকারের অগ্রণী ভূমিকা পালনের কথা উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, বিচারকদের কর্মক্ষেত্রের সুযোগ-সুবিধা, বেতন-ভাতা, আবাসন এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করা হয়েছে। ফলে নাগরিকদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগ দক্ষতার সাথে ও কার্যকরভাবে কাজ করছে।

মি. হক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের ওপর ভিত্তি করে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা শুরু করেছি, যেখানে থাকবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সমাজ। জনগণের জন্য ন্যায়বিচার, গণতান্ত্রিক অধিকার, আর্থ-সামাজিক অধিকার এবং সাংস্কৃতিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য স্মার্ট বিচার বিভাগ অপরিহার্য। স্মার্ট বিচার বিভাগ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তির সমন্বয় এবং বিচার প্রক্রিয়ার আধুনিকায়নের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থার মধ্যে স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে শুধু বিচার প্রশাসনের উন্নতিই হবে না বরং বিচারব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থাও জোরদার হবে।

এই অধিবেশন দক্ষিণ এশিয়ার বিচারব্যবস্থার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্ব পুর্ণ প্লাটফর্ম , যা নিজেদের মধ্যে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত হওয়া, ক্রস বর্ডার ঐক্য গড়ে তোলা এবং বৃহত্তর সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করবে।বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং তা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লোবজাং রিনজিন ইয়ার্গে। তিনি বলেন, ব্যক্তির মানবাধিকার রক্ষায় আইনের শাসন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের মূলভিত্তি।তিনি বলেন, দুটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি যথা– ১. কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এবং ২. সকলেই আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী, বাস্তবায়ণ করা না হলে আইন ন্যায়বিচারের পরিবর্তে অবিচারের উৎস হয়ে উঠে। তিনি বক্তব্যে ভুটানের বিচার ব্যবস্থার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। লোবজাং রিনজিন ইয়ার্গে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি কর্তৃক এমন উদ্যোগের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন জুডিশিয়ারি অ্যাক্রস দ্য বর্ডারস (২১ ফাস্ট সেঞ্চুরি চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স ফর্ম দ্য হিমালয়াস অ্যান্ড বিয়ন্ড)’ শীর্ষক কর্মশালা এ অঞ্চলের বিচারব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো ভাগাভাগির মাধ্যমে তা উত্তরণে সহায়ক হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024