বিশেষ সংবাদদাতা
বাংলাদেশ- ভারত সম্পর্ক ও বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে যে সম্পর্ক রয়েছে তার বিন্দু মাত্র পরিবর্তন হবে না। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এই কোয়ালিশন সরকার ঠিকই তা আগের মতোই পরিচর্যা করবে। এমনকি বাংলাদেশ আগের থেকে বেশি গাঢ় সম্পর্ক ভোগ করতে পারবে। সাম্প্রতিক নির্বাচনের ভেতর দিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সংখ্যাগরিষ্টতায় যে পরিবর্তন এসেছে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে একথা বলেন, ভারতের সিনিয়র ডিপ্লোম্যাট ও বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত বীনা সিক্রি।
তিনি বলেন, যদিও এই নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্টতা পায়নি, তারপরে একটা বিষয় লক্ষ্য করতে হবে যে এ নির্বাচনেও বিজেপি যে সংখ্যক আসন জিতেছে গত দশ বছরে একমাত্র বিজেপি ছাড়া ভারতের অন্য কোন রাজনৈতিক দল এককভাবে এত সংখ্যক আসন জিততে পারেনি। তাই জনগনের রায় মূলত বিজেপির পক্ষে এবং তাদের নেতা মি নরেন্দ্র মোদি।
যে কারণে মোদি শুধু তার দলের নেতা নন, তিনি কোয়ালিশনেরও নেতা। এবং জনগন তাকেই ম্যান্ডেট দিয়েছে। যে কারণে মোদির “প্রতিবেশি আগে” এই নীতির কোন পরিবর্তন হবে না। তাছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রনীতি সব সময়ই বাস্তবতার ওপরেই দাঁড়িয়ে কাজ করে।
তিনি আরো বলেন, ভারত সব সময়ই জনগনের সঙ্গে জনগনের সম্পর্কে বিশ্বাস করে। যে কারণে মোদির এই শপথ অনুষ্ঠানে নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার জনপ্রতিনিধিকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে।
এবং বর্তমানের এই ভারত সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর জনগনের সঙ্গে এ সম্পর্ককে লালন করে যাবে। তবে একটা বিষয় এখানে উল্লেখ করতে হয় ভারত ও বাংলাদেশের একটি নিকটতম প্রতিবেশী মিয়ানমারে যে সংকট চলছে তা ভারত ও বাংলাদেশের জন্যে সুখকর নয়।
তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আমেরিকা তার এই এলাকার নীতি পরিবর্তন করেছে এবং বর্তমানে ভারতের নিকটতম পার্টনার। এই পরিবর্তন ভারতের সকল নিকট প্রতিবেশীর বোঝা উচিত এবং এর সুফল ভোগের সঙ্গে সঙ্গে মোদির “প্রতিবেশী আগে” নীতির সুফল ঘরে তোলা উচিত।
Leave a Reply