নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান এক বিবৃতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট পূর্ণবিবেচনা করে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুসহ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানিয়ে বলেন, এই বাজেট সাধারণ খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের চলমান কষ্ট ও ভোগান্তি আরো বাড়াবে। তাদের জীবনকে আরো অস্বস্তি ও বিপর্যস্ত করে তুলবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন দেশের প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক নির্বিশেষে ৭ কোটির অধিক শ্রমিক কর্মচারী যারা দেশের উৎপাদন ও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি, তাদের খাদ্য, আবাসন ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্ধগতির ফলে সীমিত আয়ের মানুষের জীবন- জীবিকা আজ চরম সংকটাপন্ন।
কিন্তু তাদের অবস্থার উন্নয়ন বিশেষ করে রেশনিং, কর্মসংস্থান এবং মজুরি বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সংকট থেকে উত্তরণে বাজেটে কোন বরাদ্ধ ও দিকনির্দেশনা নেই। ডলারের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারনে আমদানি সংকট দেখা দিবে, অন্যদিকে জ্বালানী তেল, বিদ্যুৎ ও পানির দাম দফায় দফায় বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম আরো বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নআয়ের মানুষের দুর্দশা ও দুর্ভোগ বাড়াবে।
বাজেটে দূর্নীতি ও বৈষম্য নিরসনের কোন নির্দেশনা নেই। উৎপাদনশীল খাতে সাধারণ শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে এ বাজেট সাধারণ জনগণের উপর “মরার উপর খরার ঘা” হিসেবে আর্থিক চাপ বাড়াবে। পুঁজিবাদী বাজার অর্থনীতিতে এই বাজেট ধনীকে আরো ধনী এবং গরীবকে আরো গরীব করে বৈষম্য বৃদ্ধি পাবে। তাই কোনভাবেই এটা জনকল্যাণমূলক বাজেট নয় মর্মে মন্তব্য করেন নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ রেশন ও ন্যায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে দূর্ণীতিমুক্তভাবে সরাসরি নিম্নআয়ের মানুষদের কাছে চাল, ডাল, তেল, আটা, চিনি ও শিশু খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহবান জানান।
Leave a Reply