পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
নেতার স্মার্টনেস মূলত কাজে
নেতা কখনও সিনেমার রোমান্টিক হিরো নয়। তাই সে দেখতে কেমন তা কখন্ বড় প্রশ্ন নয়।
নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তাই নেতার একাডেমিক রেজাল্ট যে সবগুলোতে প্রথম সারিতে থাকতে হবে তা নয়।
একজন মল্লবীর একজন হিরো। কিন্তু সে নেতা নয়। নেতা তার কোচ। তাই নেতাকে যে মল্লবীরের মতো শক্তিশালী হতে হবে তাও নয়।
আর শক্তি, চেহারা ও একাডেমিক রেজাল্ট কোথাও কোন স্মার্টনেস নেই।
বাস্তবে স্মার্টনেসের শেষ পরিচয় কাজে।
তাই নিজের কাজকে কীভাবে রপ্ত করতে হয় সেটাই নেতার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের কাজ রপ্ত করতে হলে
১. নেতাকে আগে কাজ শুরু করতে হবে।
২. নেতাকে তার প্রতিটি কাজ শেখার চেষ্টা করতে হবে।
যেমন একজন এশিয়ান ডাক্তার ইউরোপ থেকে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে এসে নিজ দেশে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কাজ করতে গিয়ে সে প্রথম চিকিত্সার ক্ষেত্রে যে সমস্যায় পড়ে তার মধ্যে অন্যতম ছিলো তার বইয়ের পড়ার সঙ্গে বাস্তবে রোগির রোগের সব লক্ষণ মিলছে না। যার ফলে সে চিকিত্সার প্রকৃত পথ খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে।
তখন সে পথ খুঁজতে থাকে কীভাবে এই রোগিদের চিকিত্সা করবে? এ সময়ে তার হাসপাতালে কাজ করার জন্যে আসে একজন পুরানো ডাক্তারের চেম্বারে কাজ করা এক সহকারী। ওই সহকারী যে ডাক্তারের চেম্বারে কাজ করতো ওই ডাক্তারও তার শেষ পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। তাই অনেকটা বেয়ার ফুটেট ডাক্তারের মতোই সে সারা জীবন চিকিত্সা করে গেছে। কিন্তু তার হাতে প্রচুর রোগি সুস্থ হতো।
ওই ডাক্তার মারা যাবার পরে এই সহকারী নতুন এ হাসপাতালে সহকারীর কাজে আসে। কয়েকদিনের ভেতর এই নতুন ডাক্তার বুঝতে পারে সহকারী রোগি দেখলে অনেকটা আন্দাজ করতে পারে তার রোগের ধরণ।
সহকারীর এই গুন দেখে ডাক্তার তার কাছে জানতে চায় কীভাবে সে এগুলো বোঝে।
সহাকারী তার অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে বিস্তারিত বলতে থাকে।
ওই অভিজ্ঞতা ও নিজের উচ্চ শিক্ষা মিলিয়ে নতুন ডাক্তার তখন নিজেকে নতুনভাবে প্রশিক্ষিত করে।
এমনিভাবে প্রতিটি পেশার ক্ষেত্রে একই।
যেমন অধিকাংশ সময় দেখা যায় কোন রাজনীতিবিদ যখন প্রথম দেশের নির্বাহী বা মন্ত্রী হয় তখন যে বুদ্ধিমান সে একটা লার্নিং টাইম নেয়। ওই সময়ে সে তার সচিব সহ মন্ত্রনালয়ের পুরানো সকল কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ শিখতে থাকে।
এই লার্নিং টাইম শেষে সে তার নিজের ডানা মেলতে থাকে।
তাই কখন ডানায় পালক গজানোর সময় দিতে হবে এবং কখন ডানা মেলতে হবে- এটা বোঝাকেই বলে বিচক্ষনতা। এই বিচক্ষনতাই মূলত নেতার স্মার্টনেস।
Leave a Reply