শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন

পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে মালয়েশিয়ায় নিহত তিন বিদেশীর মধ্যে একজন বাংলাদেশী

  • Update Time : বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪, ৫.৩১ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার পত্রিকার আজকের একটি শিরোনাম ছিল Three killed in shootout with police.

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন বিদেশি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন ৩৮ বছর বয়সী বাংলাদেশিও রয়েছে। নিহতদের ‘সেন্ট্রো গ্যাংয়ের’ সদস্য মনে করে গুলি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। পত্রিকাটি জানিয়েছে, অপরাধীচক্র সেন্ট্রো গ্যাং একটি গহনার দোকানে ডাকাতি করে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এরপর অপরাধীদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। তখন সেন্ট্রো গ্যাংয়ের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়। পুলিশ বলেছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় পেকান-কুয়ান্তান বাইপাসের কেএম–১৭ এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ আরও জানায়, নিহত অপর দুজন পুরুষ ভিয়েতনামের নাগরিক বলে জানা গেছে। তাঁদের বয়স আনুমানিক ৩৬ বছর ও ৪৪ বছর। তিনজন পুরুষকেই গাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

দ্য স্টার জানিয়েছে  পাহাংয়ের পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি ইয়াহায়া ওসমান বলেন, ‘গাড়িটির যাত্রীরা পাহাং রাজ্য উন্নয়ন বোর্ডের এলাকায় সন্দেহজনক আচরণ করেছিল। তাদের গাড়ি থামানোর নির্দশ দিলেও তারা তা অমান্য করে দ্রুত গতিতে বাইপাসের দিকে চলে যায়। এরপর আমাদের টহল গাড়ি তাদের ধাওয়া করে।’এ সময় ওই গাড়ি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয় বলেও দাবি করেন পুলিশ প্রধান। তিনি বলেন, ‘গাড়িটি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হলে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। পরে দেখা যায়, গাড়ির ভেতরে তিনটি মৃতদেহ পড়ে আছে।’দাতুক সেরি ইয়াহিয়া ওসমান আরও বলেন, গাড়িটির ভেতর থেকে সাতটি গুলি ও একটি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে। ড্রিল মেশিন, পেষণ যন্ত্র, ধারালো অস্ত্র, হাতুড়িও পাওয়া গেছে সেখান থেকে। এগুলো ওই সন্দেহভাজন বাংলাদেশির বলে মনে করা হচ্ছে।  ভিয়েতনামি দুই নাগরিকের সঙ্গে পাসপোর্ট ছিল বলেও জানায় পুলিশ। তাদের ধারনা, তাঁরা মালয়েশিয়ায় পর্যটক হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন। সন্দেহভাজন বাংলাদেশির বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান দাতুক সেরি ইয়াহিয়া ওসমান। তিনি বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধসহ পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।’

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনের শিরোনাম Citizenship Amendment Act implemented to create another ‘partition’: Mehbooba Mufti.

 

খবরে বলা হচ্ছে,  দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি ভারত-পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে গেলেও এখনো ভারতে সেই তত্ত্ব অনুসরণ করে চলেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেছেন, বিজেপি সরকার আজও দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতীয়দের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে চায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে মেহবুবা মুফতি এই অভিযোগ করেছেন। এমন এক সময়ে তিনি এই মন্তব্য করলেন যখন ভারত সরকার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে। এই আইন নিয়ে কাশ্মীরে এরই মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

মেহবুবা মুফতি এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে বলেছেন, ‘দেশভাগের ৭৭ বছর পরেও বিজেপি হিন্দু মহাসভার দ্বিজাতি তত্ত্বের নীতি ধারণ করে চলছে। তাদের এই বিশ্বাসকে বাস্তবতায় রূপ দিতে ও আমাদের (ভারতীয়দের) মধ্যে আবারও বিভাজন তৈরি করতে তারা নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করছে।’ এ সময় তিনি মুসলমানদের আহ্বান জানান, যেন তারা সরকারের কুমন্ত্রণা বুঝতে পারে ও তাদের পাতা ফাঁদে না পড়ে।  জম্মু–কাশ্মীর ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে। এখানকার বেশির ভাগ মুসলমানের ধারণা, সিএএ বাস্তবায়নের পেছনে বিজেপি সরকারের মূল উদ্দেশ্য—রাজ্যটিতে মুসলমানদের চালচিত্র পরিবর্তন করে ফেলা।  উল্লেখ্য, বিল পাসের প্রায় চার বছর পর ১১ মার্চ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাস্তবায়নের বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

 

দৈনিক নয়া দিগন্তের শিরোনাম ‘ভারত থেকে একটি পেঁয়াজও আমদানি করা সম্ভব হয়নি’

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন মন্ত্রীর একাধিকবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ভারত থেকে একটি পেঁয়াজও আমদানি হয়নি। এর আগে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি অর্থমন্ত্রীও বলেছিলেন, রোজার আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো কিছুই ঘটেনি। এখন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলছেন, বর্তমানে ভারতে কত দাম দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে তার দর কষাকষি চলছে।এ দিকে, রমজান উপলক্ষে দেশে আমদানি করা খেজুরের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে অতি সাধারণ মানের খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা, বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি ও বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে পাঠানো এক চিঠিতে দাম নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়।চিঠিতে নির্ধারিত মূল্যে খেজুর বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, দেশে আমদানিকৃত বিভিন্ন খেজুরের আমদানি মূল্য, আরোপিত শুল্ক ও করাদি এবং আমদানিকারকদের অন্যান্য খরচ বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খেজুরের মানভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে।

খেজুরের অতিরিক্ত দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে কথা বলার দরকার নেই। এটা যার যার ব্যাপার। যে যেটা দিয়ে ইচ্ছা ইফতার করবেন। আমাদের চেষ্টা, বস্তার খেজুরটার শুল্ক কমানো হয়েছে। আমরা উঁচু জাতের দামি খেজুরের শুল্ক কমাইনি। সাধারণ মানুষ যেটা খায়, সেটার দাম কমাতে চিঠি দেয়া হয়েছে।রতের পেঁয়াজের দাম নিয়ে আলোচনা চলছে : এ দিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন পাওয়া গেছে, এখন দাম নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, চিনি আমদানিতে ভারতের সাথেও আমাদের কথা চলছে। সেখানেও অগ্রগতি হতে পারে। দাম সব জায়গায়ই বেশি। আমি যদি ডলারে কনভার্ট করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও চিনি আমদানি করি তাহলেও দাম কম পড়বে না। পাঁচ টাকা হয়তো এদিক- ওদিক হবে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে চিনি, ডালসহ কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের স্বল্পতা বা সঙ্কট নেই। কাজেই এটিকে আমি অবশ্যই স্বস্তি বলবো।

 

সমকালের প্রধান শিরোনাম সোমালিয়ার জলদস্যু দলের কবজায় বাংলাদেশি জাহাজ।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত মহাসাগরে সোমালীয় জলদস্যু দলের কবলে পড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যাওয়ার পথে জাহাজটিতে হামলা চালায় দস্যুরা। এ সময় জাহাজে থাকা বাংলাদেশি ২৩ নাবিক ও ক্রুকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে তারা। ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শতাধিক জলদস্যু জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। জাহাজে উঠেই তারা সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তবে দস্যুদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপনে দু’বার জাহাজ থেকে বার্তা পাঠিয়েছেন জিম্মি নাবিকরা। ওই বার্তার সূত্র ধরে নাবিক ও ক্রুরা নিরাপদে আছেন বলে নিশ্চিত করেছে জাহাজের মালিক কর্তৃপক্ষ কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস (কেএসআরএম গ্রুপ)। মেরিন ট্রাফিক ডটকমে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাহাজটি তানজানিয়া ও মাদাগাস্কারের মাঝামাঝি গ্লোসিওসো দ্বীপের কাছে সমুদ্রে অবস্থান করছিল।  গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে জাহাজটি জলদস্যু দলের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে তারা। মুক্তিপণের জন্যই দস্যুরা জাহাজটিতে হামলা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত জলদস্যুদের কেউ এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেনি। জিম্মি হওয়া নাবিক ও ক্রুদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেনি জাহাজটির মালিকপক্ষ কিংবা সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে। জিম্মির খবরে ২৩ নাবিক ও ক্রুর স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সরকার যেন তাদের দ্রুত মুক্ত করে আনে, সেই আহ্বান জানিয়েছেন।

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া নাবিকদের মধ্যে সাতজন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ক্যাডেট। তারা হলেন– মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ (৫৮), চিফ অফিসার মো. আতিকুল্লাহ খান (৩৯), সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (৩৬), থার্ড অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম (২৯), ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসাইন (৩৪), চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান (৪৫) ও ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান (২৩)। এ ছাড়া জাহাজে অন্য জিম্মিরা হলেন সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম (৩৮), থার্ড ইঞ্জিনিয়ার রোকন উদ্দিন (৩৩), চতুর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ (৩০), ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ (৩৫), নাবিক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক (২৯), নাবিক আসিফুর রহমান (২৫), নাবিক মো. সাজ্জাদ হোসাইন (২৯), নাবিক মাহামুদ জয় (২৪), নাবিক মো. নাজমুল হক (২৩), অয়েলার আইনুল হক (৩০), অয়েলার মোহাম্মদ শামসুদ্দিন (৩১), অয়েলার মো. আলী হোসাইন (২৬), ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসাইন শাকিল (৩৪), চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম (৩৪), জেনারেল স্টুয়ার্ড মোহাম্মদ নুর উদ্দিন (২৮) ও ফিল্টার মোহাম্মদ ছালে আহমেদ (৪৭)।

 

মানবজমিন পত্রিকায় একটি খবরের প্রধান শিরোনাম, বেহাত ফোন আনছে বিপদ।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  রাজধানীর রমনা পার্কে মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন কাপল ব্লগ করা এক দম্পতি। ফোনসেটে ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ছিল। তাতেই হলো বিপদ। তিন ধাপে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় (ভাইরাল) এক দুর্বৃত্ত। এতে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা। মোবাইল ফোনসেট হারানোয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং ভিডিও-ছবি ভাইরাল ও টাকা আদায়ের ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারে অভিযোগ করেন। কিন্তু দুই মাসেও ফোনসেট উদ্ধার হয়নি এবং ওই দুর্বৃত্তও ধরা পড়েনি। মোবাইল খোয়া যাওয়ায় এমন বিপদে আরও অনেকে পড়ছেন। তবে বেশির ভাগই পুলিশ পর্যন্ত যান না। আবার অনেকের মোবাইলে থাকে গুরুত্বপূর্ণ নথি। মোবাইল হারালে তাঁরাও পড়েন বিপদে।

পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রের তথ্য, রাজধানীতে প্রতি মাসে গড়ে ১১ হাজারের বেশি মোবাইল ফোন চুরি হয়, ছিনতাই হয় বা হারায়। অর্ধেকের বেশি ভুক্তভোগীই এ নিয়ে থানায় আসেন না। যাঁরা জিডি করেন তাঁদের মোবাইল উদ্ধারের সংখ্যাও নামমাত্র। অন্য ব্যস্ততা থাকায় মোবাইল উদ্ধারে পুলিশের সময়ও কম। পুলিশ বলছে, খোয়া যাওয়া দামি মোবাইলের অর্ধেকের বেশি চলে যাচ্ছে বিদেশে। তাই এগুলোর হদিস পাওয়া যায় না। কম দামি মোবাইল আইএমইআই বদলে দেশেই বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। চুরি ও ছিনতাই হওয়া ফোনসেট উদ্ধার করতে না পারা নিয়ে গত সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও আলোচনা হয়। সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম হারানো মোবাইল উদ্ধারে অভিযান জোরদার করতে এবং মোবাইল ছিনতাই/চুরি প্রতিরোধে টহল বাড়াতে পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন।

 

‘রোজার পণ্যে অগ্নিমূল্য : অসহায় ভোক্তা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে দৈনিক যুগান্তর।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রোজায় পণ্যের অগ্নিমূল্যে অসহায় ক্রেতা। প্রথম রোজায় ইফতারির আয়োজন এবং পরবর্তী রোজার সেহরির জন্য খাদ্যপণ্য কিনতে অনেকেই ছুটছেন বাজারে। কিন্তু সেখানে পণ্যের ঘাটতি না থাকলেও সবাই দাঁড়িয়ে আছেন মলিন মুখ নিয়ে। কারণ, বাজারে চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, ময়দা, ছোলা, বেসন, মাছ-মাংসসহ প্রায় সব ধরনের পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর বিভিন্ন ফলেরও অসহনীয় দাম থাকায় চাহিদা মেটাতে দুই-এক পিস ওজন করে কিনতে হচ্ছে। লেবু-শসার দামও অসহনীয়। মঙ্গলবার ভালোমানের প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়, যা সাতদিন আগে ছিল ৬০-৭০ টাকা। মাঝারি মানের প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৪০-৫০ টাকা ছিল। পাশাপাশি এক সপ্তাহ আগে প্রতি হালি যে লেবু ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা মঙ্গলবার খুচরা বাজারে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হওয়া লেবুও এদিন ক্রেতাকে ৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে। এতে বাজারে নিম্নবিত্ত ছাড়াও মধ্যবিত্তদেরও নাভিশ্বাস অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।  এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৩০ এবং গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের অনেকে এখন সাধ ও সাধ্যের মধ্যে মাংস কিনতে পারছেন না। ফলে গরিবের জন্য বাজার করা এখন বড় ধরনের মানসিক কষ্ট ও হতাশার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ বাজারে গিয়ে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকছেন। কেউ আবার নিরুপায় ঘোরাফেরা করছেন। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ করা গেছে। লাগামহীন দামের অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে যুগান্তরের কাছে ক্ষোভ-অসন্তোষ জানিয়েছেন অনেকে ক্রেতা। তারা বলেন, মিডিয়ায় এসব লিখে কোনো লাভ হবে না। যারা ব্যবস্থা নেওয়ার, তারা নিচ্ছে না। সিন্ডিকেট নিয়ে অনেক কথা শুনেছি। ওরা এতই প্রভাবশালী, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এদিকে রমজান ঘিরে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম স্থিতিশীল রাখতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে তিনটি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করছে। এর আওতায় রোজায় পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পণ্যের আমদানি বাড়াতে ডলারের জোগান দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমেছে। এছাড়া ৮ পণ্য আমদানির এলসি মার্জিন এবং ৪ পণ্যের শুল্ক কমানো হয়েছে। এরপরও পণ্যের দাম কমছে না। উলটো বাড়ছে।

 

রমজানে মাসে স্কুল খোলা রাখার ব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা নিয়ে ডেইলি স্টারের শিরোনাম- ‘Schools to stay open in Ramadan’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পুরো রমজান মাসে সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বলে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, মঙ্গলবার তা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। রমজান মাসের প্রথম ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং রিট আবেদনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। অপরদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024