ফারখুন্দ ইউসুফজাই- পাকিস্তান থেকে
ইমারন খান জেলে বন্দী থাকা অবস্থায় তার সমর্থিত একশ’ সদস্য’র বিজয়কে রীতিমত অবিশ্বাস্য রাজনৈতিক উত্থান হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে পাকিস্তানে। ইমরান খানের এই বিজয়ের মূল কারণ হিসেবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক মানুষ মনে করছে, পাকিস্তানের এস্টাবিল্টমেন্টের দ্বারা বার বার অন্যায়ভাবে নিগৃহিত হবার কারণে পাকিস্তানের তরুণ সম্প্রদায় তাঁর প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়েছে। কারণ, তারা মনে করেছে ইমরান খানের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে যা তাদের প্রতিবাদী মন আরো বেশি ইমরানের প্রতি আনুগত্যের দিকে নিয়ে গেছে। এবং সত্যি অর্থে ইয়াং জেনারেশন তাকে শক্তভাবেই সমর্থন করেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের স্টাবলিসমেন্টের সমর্থন থাকার কারণে নেওয়াজ শরীফ নির্বাচনে জনগনের কাছে যাবার বিষয়টির গুরুত্ব দেন খুবই কম।
যদিও পাকিস্তানের স্টাবলিসমেন্টের ইচ্ছা অনুযায়ী শেষ মুহূর্তে নেওয়াজ শরীফের নেতৃত্বে পিপলস পার্টি সহ অনান্য কয়েকটি পার্টি মিলে পাকিস্তানে সরকার গঠন হবে। আর এই হ্যাঙ পার্লামেন্টের সরকার মূলত এস্টাবলিসমেন্টের হাতের পুতুল হবে বলেই মনে করছে সকলে। তাছাড়া সেটাই পাকিস্তান স্টাবলিসমেন্টের ইচ্ছে।
তবে ইমারন খান জেলে বসে যে জনপ্রিয়তা দেখাতে পেরেছেন তাতে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সচেতন ও বিশেষজ্ঞগন মনে করছেন, ক্রিকেট জীবনে যেমন ইমরান বার বার শোচনীয় একটি ম্যাচকে বিজয়ের দিকে নিয়ে গেছেন তাঁর রাজনৈতিক জীবনেও শেষ অবধি সেটাই ঘটবে।
এ মুহূর্তে তিনিই পাকিস্তানের সব থেকে জনপ্রিয় নেতা। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে কমপক্ষে তিনটি জটিল মামলা থাকায় আগামী দুই এক বছরের আগে জেল থেকে বের হবার সম্ভাবনা তাঁর খুবই কম।তাছাড়া তাঁর মূল প্রতিদ্বন্ধি এ মুহূর্তে পাকিস্তান মুসলিম লীগ বা পিপলস পাটি নয়। তার মূল প্রতিদ্বন্ধি পাকিস্তানের স্টাবলিসমেন্ট ও জুডিশিয়ারি।
এই দুই শক্তি তাকে চাপিয়ে রাখতে চেষ্টা করবে কিন্তু এর বিপরীতে তরুণ প্রজম্ম বা পাকিস্তানের ভবিষ্যত প্রজম্মই ইমরানের মূল শক্তি। তাই তারুণ্যের এই শক্তি’র ওপর নির্ভর করে আগামী দুই তিন বছরের মধ্যে ইমরানের যদি কোন দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটে তাতে আশ্চর্য হবার কিছু থাকবে না।
Leave a Reply