বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা

  • Update Time : রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪, ৯.৫৩ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “বিষধর রাসেলস ভাইপার ৩২ জেলায়”

চন্দ্রবোড়া সাপ বা রাসেলস ভাইপার বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। গত ১১ বছরে এই বিষধর সাপ ৩২টি জেলায় দেখা গেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, চন্দ্রবোড়ায় কামড়ানো রোগী বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় চন্দ্রবোড়া সাপের ব্যাপারে আতঙ্কিত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

সাপের বিষ নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টার গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, চন্দ্রবোড়া সাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরোনো ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে এই সাপ থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেই জায়গার ছবিতে সাপ দেখানো হচ্ছে এবং এই সাপের যে প্রজাতির অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই, সেগুলোর ছবি প্রচার করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চন্দ্রবোড়া সাপ নিয়ে কোনো পোস্ট দেওয়ার আগে জেনেবুঝে তা করতে বলেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এই বিশেষ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

চন্দ্রবোড়া বিষধর সাপ। এর গায়ের রং বাদামি বা হলুদ অথবা উভয়ের সংমিশ্রণ। সারা দেহে সারি দিয়ে থাকে গোলাকৃতি বা ডিম্বাকৃতি গাঢ় বাদামি ফোঁটা। ফোঁটার সারি দেখে মনে হবে শিকল। সাপ গবেষকেরা বলেছেন, সব সাপই ডিম পাড়ে, সেই ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। চন্দ্রবোড়ার ডিম ফোটে পেটের মধ্যে। পেট থেকে বাচ্চা বের হয়। পানিতে চলাচল এই সাপের পছন্দ।

কোথায় এই সাপ

১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের সাপ’ বইয়ে বন্য প্রাণিবিশেষজ্ঞ মো. আলী রেজা খান বলেছেন, চন্দ্রবোড়া সাপ রাজশাহী বিভাগে সর্বাধিক পাওয়া যায়। অন্যত্র আছে, তবে তেমন দেখা যায় না।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টার বলেছে, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ৯টি জেলায় চন্দ্রবোড়া সাপ দেখা গেছে। ২০১৮ সালে এই সাপ থাকা জেলার সংখ্যা বেড়ে হয় ১১টি। ২০২৩ সালে ২৩টি জেলায় এই সাপ নথিভুক্ত করেছিলেন ভেনম রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা। সর্বশেষ ২০২৪ সালে জেলার সংখ্যা আরও বাড়ে।

২০১৩ থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত ৩২টি জেলায় এই সাপ দেখা গেছে। জেলার তালিকায় আছে: নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও বরগুনা।

পদ্মা নদী ও তার শাখা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে চন্দ্রবোড়ার বিস্তার সবচেয়ে বেশি বলে দাবি করেছে ভেনম রিসার্চ সেন্টার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফজলে রাব্বি চৌধুরী সাপের বিষ নিয়ে গবেষণায় যুক্ত। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই সাপ ভালো সাঁতার কাটতে পারে। নদীপথে এই সাপ ছড়ায়। মেহেরপুর, চুয়াডঙ্গার মতো এলাকাতেও এই সাপ কীভাবে পৌঁছাচ্ছে, তা গবেষণার দাবি রাখে।

রোগীও বাড়ছে

চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ানো একজন রোগী শনিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি ছিলেন। ওই রোগীর চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন রাজশাহী মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু শাহীন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। ২০১৩ সালে তিনি প্রথম চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ানো রোগীর চিকিৎসা করেন। প্রথম আলোকে তিনি জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত তিনি ২৩৫ জন রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন, যাঁরা চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ানো রোগী ছিলেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে এসব রোগীর ২৯ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে।

এখন কি রোগী বাড়ছে—এমন প্রশ্নের উত্তরে আবু শাহীন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ানো রোগী বাড়ছে। পরিসংখ্যানেই তা স্পষ্ট। ২০২২ সালে রাজশাহী মেডিকেল চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ানো ৩১ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ভর্তি হয়েছিল ৫০ জন।’ তিনি আরও জানান, রাজশাহী মেডিকেল সবচেয়ে বেশি রোগী আসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে। রোগীদের বড় অংশ ধানের মাঠে দংশনের শিকার হয়।

চন্দ্রবোড়া বাড়ছে কেন

বাংলাদেশ ভূখণ্ডে চন্দ্রবোড়া সাপ কবে প্রথম দেখা গিয়েছিল, সেই ইতিহাস অজানা। তবে সাম্প্রতিক কালে এই সাপ কেন বাড়ছে, তার সঠিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও পাওয়া যাচ্ছে না। বিএসএমএমইউর ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফজলে রাব্বি চৌধুরী বলেন, ‘গুইসাপ, বেজি, প্যাঁচা, চিল ও বাজপাখি—এদের শিকার ছিল চন্দ্রবোড়া। এখন গুইসাপ, বেজি, প্যাঁচা, চিল ও বাজপাখি কমে গেছে বা কোথাও কোথাও নাই বললেই চলে। প্রধান শত্রুগুলো কমে যাওয়াই চন্দ্রবোড়া বৃদ্ধির কারণ বলে আমরা মনে করছি। তবে আরও গভীর অনুসন্ধান দরকার।’

দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। ওই ভিডিও বার্তায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের কয়েকটি জেলায় ও চরাঞ্চলে বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপের উপস্থিতি দেখা গেছে, এতে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করছে। তবে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ‘অ্যান্টিভেনম’ বা সাপে কামড়ের রোগীর চিকিৎসার ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিষধর সাপে কামড়ালে বাঁচার পথ একটাই, রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া। রোগীর চিকিৎসায় ওঝা বা ঝাড়ফুঁক থেকে দূরে থাকার অনুরোধ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সাপের কামড় এড়াতে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, চন্দ্রবোড়া দেখা দেছে, এমন এলাকায় মাঠে কাজের সময় বুট (জুতা) ও লম্বা প্যান্ট পরতে হবে, রাতে চলাচলের সময় টর্চলাইট ব্যবহার করতে হবে, পতিত গাছ–লাকড়ি–খড় সরানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে, সাপ দেখলেই তা ধরা বা মারার চেষ্টা করা যাবে না, প্রয়োজনে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করতে হবে।

চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ানো রোগী চিকিৎসা করার অভিজ্ঞতা থেকে রাজশাহী মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু শাহীন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজারে যে অ্যান্টিভেনম আছে, তা চন্দ্রবোড়ার বিষ নিরাময়ে কার্যকর। যারা দেরিতে হাসপাতালে এসেছে, তাদের অবস্থা খারাপ হতে দেখেছি। সুতরাং সাপে কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বা যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে আসতে হবে।’

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা”

আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল প্লাটিনাম জয়ন্তী, অর্থাৎ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

The Daily Star বাংলার একটি শিরোনাম “প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সীমান্ত-নদী-বিদ্যুৎখাতে ১০ সমঝোতা স্মারক সই”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রাজনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার নবক্ষেত্র উন্মোচন এবং দুই দেশের সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে তাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

শনিবার বিকেলে ভারতের নয়াদিল্লিতে হোটেল তাজ প্যালেসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।

শনিবার সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, গত ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণে যোগদানের পর আবারও তার আমন্ত্রণে অত্যন্ত কম সময়ের ব্যবধানে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে আসা সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের এ সফর অত্যন্ত সফল।

তিনি বলেন, ‘দুদেশের প্রধানমন্ত্রী তাদের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও কর্মকর্তাদেরসহ দলগতভাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে একান্ত বৈঠক করেন। বৈঠকে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়ে আলোচনা হয়।’

এই সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১০ সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল পার্টনারশিপ, বাংলাদেশ-ভারত গ্রিন পার্টনারশিপ, সমুদ্র সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি, ভারতের ইন-স্পেস এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা, বাংলাদেশ ও ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সংযোগ সংক্রান্ত, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ভারতের ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে  গবেষণা সহযোগিতা, কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতায় ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন-ইন্ডিয়া এবং মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের মধ্যে নতুন সমঝোতা স্মারক সই এবং স্বাস্থ্য ও ওষুধসংক্রান্ত সমঝোতা নবায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমনে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি এবং বাংলাদেশ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন এবং মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে বিদ্যমান সমঝোতা নবায়নসহ মোট ১০টি সমঝোতা সই হয়।

দুদেশের মধ্যে সংযোগ বা কানেক্টিভিটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর যাতে ভারতের উত্তর-পূর্ব, বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলের জন্য ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে তাদের আগ্রহ ও আমাদের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’

সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে রাজনৈতিকভাবে দুদেশের ঐক্যমতের অভাব নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরপরও যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলোও যাতে একদম কমানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী আছে। এগুলোর নাব্যতা রক্ষাসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা, তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, বন্যা দুর্যোগ মোকাবিলা এবং পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়েও গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতার প্রসার, ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে সহায়তা এবং ভারত যে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের নতুন সঞ্চালন লাইন করছে, সেটি থেকে কীভাবে সহায়তা পাওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।’

‘এ সময় পেঁয়াজ, তেল, গম, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানিতে বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট কোটা সংরক্ষণ ও আমদানি যাতে বন্ধ না হয়, সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি’, বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রিকস সদস্য বা অংশীদার যেকোনো পদে আমরা ভারতের সমর্থন চেয়েছি এবং তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। পাশাপাশি বিমসটেক, ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনসহ বহুপাক্ষিক ফোরামগুলোতে অবস্থান শক্তিশালী করা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা ছিল ইতিবাচক।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় চীনের ভূমিকা বৃদ্ধির কথাও এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে এটি আলোচনা করবেন বলেছেন।

ভিসা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশিদের জন্য ভারত বছরে প্রায় ২০ লাখ ভিসা প্রদান করে। মেডিকেল ভিসা ত্বরান্বিত করতে ও অন্যান্য ভিসার অযথা বিলম্বরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের মিশনগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “খেলাপি ছাড়াও ব্যাংক খাতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ এখন ২,৫৭,৩৯২ কোটি টাকা”

ব্যাংক ঋণ খেলাপি হওয়ার আগের ধাপ ‘ওভারডিউ’ বা ‘মেয়াদোত্তীর্ণ’। কোনো ঋণের কিস্তি পরিশোধ অনিয়মিত হয়ে গেলে সেটি মেয়াদোত্তীর্ণ বলে গণ্য হয়। এ ধরনের ঋণই পরবর্তী সময়ে যুক্ত হয় খেলাপির খাতায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চ শেষে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯২ কোটি টাকায়। পরিশোধ কিংবা পুনঃতফসিলের মাধ্যমে নিয়মিত না করা হলে এ ঋণও শিগগিরই খেলাপির খাতায় উঠবে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024