উত্তরার ১১ নং সেক্টরের কাঁচাবাজারের বেডিং মার্কের্ট, কাঁচা বাজার ও ভাঙারির দোকানে গত ১২ মার্চ রাতে ভয়াবহ আগুন লাগে।
ওই আগুনে মানুষ পুড়ে মারা না গেলেও পুড়ে মারা গেছে অনেক অসহায় প্রাণী। আগুনের সূত্রপাতের স্থান অনেকে ধারনা করছেন ভাঙারির দোকান, তবে শর্ট সার্কিট বা কোন গ্যাস লিকেজের স্থান চিহ্নিত হয়নি।
বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ, দুপুরে বাজারটির বর্তমান অবস্থা জানতে সেখানে সরোজমিনে যাওয়া হয়। স্থানীয় কিছু লোকের কাছ থেকে কথা বলে জানা যায়, তাদের মতে বাজারের পাশে ভাঙারির দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। এরপর ওই দোকান থেকে আগুন লাগে কাঁচাবাজারে। এই আগুন কাঁচাবাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে ফার্নিচারের দোকানে। আগুন নেভানোর আগেই ফার্নিচারের দোকানগুলো সম্পুর্ণ পুড়ে যায়। যার ফলে ফার্নিচার ব্যবসায়ীরা তাদের সর্বস্ব হারিয়েছে বলে জানাচ্ছে।এমনকি ওই আগুনের কাঁচাবাজারে বিভিন্ন প্রকার জীবিত প্রাণী যেমন – হাঁস -মুরগী,কবুতর, খাসি,গরু সবই পুড়ে মারা যায় আগুনে।
অন্যদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগুন লাগার ঘটনা ছিল পুরোটাই ষড়যন্ত্রমূলক। এর পেছনের এক ধরনের দখল বাণিজ্যে কাজ করেছে।
ফার্নিচারের দোকানিরা জানায়, ঈদ উপলক্ষে মাত্র এক সপ্তাহ আগে নতুন ফার্নিচার এবং ফার্নিচার তৈরির উপাদান ফোম তুলেছিলেন দোকানে। সবই দোকানে আনা হয়েছেল ঋনের টাকায়। আশা ছিল ব্যবসা করে লোন শোধ করবে। অথচ আগুন লাগায় ফলে সেই স্বপ্ন সম্পুর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন এই লোন কিভাবে পরিশোধ করবে সেটাই ব্যবসা করার থেকে ব্যবসায়ীদের বড় চিন্তা।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ফায়ারসার্ভিস বাজারের ঠিক পাশেই। তারপরও তাদেরআসতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লেগেছে। আর আগুন জ্বলেছে মাত্র ২০ মিনিট।
আর এই ২০ মিনিটেই জমজমাট বাজারটি পুড়ে মাটিতে মিশে গিয়েছে। সাথে ছাই হয়ে গিয়েছে ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন!
Leave a Reply