৩৭. ঘরে ফিরে এসে ওয়াং ছি ভাবল : “সত্যিই গুরুদেবের ক্ষমতা অনেক। যদি আমি তা শিখতে পারি, তাহলে পৃথিবীতে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ থাকবে না।” এই কথা ভেবে সে বাড়ি ফিরে যাওয়ার চিন্তা ত্যাগ করল।
৩৮. ওয়াং ছি রোজ কাঠ কাটতে যেত। এইভাবে আরো এক মাস কেটে গেল। সে আর কষ্ট সহ্য করতে পারছিল না। কিন্তু মহাপুরুষ তাঁর ক্ষমতার বিন্দুমাত্রও তাকে দেন নি। আর কোন উপায় না দেখে সে তার মন ঠিক করে ফেলল।
৩৯. পরদিন অন্যান্য শিষ্যরা পর্বতে চলে গেলে সে মহাপুরুষের কাছে গিয়ে বলল: “আমি কয়েকশ’ মাইল পথ অতিক্রম করে এখানে এসেছি এবং আপনাকে গুরুদেব মনে করে পূজা করেছি, তবে কেন রোজ রোজ আমাকে কাঠ কাটতে বলেন? সত্যি বলতে কি, আপনার শিষ্য আমি বাড়িতে কখনো এই ধরণের কাজ করি নি, একাজে আর কত দিন লাগবে?”
৪০. মহাপুরুষ হেসে বললেন, “আমি আগেই জানতাম তুমি এখানকার কষ্ট সহ্য করতে পারবে না। যাক, কাল তোমাকে বাড়ি যাবার জন্য বিদায় জানাব।” ওয়াং ছি এই কথা শুনে আন্তরিকতার সঙ্গে অনুরোধ করল, “কয়েক মাস হল আমি এখানে কষ্ট সহ্য করে কাজ করছি। অমরত্ব লাভের মতো বড় বিদ্যা শেখার যোগ্যতা আমার না থাকলেও গুরুদেব আমাকে নিশ্চয় কিছু ছোটখাটো ক্ষমতা লাভের বিদ্যা শেখাতে পারেন।”
Leave a Reply