সারাক্ষণ ডেস্ক
ভারতীয় চলচ্চিত্রের সেরা সুন্দরীদের মধ্যে অন্যতম একজন প্রভাবশালী অভিনেত্রী মধুবালা ।
মধুবালাকে বলা হতো বলিউডের মেরিলিন মনরো। দুজনের সৌন্দর্যেরই তুলনা করা হয়। তার কারণ দুজনেরই বিষাদময় জীবনের কাহিনি বেদনাদায়ক। দুজনেই মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান। মেরিলিন মনরো ১৯৬২তে, আর মধুবালা ১৯৬৯ সালে।
অসাধারণ সুন্দরী ছিলেন মধুবালা। বলা হয় যে তার প্রকাশিত কোনও ছবিই তার সৌন্দর্যের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি।
মধুবালা ১৯৩৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আতাউল্লা খান পেশোয়ারের পাঠান। সেখানে তামাক কোম্পানিতে চাকরি হারানোর পর তাঁরা ভাগ্যের সন্ধানে পাড়ি জমান বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই)। ১৯৪৪ সালের ১৪ এপ্রিল বোম্বে বিস্ফোরণের ঘটনায় হারিয়ে যায় তাঁদের বস্তির ছোট্ট ঘরটিও। এমন পরিস্থিতিতে শখে নয়, জীবিকার প্রয়োজনে বাবার সংসারে সহায়ক হতে নেমেছিলেন অভিনয়জগতে।
১৯৪৭ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ‘নীল কমল’ সিনেমায় প্রধান অভিনেত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন মধুবালা।
ছবির সেটে সময়মতো আসার অভ্যাস ছিল মধুবালার।
তার আসল নাম মমতাজ জাহান দেহলভী। এই নাম নিয়ে অভিনয় শুরু করলেও অভিনেত্রী দেবিকা রানী তার নাম দেন মধুবালা।
তিনি মূল চরিত্রে অভিনয় শুরু ১৪ বছর বয়সে ‘নীলকমল’ ছবিতে। ১৯৪২ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত মাত্র ২৭ বছরের অভিনয় জীবনে ৭০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘মুঘল-ই-আজম’ (১৯৬০) মধুবালার জীবনের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র।
সে সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা দিলীপ কুমারের সঙ্গে তার প্রেমকাহিনি বেশ সাড়া জাগিয়েছিল। মধুবালা যখন বুঝতে পেরেছিলেন যে দিলীপ কুমার তাকে বিয়ে করবেন না, তখন তিনি কিশোর কুমারকে বিয়ে করেছিলেন।
১৯৬০ সালে তাকে বিয়ে করেন মধুবালা। ১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তবে এবার পরিচালক জসমিত কে রিন মুধাবালাকে নিয়ে বায়োপিক বানাতে চলেছেন। সিনেমার নাম রাখা হয়েছে ‘মধুবালা’।
হিন্দি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়িকা মধুবালার বায়োপিক নির্মাণের খবর এবার আর গুজব নয়।
এখন প্রশ্ন উঠেছে প্রয়াত কিংবদন্তি এই নায়িকার বায়োপিক এ পর্দায় মধুবালা কে হচ্ছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে প্রয়াত এই নায়িকার চরিত্রে আলিয়া ভাটকে ভাবা হচ্ছে। তবে নিশ্চিত করো কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
Leave a Reply