নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপিপন্থী ৭ আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় এবার সময় চাইলেন বাদীপক্ষ। মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী সাকিলা রওশন সময় চান।
শুনানির একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যদি মামলা না করতে চান তাহলে প্রত্যাহার করে নেন।’ তখন আইনজীবী বলেন, ‘আমাদের সিনিয়রের ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে আজ শুনানি করতে চাই না।’
পরে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি। ওইদিন ৭ আইনজীবীকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।
সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন আদালত অবমাননার মামলার শুনানিকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাত আইনজীবী।
গত ২৯ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন আপিল বিভাগ।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের জাতীয় শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে ‘আমরা বাংলাদেশের বিচারপতিরা আমরা হলাম শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ বলাসহ আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির দেওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা একটি সংবাদ সম্মেলন করে। এরপর দুই বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে মিছিল-স্লোগান-সভা অব্যাহত রাখায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন করেন মো. নাজমুল হুদা।
সে আবেদনের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণসহ দেশের সব আদালতে সব ধরনের মিছিল সমাবেশ না করার বিষয়ে বিচারপতি এম এ মতিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া রায় কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
ওই বছরের ৩০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য একই বছরের ১৯ অক্টোবর দিন ঠিক করেন আদালত।
এরপর ১৯ অক্টোবর এ বিষয়ে শুনানির দিন পিছিয়ে ১৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
আর ১৫ নভেম্বর শুনানির দিন আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যাখ্যা দিতে বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীকে ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগে তলব করা হয়। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছিলেন।
এরপর গত ১৫ জানুয়ারি বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীকে আদালত অবমাননার অভিযোগে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার দিন পিছিয়ে ২৯ জানুয়ারিফ ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
এরপর শুনানির জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়। পরে আজ এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
যে সাত আইনজীবীকে তলব করা হয়েছে তারা হলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
Leave a Reply