মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীলঙ্কার নতুন রাষ্ট্রপতির প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি সঠিক পথে আনা ক্ষমতার ভারসাম্যর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীকে সরাসরি রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখা যেতে পারে –সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ- জামান চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেকে পরিবহন সেক্টর বাঁচাতে হবে – গোলাম মোহাম্মদ কাদের অধীরের বদলে কেন শুভঙ্করের হাতে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস? মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৬) জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি গাজরের  যাদুকরী রেসিপিগুলো: নতুন নতুন স্বাদ ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে তরুণ সেনা কর্মকর্তা নিহত দিশানায়েকের অভূতপূর্ব উত্থান: বিক্ষোভ থেকে প্রেসিডেন্ট ব্রিটিশ রাজত্বে সুন্দরবন (পর্ব-৩২)

পরিবর্তনের জন্য সামান্য স্ফুলিঙ্গই যথেষ্ট

  • Update Time : শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪, ১২.৩৬ পিএম

আমি খুবই ছোট এটা করতে (৪র্থ পর্ব)

ফেসবুক , স্টকহোম, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

সম্প্রতি আমার বিরুদ্ধে অনেক গুজব, অনেক ঘৃণা আমি দেখতে পাচ্ছি। এটা আমার কাছে আশ্চর্যের বিষয় নয়।আমি জানি যে, যতক্ষণ না জলবায়ু সমস্যার পূর্ণ অর্থ মানুষ না বুঝবে, (যেটা বোঝা খুবই সহজ) ততক্ষণ এ ব্যাপারে একটা স্কুল ধর্মঘটের ঘটনা একটা অদ্ভুত ঘটনা হিসেবেই মানুষের কাছে ঠেকবে, এটা স্বাভাবিক। তাই আমাকে আমার স্কুল ধর্মঘটের কারনটা ব্যাখ্যা করতে দিন।

২০১৮ সালে একটি সুইডিস নিউজ পেপার  স্ভেন্সকা ডাগব্লাডেট এ  পরিবেশের উপর লেখা লিখে আমি পুরুষ্কৃত হই। আমার লেখা প্রকাশের পর কিছু মানুষ আমার সাথে যোগাযোগ করে । তাদের মধ্যে ফসিল ফ্রি ডাসল্যান্ডের বো থোরেন অন্যতম।  যুবকদের নিয়ে গঠিত তার একটি সংগঠন ছিলা যারা জলবায়ু সমস্যা নিয়ে কিছু করতে চেয়েছিল।

আমি কতিপয় কর্মীদের সাথে ফোন মিটিং করি । উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু সমস্যাকে সামনে আনা।বো এর কিছু ধারণা ছিল যা আমরা উভয়ই করতে পারতাম। সবকিছুই ছিল এর মধ্যে স্কুল ধর্মঘট অন্যতম যা স্কুল ইয়ার্ডে বা শ্রেণীকক্ষে পালন করা যায়। এই ধারণাটা পার্কল্যান্ড স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের খুবই উৎসাহিত করেছিল যারা স্কুলে একটা গোলাগুলির ঘটনার পরে স্কুলে যেতে চাইলোনা।

আমি স্কুল ধর্মঘটের আইডয়াটা পছন্দ করলাম।  তাই আমি অন্যদের অনেক উৎসাহিত করলাম কিন্তু কেউই এতে সায় দিলোনা।তারা চিন্তা করলো জিরো আওয়ার মার্চ , একটি সুইডিস ভার্সন  এতে অনেক বড় ফল দিতে পারে।এরপর আমি নিজেই  স্কুল স্ট্রাইকের পরিকল্পনা করতে লাগলাম  এবং এরপর আমি আর কোনো মিটিং এ অংশগ্রহণ করিনি। আমি যখন আমার পরিকল্পনার কথা বাবা-মা কে জানালাম তারা এটাতে তেমন কোনো  আনন্দ পেলেননা। স্কুল স্ট্রাইকের পরিকল্পনাটাকে তারা তো সাপোর্ট দিলেনই না বরং বললেন এটা যেন সম্পূর্ণ আমার নিজের দায় নিয়ে করি। তাদের দিক থেকে আমি কোনো ধরেনের সহযোগিতা পেলাম না।

২০ শে আগস্ট আমি সুইডস পার্লামেন্টের বাইরে বসে পড়লাম। আমি জলবায়ু সমস্যা ও এর সমাধানের  উপরে একটা বিশদ লেখা সম্বলিত লিফলেট নিয়ে বসলাম এবং ব্যাখ্যা করলাম যে কেন আমি স্ট্রাইক করছি। প্রথমে আমি টুইটার এবং ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করলাম যা দ্রুত ভাইরাল হয়ে গেল। এরপর সাংবাদিক আর পত্রিকাগুলো আসতে লাগলো। ইংমার রেন্টযোগ,  একজন সুইডিস উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী যিনি জলবায়ু আন্দোলনের সাথে যুক্ত তিনি প্রথমে আসলেন।

তিনি আমার সাথে কথা বললেন, ছবি তুললেন এবং ফেসবুকে পোস্ট করলেন।  সেটাই তার সাথে আমার প্রথম দেখা এবং কথা। আমি তার সাথে আর কোনো দিন দেখা করিনি এমনকি কথা বলিনি।অনেক মানুষ গুজব ছড়ানো শুরু করলো যে, আমার ফিছনে মানুষ আছে যারা আমাকে এসব করতে টাকা দেয় এবং আমি তাদের দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছি। কিন্ত  আমার পিছনে আমি ছাড়া কেউই ছিলনা। আমি বোঝানোর পরে আমার বাবা-মা জলবায়ু কর্মী হতে পেছিলেন যতটুকু পারা যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024