জাফর আলম, কক্সবাজার
কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া এবং সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত বেশ কয়েক দিন শান্ত থাকার পর মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতে গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দে আবারও কেঁপে উঠল।রবিবার (১৭ মার্চ) রাত থেকে সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে গোলগুলির এ শব্দ শোনা গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হ্নীলার চৌধুরী পাড়া ও সাবরাংয়ের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গোলাগুলির পাশাপাশি অন্তত ২০ থেকে ৩০টি মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের উত্তরে নাকপুরা এলাকা এবং পূর্বে ধনখালী, হাসুরাতা, নাইক্ষ্যংদিয়া, গর্জনদিয়া ও সংক্ষদাবিল এলাকায় সংঘাতের কারণে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে সোমবার বেলা ১১টার পর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ কমে গেলেও মাঝেমধ্যে ঘণ্টাখানেক পর পর গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) সংঘাত চলছে। উভয়পক্ষে গোলাগুলি, মর্টার শেল, গ্রেনেড বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। যে কারণে এর প্রভাব এসে পড়ছে এপারে। রবিবার রাতে হঠাৎ একসঙ্গে প্রায় ২০টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণে সীমান্তের লোকজন একটু আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি। টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, রাতে বিকট শব্দের মর্টার শেলের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, কুলালপাড়া, ডেইলপাড়া, হাঙ্গারডেইলসহ অন্তত ১৩টি গ্রাম। এতে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোরে সেহেরির সময় নাফ নদের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে বেশ কয়েকটি গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। সকাল থেকে ভারী মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। এ ছাড়া এখনও মাঝে মাঝে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে নাফ নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা আতঙ্কে রয়েছেন।বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ওপারে সংঘাতের কারণে মাঝে মাঝে এপারে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে বিজিবি। বিশেষ করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।
Leave a Reply