পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
স্মার্ট নেতা কি আক্রমনাত্মক হবে
পৃথিবীতে শক্তির রূপান্তর ঘটে প্রতি মহূর্তে। বর্তমান যে সময়টিতে পৃথিবী চলছে- এ পৃথিবী সম্পূর্ণ সফট পাওয়ারের পৃথিবী।
এই সফট পাওয়ার এখন সংগঠন, টিম, কোম্পানি বা রাষ্ট্র সব ক্ষেত্রেই।
তাই স্বাভাবিকই বলা যায়, পৃথিবীর যে কোন নেতৃত্ব এমনকি পরিবার পরিচালনার নেতৃত্বও এখন সফট পাওয়ার নির্ভরশীল সেখানে কোনক্রমেই কোন নেতার আক্রমনাত্মক হবার কোন সুযোগ নেই।
আক্রমনাত্মকের বদলে এখন যে কোন স্মার্ট নেতাকে খুঁজতে হবে বাস্তভিত্তিক কৌশল বা পথ। আর সে পথের জন্যে তাকে অবশ্যই সফট পাওযারকে বেছে নিতে হবে।
এজন্য যে কোন কাজের ক্ষেত্রে নেতাকে আগেই খুঁজতে হবে এ কাজে সফলতা আনার জন্য বা বা সফল হবার জন্যে কী কী সফট পাওয়ার প্রয়োজন আর তার কতটুকু’র সে অধিকারী।
যে কোন কাজের জন্য নেতার প্রথম যে শক্তি’র প্রয়োজন তা হলো নেতা নিজে ওই কাজটি কতটা জানে। এবং সে কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানার সুযোগ তিনি কতটা তৈরি করতে পারবেন?
যে কোন কাজ সম্পর্কে জানতে হলে আগে তাকে স্টাডি করতে হয়। নেতার অবশ্যই কাজ সম্পর্কে স্ট্যাডি করার সক্ষমতা থাকতে হবে।
আর এই স্ট্যাডির ক্ষেত্রে সব থেকে বড় বিষয় হলো ইনফরমেশনকে এনালিসিস করে ওই ইনফরমেশান ও এনালিসকে একত্র করার ভেতর দিয়ে সিদ্ধান্ত তৈরির সক্ষমতা।
আর এই সক্ষমতা সব সময়ই যৌথ বা গ্রুপ স্ট্যাডির মধ্য দিয়েই যর্থাথ হয়। নেতাকে সেই গ্রুপ গড়ার ও চয়েস করার যোগ্যতা অজর্ন করতে হবে। পাশাপাশি সেই গ্রুপ নিয়ে কাজ করারও যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
একক সিদ্ধান্তে যিনি কাজ করেন তিনি সাধারণ আর যৌথ সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার মাধ্যমে যিনি কাজ করেন তিনি নেতা।
তাই স্মার্ট নেতাকে অবশ্যই যৌথ সিদ্ধান্তর ক্ষেত্র তৈরি এবং তা গ্রহন করে চলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
আর যখনই এ ধরনের যৌথ সিদ্ধান্ত আসে এবং সফট পাওয়ার নির্ভরশীল নেতা হয় তখন আর নেতা কোন ক্রমেই আর আক্রমনাত্মক থাকে না।
Leave a Reply