সারাক্ষণ ডেস্ক
একজন প্রাক্তন কেজিবি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুতিন, যিনি প্রথমে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া নির্বাচনে বিজয়ের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে এমনই বার্তা পাঠালেন যে, যুদ্ধ বা শান্তি যে কোন অবস্থায় তাঁর সঙ্গেই আরও অনেক বছর পশ্চিমাদের হিসাব নিকাষ করতে হবে।
এবারের নির্বাচনের ফলাফলের অর্থ হল পুতিন( ৭১) আরো ছয় বছরের মেয়াদে যাত্রা শুরু করলেন। এই যাত্রা তিনি সম্পন্ন করতে পারলে জোসেফ স্টালিনকেও ছাড়িয়ে যাবেন। এবং ২০০ বছরের ইতিাহাসে রাশিয়ার দীর্ঘস্থায়ী নেতা হিসাবে পরিণত হবেন।
পুতিন ভোট পেয়েছেন ৮৭.৮% । যা বাস্তবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাবার পরে সে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোট। যদিও যুক্তরাজ্য, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলো বলছে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের কারাগারে রেখে এবং সেন্সরশিপের মাধ্যমে এই ভোট যে কোন উপায়ে আদায় করা হয়েছে। ভোটটি বাস্তবে নিরপেক্ষ বা সঠিক ছিল না।
হাস্যকর বিষয় হলো তার নিকটতম প্রার্থী কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলাই খারিতোনভ মাত্র ৪% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে। এর থেকেই নবাগত ভ্লাদিস্লাভ দাভাঙ্কভ তৃতীয়, এবং আল্ট্রা-ন্যাশনালিস্ট লিওনিদ স্লুটস্কি চতুর্থ একই ইঙ্গিত দেয়।
মস্কোতে বিজয় ভাষণে পুতিন তার সমর্থকদের তিনি ইউক্রেনে’র আগ্রাসনকে “বিশেষ সামরিক অভিযান” বলে উল্লেখ করেছেন তার সাথে জড়িত কাজগুলি সমাধানে অগ্রাধিকার দেবেন বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া এবং রাশিয়ান সামরিক বাহিনীকে আরোশক্তিশালী করবেন।
তিনি আরো বলেন, দিয়েছেন, অতীতেও রাশিয়াকে কেউ পরাভূত করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। এই ভাষন দেবার আগে তিনি যখন মঞ্চে আসেন সে সময় তাঁর সমর্থকরা “পুতিন, পুতিন, পুতিন” ও “রাশিয়া, রাশিয়া, রাশিয়া” বলে ধ্বনি দেয়।
তবে গত মাসে আর্কটিক জেলে মারা যাওয়া বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালিনের হাজার হাজার সশর্থক বিরোধী রাশিয়া মধ্যে বেশি কিছু এবং বিদেশে’র ভোটকেন্দ্রগুলিতে ভোটের দিন দুপুরে পুতিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।
অবশ্য পুতিন সাংবাদিকদের বলেছেন, রাশিয়ার নির্বাচন সম্পূর্ন গণতান্ত্রিক পথে হয়েছে, এবং নাভালনি এর সমর্থকদের প্রতিবাদ নির্বাচনের ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলেনি।
নাভালনির মৃত্যু সম্পর্কে তিনি এবারেই প্রথম মন্তব্য করেছেন, এবং বলেছেন বাস্তবে নাভালনির মৃত্যু ছিল “দুঃখজনক ঘটনা” এবং নিশ্চিত করেছেন যে তিনি বিরোধী রাজনীতিবিদকে নিয়ে একটি বন্দি বিনিময় করতে প্রস্তুত ছিলেন।
এছাড়া পুতিন সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় মার্কিন গণতন্ত্রকে আক্রমন করেন । এবং ইউক্রেনের যুদ্ধকে আরো জোরদার করবেন বলে ঈংগিত দেন।
Leave a Reply