টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার একটি শিরোনাম ‘Heat wave: Record index of 62.3C scorches Rio de Janeiro’.
খবরে বলা হচ্ছে, গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরুতেই তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে ব্রাজিলে। দেশটির রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে সোমবার সকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি রেকর্ড করা হলেও আবহাওয়া দপ্তর বলছে, মানুষ যে উত্তাপ অনুভব করছে তার বিচারে ফিলস লাইক টেম্পারেচার ৬২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তীব্র গরমের কারণে রিও ডি জেনেরিওতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল, কলেজ ও বেশ কিছু অফিস। একটু শীতলতার খোঁজে শত শত মানুষ ভিড় জমিয়েছে কোপাকাবানা ও ইপানেমা সমুদ্র সৈকতে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, শুধু আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড করা তাপমাত্রা দিয়ে গরমের তীব্রতা বিচার করলে হবে না। এর সঙ্গে আদ্রতাসহ বেশ কিছু জিনিস বিবেচনায় নিতে হবে। সেসব জিনিস বিবেচনায় নিলে রিও ডি জেনেরিওর মানুষ এখন প্রায় সাড়ে ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভব করছে। এটিকেই বলে ‘ফিলস লাইক টেম্পারেচার’।অস্বাভাবিক মাত্রায় গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে নির্বিচারে গাছ কাটা, বন উজাড় করা, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা, রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণ দায়ী বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদেরা। এদিকে রিও যখন গরমে পুড়ছে, অন্যদিকে ভয়াবহ বৃষ্টি আবার ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গালফ নিউজ পত্রিকার একটি শিরোনাম. Saudi Arabia: No permit for repeat Umrah in Ramadan’.
প্রতিবেদন থেকে জানা যায় , পবিত্র রমজান মাসে কাবা শরিফ ও মসজিদুল হারামে মুসল্লির ভিড় কমাতে একাধিকবার ওমরাহ ও কাবা শরিফ তাওয়াফের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা রমজান মাসে একাবারের বেশি ওমরাহ করার অনুমতি দেবেন না। এই নিয়ম মেনে চলতে তারা এই রোজায় একাধিকবার ওমরাহ পালন করতে চাওয়া ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মূলত রোজার সময় অন্যদের আরও সহজে ওমরাহ পালন ও কাবা শরিফ তাওয়াফের সুযোগ দিতে এবং মসজিদুল হারামে ভিড় কমাতে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সৌদি আরবে হজ ও ওমরাহ পালন সহজ করতে নুসুক নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে দেশটির সরকার। সৌদি সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে নুসুক অ্যাপও আপডেট করা হয়েছে।নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, কোনো ব্যক্ত যদি দ্বিতীয়বার ওমরাহ পালনের জন্য নুসুকে রেজিস্ট্রেশনের চেষ্টা করেন সে ক্ষেত্রে নুসুক অ্যাপ তাঁকে বাধা দেবে অর্থাৎ তাঁর রেজিস্ট্রেশন হবে না।
দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম: ‘মিটার রিডারদের হাতে বিলের ‘চোরা চাবি’।
খবরের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে যে, কখনও বাণিজ্যিক ভবন হয়ে যাচ্ছে আবাসিক, কখনও ভবন নির্মাণের তথ্য হচ্ছে গুপ্ত। আবার কেউ মিটার খুলে রেখে পানির বিল কমিয়ে দেওয়ার ধান্দায় ব্যস্ত। গভীর নলকূপের তথ্য লুকাতে কেউ হয়ে ওঠেন ‘গভীর জলের মাছ’। ওয়াসার পানি ব্যবহারে এমন ছলাকলায় খোদ মিটার রিডাররাই অতিশয় দক্ষ। পানির বিল নিয়ে রকমারি কাণ্ড করে ফায়দা লুটছেন ওয়াসার এসব অসাধু বিলিং সহকারী; করছেন নিজের পকেট ভারী। ওয়াসার পানিকাণ্ডে কালেভদ্রে দুয়েকজন শাস্তির মুখোমুখি হলেও অনেকে ছড়ি ঘুরিয়েই যাচ্ছেন। ভবন মালিক, মিটার রিডারদের তদারককারী সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও), রাজস্ব কর্মকর্তা এবং ওয়াসার দুয়েকজন অসাধু বড় কর্তাও এমন অনিয়মের সঙ্গী।এসব কারসাজির দাঁড়ি টানতে তিন মাস অন্তর মিটার রিডারদের এলাকা বদলের নির্দেশনা থাকলেও অনেকে বছরের পর বছর খুঁটি গেড়েছেন। ফলে পানির বিল নিয়ে অনিয়মের বল্গা ছুটছেই। অবশ্য ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, দুর্নীতির ব্যাপারে শূন্য সহনশীল নীতি নিয়েছে তারা। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা। এদিকে, এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে গত ১১ মার্চ ঢাকা ওয়াসার মডস জোন-৪ ও ১০-এ (মিরপুর এলাকা) অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানকালে গত তিন মাসে বিচ্ছিন্ন করা সংযোগ ও নতুন সংযোগ দেওয়া হোল্ডিংয়ের তালিকা সংগ্রহ করে দলটি। এ ঘটনায় দেলোয়ার নামে এক বিলিং সহকারীকেও বরখাস্ত করে ঢাকা ওয়াসা।
ভাটারার মাদানী অ্যাভিনিউর ২৪৭৫ দাগে সাড়ে ১৬ কাঠা জমিতে গড়ে ওঠা একটি বাণিজ্যিক ১০ তলা ভবনের গত ফেব্রুয়ারির পানির বিল (মিটার নম্বর ০৮০২৫৭৬২০০) করা হয় মাত্র ৪ হাজার ২০০ টাকা। ভবনে আছে দোকান, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিশাল ভবনের এত কম পানির বিল প্রসঙ্গে মালিক বশির আহমেদ বলেন, ‘কেন কম বিল হয়, তা বলতে পারব না। তবে ওয়াসার বিরুদ্ধে বেশি বিল করার যে অভিযোগ নগরবাসী করে বলে শোনা যায়, আমার এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই।’
‘সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে চার জন নিহত’– দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথমপাতার খবর এটি।
বিস্তারিত খবর বলা হয়েছে যে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গ্রামবাসীর পিটুনিতে অন্তত চার জন মারা গেছেন। এছাড়া গুরুতর আহত একজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার ভোররাতে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বাগরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীর বরাত দিয়ে এতে আরও বলা হয়েছে যে, সোমবার ভোরে বাগরি গ্রামের বাগরি বিলে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। তাদের গতিবিধি দেখে ডাকাত বলে সন্দেহ হয়।
পরে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ‘গ্রামে ডাকাত পড়েছে’ বলে ঘোষণা দিলে গ্রামবাসী বিলের সামনে জড়ো হন। এসময় ধাওয়ায় অপরিচিত ওই ব্যক্তিরা বিলের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে ধরে পিটুনি দিলে তিন জন ঘটনাস্থলে মারা যান।
দৈনিক মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম: ‘রক্ষকই ভক্ষক’।
বিস্তারিত খবরে বলা হয়েছে যে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলছে অস্থিরতা। অনিরাপত্তায় ভুগছেন নারী শিক্ষার্থীরা। ক’দিন পরপরই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি আলোচিত ঘটনা নতুন করে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এসেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় দায়িত্বরতদের। কেউ কেউ বলছেন, রক্ষকই এখানে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। যে কারণে অবন্তিকার মতো একটি স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে। শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নয়? এমন নানা ঘটনা ঘটছে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও। অপ্রীতিকর, অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক ঘটনায় কাঠ গড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্তদের। একের পর এক শিক্ষার্থী নির্যাতন।
যৌন হয়রানি। চুরি, ছিনতাই হেন কোনো ঘটনা নেই যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হচ্ছে না। এমন সব ঘটনা ঘটার পর তদন্ত কমিটি হয়। সময়ের ব্যবধানে তা আবার চাপা পড়ে যায়। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্ষমতার রাজনীতি চর্চা অতিমাত্রায় পৌঁছে যাওয়ার কারণে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। বাড়ছে অপ্রীতিকর ঘটনা।
যৌন নিপীড়ককে বাঁচাতে গিয়ে পদ হারালেন জাবি প্রক্টর: শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান। যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে বাঁচাতে গিয়েই পদ হারালেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রক্টরের সাময়িক দায়িত্ব পেয়েছেন পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর কবীর। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ঋণ খেলাপিদের নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের করা প্রধান শিরোনাম: ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বড় ঋণ জালিয়াতরা কি ইচ্ছাকৃত খেলাপি’।
এতে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেসব গ্রাহক আগে জালিয়াতি বা প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে।
কাজেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
খবরে আরও বলা হয়েছে যে, ২০১২ সালে ব্যাংক খাতে সবচেয়ে বড় জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। হলমার্ক গ্রুপ সোনালী ব্যাংকসহ ২৬টি ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।
ওই ঋণের সবই এখন খেলাপি। কিছু ঋণ সোনালী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংক অবলোপন করেছে। গ্রাহকের জামানতের বেশির ভাগই ছিল ভুয়া। ফলে সম্পদ বিক্রি করে ঋণ আদায় করা সম্ভব নয়। জালিয়াতির কারণে ওই গ্রুপের এমডি, চেয়ারম্যানসহ তিনজন জেলে রয়েছেন। অনেক ব্যাংক কর্মকর্তাও জেলে। আইন অনুযায়ী হলমার্ক গ্রুপকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা যায় বলে খবরে বলা হয়েছে।
Leave a Reply