জাফর আলম, কক্সবাজার
কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে ‘অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের তিন সদস্য এবং শীর্ষ এক মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে দুই লাখ ইয়াবা, বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নটির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আটককৃতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব জাদিমুরা ইমাম হোসেনের ছেলে ইয়ামিন আরাফাত ওরফে কালু, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং এলাকার মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে আবুল কাশেম এবং খুলনা জেলার সদরের আবুল কালামের ছেলে সাকির আহমদ সাগর ও দাকোপ উপজেলার সুঁতারখালী ইউনিয়নের গুনারী এলাকার নওশের মোড়লের ছেলে মো. নুরুজ্জামান।এদের মধ্যে ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু শীর্ষ মাদক কারবারি এবং অন্যরা অস্ত্র ব্যবসায়ী।
র্যাব জানিয়েছেন, আটক প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্রসহ নানা অভিযোগে টেকনাফসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সোমবার রাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যং এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালায় র্যাব। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে চার-পাঁচজন সন্দেহজনক লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটকদের হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুইটি গুলি পাওয়া যায়।র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, আটকরা স্বীকারোক্তি দিয়েছে, তারা তিনজনই মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ি। তারা খুলনা থেকে অস্ত্রের চালান এনে টেকনাফের বিভিন্ন অপরাধী চক্রের কাছে তুলে দিত। চক্রটি নগদ টাকার পাশাপাশি মাদকের বিনিময়েও এসব অস্ত্র লেনদেন করত।
এদিকে সোমবার রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব জাদিমুরা এলাকায় নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারে খবরে পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই লাখ ইয়াবাসহ ইয়াছিন আরাফাত ওরফে কালুকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।তিনি বলেন, আটক ব্যক্তির দেওয়া তথ্য মতে তার বসত ঘরে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা দুই লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু শীর্ষ মাদক কারবারি ও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচারকারি চক্রের অন্যতম হোতা। সীমান্তে মাদকপাচারে তার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। চক্রটি সীমান্ত দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান নিয়ে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করত।আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় পৃথকভাবে মামলা করা হয়েছে বলে জানান লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন।
Leave a Reply