শিবলী আহম্মেদ সুজন
দেওয়ালে লাগানো বিভিন্ন খাবারের ছবি । পরিবেশ নিজের বাসার মতো, অনেকটা ঘরোয়া পরিবেশ। প্রতিটি টেবিলে রয়েছে পানির বোতল । সবকিছু বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।
সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় তীব্র যানজট পেরিয়ে দুপুর ২ টা ৩৩ মিনিটে বনানীর সৈনিক ক্লাব থেকে একটু সামনে, আল-আসাদ হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টে ( সাবেক মিলি হোটেল) ঢুকতে প্রথমেই কথা হয়
স্টাফ, মোঃআরিফের সাথে। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, রান্নার জন্য রয়েছে তিন জন শেফ। আর স্টাফ রয়েছে ২০ জন । এছাড়া ১০ টি টেবিল ও ৬০ টি চেয়ার আছে রেষ্টুরেন্টে।
আল-আসাদ হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট এর ম্যানেজার মোঃ মিঠুন এর সাথে কথাবার্তায় যা উঠে এসেছে-
ইফতারে বিক্রি কেমন হচ্ছে ?
এ প্রশ্নের উওরে তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় এবার বিক্রি তেমন ভালো হচ্ছে না। তবে রোজার শুরুতে ক্রেতা একটু কম হলেও পরে আশা করছি বিক্রি বাড়বে।
রেষ্টুরেন্ট এ বসে কতজন ইফরাতি করতে পারবে ?
এ প্রশ্নের উওরে তিনি বলেন, আমাদের এখানে ৬০ জনের ইফতার করার সু-ব্যবস্থা আছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১৪-১৫ জন আমদের এখানে বসে ইফতার করে। তবে বেশিরভাগই এসে ইফতার কিনে নিয়ে বাসায় যায়।
সেহেরির ব্যবস্থা আছে কিনা ?
এ প্রশ্নের উওরে তিনি বলেন , আমাদের এখানে সেহেরির ব্যবস্থা রয়েছে ।
রেষ্টুরেন্টে উপরে মেস থাকায় ২৫-৩০ জনের মতো ক্রেতা সেহেরি খেতে আসে।
সেহেরিতে কি কি খাবার থাকে?
সেহেরিতে ভাত, মাছ,মুরগীর মাংস , গরুর মাংস, শাক ,সবজি, ডিম, ভর্তা ইত্যাদি খাবার থাকে।
কোন বয়সী ক্রেতারা সবচেয়ে বেশি ইফতারি কিনতে আসে?
এ প্রশ্নের উওরে তিনি বলেন , মেইন রোড হওয়াতে সকল বয়েসের ক্রেতা আসেন। তবে রেষ্টুরেন্টের উপরে মেস থাকায় তরুণ ক্রেতারা একটু বেশি আসেন।
আল-আসাদ হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টে ইফতারি যেগুলো খাবার আইটেম আছে –
১) হালিম ১০০/২০০/৩০০ টাকা
২) নান / বাটার নান ২০/ ৪০ টাকা
৩) পেয়াজু ১০ টাকা
৪) আলুর চপ ১০ টাকা
৫) বেগুনি ১০ টাকা
৬) ডিম চপ ২০ টাকা
৭) জালি কাবাব ২৫ টাকা
৮) জিলাপী (প্রতিকেজি )২০০/৪০০ টাকা
৯) বুরিন্দা ২০০ টাকা ।
১০) ছোলা (প্রতিকেজি) ২০০ টাকা
আল-আসাদ হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট খুজেঁ পাওয়া খুব সহজ । ঠিকানা: এইচ-৮২/১০ ,নিউ এয়ারপোর্ট রোড,সৈনিক ক্লাব, বনানী, ঢাকা-১২১৩
Leave a Reply