শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন

ফুটপাতে মিলেমিশে চাঁদাবাজি, ভারতের আইএস প্রধানকে গ্রেপ্তারের দাবি, নির্বাচন ইস্যুতে পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪, ৭.৫৬ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

 

কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার উল্লেখযোগ্য সংবাদ, ‘বনভূমি উজাড়ে শীর্ষের দিকে বাংলাদেশ

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিশ্বে বনভূমি উজাড়ের তালিকার শীর্ষের দিকে আছে বাংলাদেশ। আবার বনভূমি চলে যাচ্ছে অবৈধ দখলে। দখলদারের তালিকায় সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এরই মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে আড়াই লক্ষাধিক একর বনভূমির অবৈধ দখলকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী সারা দেশে দুই লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলের সঙ্গে জড়িত বনভূমি উজাড়ে শীর্ষের দিকে বাংলাদেশএক লাখ ৬০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। দখল করা বনভূমি উদ্ধার অভিযানেও তেমন সফলতা আসেনি। তবে অবৈধ দখলমুক্ত করার পাশাপাশি বন সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বনভূমি মাটির ক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেই সঙ্গে এর স্থিতিশীলতা ও গুণগত মান বজায় রাখে। বনাঞ্চল ‘কার্বন সিংক’, কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ এবং আটকে রাখে। বনের গাছ আনুমানিক ৯৫ শতাংশ পানি শোষণ ও ফের তা বিতরণ করে।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের শিরোনাম’’ ISIS India head among two arrested in Assam, to be handed over to NIA: Police’

প্রতিবেদনটিতে বলা হচ্ছে, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ভারতীয় শাখার প্রধান হারিস ফারুকিসহ দুজনকে আসাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে নাশকতার পরিকল্পনায় থাকা দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে আসাম পুলিশ। এদের মধ্যে একজন আইএসের ভারতীয় শাখার প্রধান। গ্রেপ্তার অপরজনও জঙ্গিগোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা।   পুলিশ জানিয়েছে, গোয়েন্দাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ধুবড়ি সেক্টরে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের সময়েই ধরা পড়েন হারিস ও তাঁর সহযোগী।

আসাম পুলিশের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণবজ্যোতি গোস্বামী এক বিবৃতিতে বলেন, দুজনকেই গ্রেপ্তার করে গুয়াহাটিতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ফারুকি উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা এবং গ্রেপ্তার আরেক ব্যক্তির নাম রেহান। তিনি হরিয়ানার পানিপথের বাসিন্দা। ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে তাঁর নাম ছিল অনুরাগ সিং। রেহানের স্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিক। এসটিএফ জানিয়েছে, এই দুজনের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এবং লখনউয়ের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডে (এটিএস) বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। অভিযুক্তকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য এনআইএর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

আরব নিউজের শিরোনাম’’US warns Pakistan on ties over election irregularities’.

প্রতিবেদনটিতে বলা হচ্ছে,  নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, কারচুপির অভিযোগ তদন্ত করা না হলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, গত মাসের নির্বাচনের কারচুপির অভিযোগ তদন্ত না করলে তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক দুর্ভোগ পোহাবে। প্রয়োজনে দেশটিকে পুনরায় নির্বাচনের আয়োজনের কথা বলেছে দেশটি। দক্ষিণ এশিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দূত ডোনাল্ড লু আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রাটের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। তিনি নির্বাচনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স শাটডাউনের কথাও উল্লেখ করেন।

লু বলেন, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন হস্তক্ষেপ বা অনিয়মের প্রমাণ পেলে সেখানে পুনরায় নির্বাচন হওয়া উচিত। আমাদের সঙ্গে পাকিস্তানের ৭৬ বছরের সম্পর্ক রয়েছে। তবে তারা যদি তাদের সংবিধানকে সমুন্নত রাখার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় না থাকে তাহলে তা আমাদের সম্পর্কের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। দক্ষিণ এশিয়ায় নিযুক্ত এ মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে কোনো সামরিক চুক্তির বিষয় বিবেচনা করছে না। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন স্নায়ুযুদ্ধের মিত্রপক্ষ। পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে আসছে। এ ছাড়া তাদের পাকিস্তানের তালেবানের সঙ্গে অতীত সম্পর্কের কারণে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠছে।

ফুটপাতে মিলেমিশে চাঁদাবাজি যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার প্রধান শিরোনাম।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ফুটপাতে চাঁদাবাজি করতেন (লাইনম্যান) বাবা। এখন ছেলে। এমনকি চাঁদাবাজের তালিকায় আছে জামাই-শ্বশুরের নামও। আবার কয়েকটি এলাকার লাইনম্যানরা চাঁদা তোলেন কয়েক ভাই মিলে। ফুটপাত চাঁদাবাজিতে এভাবে সপরিবারে নাম লিখিয়েছেন অনেকে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, চাঁদা তুলতে পেশাদার লাইনম্যানরা নিয়োগ দিয়েছেন একাধিক বেতনভুক্ত কর্মচারী।  হকার্স সংগঠনগুলো বলছে, রাজধানীতে প্রায় দুলাখ হকারের ওপর চাঁদাবাজি করেন অন্তত দুশতাধিক লাইনম্যান। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা এদের প্রধান শক্তি। যারা গডফাদার হিসাবে পরিচিত। এছাড়া চাঁদার টাকা যায় পুলিশ, মস্তান এবং এলাকাভিত্তিক কিশোর গ্যাংয়ের হাতে। সূত্র জানায়, যাত্রাবাড়ী এলাকার ফুট চাঁদাবাজ হিসাবে পুলিশের তালিকাভুক্ত জনৈক সোনা মিয়া ও তোরাব আলী। এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ফুটপাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে। মিরপুর-১ নম্বর এলাকার লাইনম্যান নয়ন, সুরুজ, মিলন, জাহিদ, বুলেট ও বাবুল। চাঁদাবাজদের শেল্টার দেন স্থানীয় প্রভাবশালী কবির। এছাড়া মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকার ফুটপাতে চাঁদা তোলেন লাইনম্যান মোরসালিন ও জাফর।রাজধানীর উত্তরেও বিস্তৃত হচ্ছে ফুটপাত। ইতোমধ্যে বিমানবন্দর রেলস্টেশন, হাউজ বিল্ডিং হয়ে টঙ্গী পর্যন্ত কয়েকটি জাগায় রাস্তার দুপাশে টং দোকান তৈরি হয়েছে। এসব দোকানে নানা ধরনের পণ্য নিয়ে বসেছেন শত শত হকার।

হকার নেতারা বলছেন, বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকার ফুটপাতে চাঁদাবাজি করেন জনৈক আকতার, জামাল, আনোয়ার, সেলিম ও বাবুল। এছাড়া চাঁদাবাজির ভাগ পান শহীদ নামের এক আরএনবি (রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী) কর্মকর্তা। এছাড়া উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় চাঁদাবাজি করেন জনৈক টিটু, আলামিন, গফুর ও আব্দুল্লাহ খোকন। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, স্থানীয় থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক শেল্টারে ফুটপাতে চাঁদাবাজি চলে। চাঁদার ভাগ যায় উপরমহলেও। বিশেষ করে শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, সূত্রাপুর, বংশাল, চকবাজার ও নিউমার্কেট থানা ঘিরে ফুট চাঁদাবাজরা রীতিমতো বেপরোয়া।

 

‘মাঠ প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে মন্ত্রণালয় বিব্রত দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম এটি।

প্রতিবেদনটিতে বলা হচ্ছে, মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের একশ্রেণির কর্মকর্তা নানা অনিয়মে জড়াচ্ছেন। কারও কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। মোবাইল কোর্ট আইনের অপব্যবহারের ঘটনাও ঘটছে। এসব নিয়ে বিব্রত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও লাগাম টানা যাচ্ছে না। এতে সার্বিকভাবে পেশাদারিত্ব কমে যাচ্ছে। সেবাবঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশাসনে দলীয়করণ এবং আমলাতন্ত্রের ওপর সরকারের নির্ভরতা বেড়েছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনপ্রতিনিধিদের এড়িয়ে আমলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কোনো অভিযোগ উঠলে যথাযথ তদন্ত করে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় সর্বস্তরের কর্মকর্তারা নিজেদের অধিক ক্ষমতাবান ভাবতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদের কয়েকজন কর্মকর্তার নামে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রশাসনের সাবেক অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা বলছেন, এসব পদে থেকে অপকর্মে জড়িতদের অতীতে বিভাগীয় মামলায় দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হওয়ায় উত্তরসূরি অনেকে সাহস দেখাচ্ছেন। কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ থাকলেও বেশির ভাগই অমীমাংসিত থেকে যায় বা সঠিক বিচার হয় না। অনভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মাঠ প্রশাসনে পদায়ন করায় অনিয়ম বেশি ঘটছে। আগে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতির অন্তত তিন বছর পর ডিসি পদে পদায়ন করা হতো। ১৫-১৬ বছর চাকরি করার পর ডিসি পদ পেতেন তারা। ১১-১২ বছর চাকরি করার পর ইউএনও করা হতো। বর্তমানে চাকরির পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে কর্মকর্তারা ইউএনও হচ্ছেন।

কর্মকর্তাদের ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য মোটাদাগে তিনটি কারণকে চিহ্নিত করেছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বর্তমান সরকারের সময়ে আমলাতন্ত্রের ওপর নির্ভরতা অনেক বেড়েছে। ফলে সর্বস্তরের কর্মকর্তারাই নিজেদের অধিক ক্ষমতাবান ভাবতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের কর্মকর্তারা ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারছেন না। দ্বিতীয়ত, দলীয়করণের কারণে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির প্রভাব রয়েছে। ক্ষমতা পেয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের তেমন গুরুত্ব দিতে চান না তারা। সরকারও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনপ্রতিনিধিদের এড়িয়ে আমলাদের অগ্রাধিকার দেয়। এ কারণে কোনো কোনো কর্মকর্তা রাজনীতিকদের প্রতি অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছেন। তৃতীয়ত, বর্তমান বাস্তবতায় দেশে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়ায় আমলাতন্ত্র অধিকতর ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছে। বিশেষত তৃণমূল পর্যায়ে বিষয়টি প্রকটভাবে দৃশ্যমান।কোনও অভিযোগ উঠলে যথাযথ তদন্ত করে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় সর্বস্তরের কর্মকর্তারা নিজেদের অধিক ক্ষমতাবান ভাবতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024