পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
স্মার্ট লিডার
নিজের কাজে ডিটেইলস গুলো বোঝার চেষ্টা করুণ
একজন বড় চিত্র পরিচালকের কাহিনীর থেকেও তাঁর চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয় ডিটেইলসগুলো। অর্থাৎ প্রতি মুহূর্তের চারপাশের সব কিছু নিঁখুত করে তোলা।
একজন নেতাকে নিজের কাজের চারপাশের সবকিছুকে নিঁখুত করে তুলতে শিখতে হয়। এ জন্য প্রথমে যেমন তার গোটা জার্নির একটি ম্যাপ নিজের মনের ভেতর এমনকি কম্পিটারের ডিস্কে বা স্মার্ট ফোনের মেমরিতে রেখে দিতে হয় তেমনি এই জার্নির প্রতি মুহূর্তের বিষয়গুলোকে তাকে নিঁখুত ও সঠিক করে তুলতে হয়।
কোন বিষয় আগের থেকে সঠিক হিসেবে নির্ধারিত থাকে না। একজন নেতাকেই কাজের ভেতর দিয়ে পৃথিবীতে একটি সঠিক বিষয় বের করে আনতে হয়। এজন্য প্রতিটি নেতার প্রতিটি কাজ ভিন্ন হয়ে থাকে। যখন কেউ একজনকে অনুকরণ করেন তিনি প্রকৃত অর্থে নেতা নন। যিনি গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে নতুন একটি বিষয়কে বা কোন বিষয়ের নতুন আঙ্গিক দিতে পারেন, তিনিই মূলত নেতা।
আর কাজের এই ডিটেইলস গুলো জানার জন্যে মূলত কাজ সম্পর্কে গভীরভাবে চর্চ করাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে মনে রাখতে হয়, একজন চলচ্চিত্রকারকে যেমন তার চলচ্চিত্রের ডিটেইলসের জন্যে নানান বিষয়ে জানতে হয়, স্মার্ট নেতাকেও তেমনি জ্ঞান রাখতে হয় পৃথিবীর নানান বিষয়ে। শুধু পানি ও বাতাসের গতি জেনে যেমন কেউ নাবিক হতে পারেন না। তাকে জানতে হয় মানুষের মাইগ্রেশানের ইতিহাসের গতিপথ থেকে সৌরমন্ডলের প্রতি মুহূর্তের পরিবর্তনকে।
একজন নেতাকেও তার কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই জানার বিষয়টি গন্ডির অনেক বাইরে নিয়ে যেতে হয়। অনেক নেতার বড় একটা সাফল্য’র পরে দেখা যায় সেটা তিনি ধরে রাখতে পারেন না। এরও মূল কারণ, ওই নেতা তার পূর্ণ জার্নি সম্পর্কে জ্ঞানী নন। তাই যে কোন ক্ষেত্রে স্মার্ট নেতাকে তার প্রতিটি ডিটেলইস জানার ভেতর দিয়ে পূর্ণ জার্নি’র ম্যাপ তৈরি করতে হয়।
Leave a Reply