২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পনামতো কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ড. ফরহাদ জাহিদ শেখ। স্বাধীনতার ৫৩ বছর: স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যতের সন্ধান” শীর্ষক গোল-টেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ড. ফরহাদ জানান, ইউনাইটেড নেশন্স ই-গর্ভনেন্স ইনডেক্সে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ১০০। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৭০ ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ অবস্থান অর্জন করতে বদ্ধপরিকর।
সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ও সিমেক সিস্টেমের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভাটি গত শনিবার অনুষ্ঠিত হয় সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ফোয়ারা ইয়াসমিন কনফারেন্স হলে।
ড. ফরহাদ আইসিটি ডিভিশনের এস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)-এর প্রধান ই-গভর্নেন্স বিশেষজ্ঞ। তিনি তার বক্তব্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণা, সরকারের পরিকল্পনা ও সক্ষমতা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের যাত্রায় ব্যক্তি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বের ওপর আলোচনা করেন।
তাঁর বক্তব্যে ওঠে আসে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে নাগরিক-সেবা কেন্দ্রিক, যেখানে নাগরিক ঘরে বসেই সব সেবা পেতে পারেন। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যাত্রায় বিভিন্ন সেবা খাতের মধ্যে সমন্বিত তথ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকার, শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরেন তিনি। ড. ফরহাদ বলেন, “আগে যেকোনো কাজে সরকার, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ কম ছিলো। কিন্তু এ সংস্কৃতিতে পরিবর্তন ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের যৌথ উদ্যোগে কাজ করার সংস্কৃতি চালু হয়েছে।”
গোল-টেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর রিসার্চ সেলের অধ্যাপক ড. কাজী আবু তাহের। ড. মো. সাইফুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম লক্ষ্য হতে হবে জনগনের জীবন-মান উন্নয়ন করা। তিনি বলেন, সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি।
অনুষ্ঠানের আরেক বিশেষ অতিথি ড. কাজী আবু তাহের ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) নিয়ে কথা বলেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিভিন্ন পরিসেবাখাতকে আইওটির আওতায় নিয়ে আসার ওপর জোর দেন তিনি। ড. কাজী আবু তাহের জানান, বাংলাদেশ সরকার সফলতার সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন করেছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশও অর্জন করবে।
সিমেক ইন্সটটিউিট অব টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট ড. মোঃ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে গোল-টেবিল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন ইন্সটিটিউটের আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিমেক সিস্টেমের পরিচালক ও সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির প্রিন্সিপাল ইঞ্জিঃ মোঃ আবু মুসা। আলোচনার টেবিলে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্সটিটিউটের আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা ও ইন্সটিটিউটের আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের এডভাইজারি রিসার্চার ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির সহরকারী অধ্যাপক ড. এ কে এম ফয়সাল আহমেদ।
প্রেস রিলিজ
Leave a Reply