নিজস্ব প্রতিবেদক
ইমরান খান নেতৃতাধীন পাকিস্তানের পাকিস্তান -ই তেহেরিক ইনসাফ (পিটিআই) উমর আইয়ুব খানকে তাদের দলের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পরেই পাকিস্তানের রাজনীতির এই জটিল সময়েও তরুণ থেকে বয়স্ক অনেকেরই মুখে ভিন্ন ধারার একটি বক্তব্য- কীভাবে এবং কেন সামরিক শাসক হওয়া সত্ত্বেও আইয়ূব খানের নাতি উমর আইয়ূব খান রাজনীতির এই সম্মানজনক স্থানে পৌঁছালেন।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের সাংবাদিক ইউসুফজাই এর বক্তব্য হলো, আইয়ুব খান সামরিক শাসক হলেও পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তানের উন্নয়নের অবকাঠামো তাঁর হাতেই গড়া। এবং দুই পাকিস্তানের শিক্ষাও শিল্প সহ প্রায় সব বিষয়ে তিনি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তাছাড়া সামরিক শাসক হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাঁর সময়ে গণতান্ত্রিক বিশ্বেও একজন সম্মানিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। সর্বোপরি আইয়ূব খান তাঁর পুরো শাসননামলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিলেন এবং নিজে কখনও কোন দুর্নীতির সঙ্গে জড়াননি।
পাকিস্তানের অনেকে মনে করে আইয়ূব খানের পতনের মূল কারণ ছিলো ১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধে তার শোচনীয় পরাজয়। যে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে সামরিক বাহিনীতে তিনি শ্রদ্ধা হারান। সামরিক বাহিনীতে তাঁর এই অবস্থান নড়ে যাওয়াতে তিনি ১৯৬৫’র পাক-ভারত যুদ্ধের পরে আর তিন বছরের সামান্য কিছু বেশি সময় ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিলেন।
Leave a Reply