সুজ্যান মাইকেল গ্যালওয়ে
ত্বকের যত্ন নিতে কে না চায়! কিন্তু যত্ন নিতে গিয়ে ভুল পরামর্শ মানার ফলে নিজের ক্ষতি ডেকে আনে। কারণ এখন বেশিরভাগ মানুষই যেকোন কিছুতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পরামর্শ নেয়। সোশ্যাল মিডিয়া অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে এবং ত্বকের যত্নের রুটিনকে রোমাঞ্চকর করে তুলেছে-কিন্তু কোন মূল্যে?
গত বছর, জর্ডান স্যামুয়েল স্কিনের প্রতিষ্ঠাতা এবং ত্বক বিশেষজ্ঞ জর্ডান স্যামুয়েল প্যাচিট্টি ইনস্টাগ্রামে একটি প্রশ্ন সামনে এনেছিলেন “কেন খারাপ ত্বকের যত্নের পরামর্শ সোশ্যাল মিডিয়ায় এত আকর্ষণ অর্জন করে?” পরে তার নিজের প্রশ্নের উত্তর নিজে দিয়ে লেখেন- ” ত্বকের যত্ন যখন সঠিকভাবে করা হয় তখন তা প্রায়ই বিরক্তিকর হয়। ভালো ত্বকের যত্ন ধারাবাহিকভবে করতে হয়। কিন্তু দিনের পর দিন একই রুটিন মেনে চলা কঠিন”। এবং রুক্ষ ত্বকের যত্নে রুটিন মেনে চলা আরো কঠিন। কারণ তখন সবচেয়ে “বিরক্তিকর” হচ্ছে যে “কোনো তাত্ক্ষণিক ফলাফল পাওয়া যায় না।’’
ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল রাখার জন্য এক্সফলিয়েশন জরুরি। তবে তা যদি প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে ত্বকের ক্ষতি ডেকে আনে। এতে ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়ে । তখন কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করলেই দেখা দেয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
প্রিয় স্কিনকেয়ার লাইনের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ বারবারা স্টর্মও একই মতামত দেন। সম্প্রতি টরন্টো সফরের সময় তিনি বলেন, “সাধারণত ত্বকের যত্নের রুটিনে দ্রুত রেজাল্ট আশা করা যায় না।
“এই পণ্যগুলো যেমন- ক্লিনজার, মাস্ক, এক্সফোলিয়েন্ট এবং স্ক্রাব টিকটক-এ জনপ্রিয়। তবে এগুলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে, ত্বক যদি সংবেদনশীল হয় তখন সমস্যা আরো বেশি হয়।” প্রকৃতপক্ষে, #SkinTok ভিডিও অ্যাপ্লিকেশনটিতে একটি বিস্ময়কর ১৮.১ বিলিয়ন ভিউ রয়েছে। কিন্তু এসব ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে।
প্যাচিট্টি বলেন, ত্বকের ভালো যত্ন সূক্ষ্মতার পরিচয় দেয়। “কিন্তু ইন্টারনেট হল সেই জায়গা যেখানে সূক্ষ্মতা মারা যায়।” গত বছর টিকটক-এ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ডি-ইনফ্লুয়েন্সিং প্রবণতার কথা প্যাচিট্টি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত ব্যবহারের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ডি-ইনফ্লুয়েন্সিং শুরু হয়েছিল। তবে আরো নির্দিষ্টভাবে বললে #SkinTok- দেখে, ওভার-এক্সফোলিয়েশন, ওভার-ক্লিনজিং এসব অতিরিক্ত জটিল রুটিন মানতে গিয়ে অনেকেই ত্বকের সর্বনাশ করেছে।
Leave a Reply